জরুরি অবস্থা জারির উসকানি ব্যারিস্টার তানিয়া আমীরের

আমার দেশ ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৫, ১২: ৫০

দেশে জরুরি অবস্থা জারির উসকানি দিয়েছেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ উসকানি দেন।

বিজ্ঞাপন

‘বাংলাদেশ সেনাপ্রধানের মনে কী আছে’ শিরোনামে গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সংবাদে তানিয়া আমীর বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু সংবিধানের ১৪১ অনুচ্ছেদ ব্যবহার করে জরুরি অবস্থা জারি করতে পারেন আর এক্ষেত্রে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান তাকে সমর্থন করতে পারেন। ব্যারিস্টার তানিয়া আমীরের মতে, এটা দেশে দ্রুত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের পথ সুগম করবে।’ ওই মন্তব্যে ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর বলেন, সেনাবাহিনী সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের কঠোর হস্তে দমন করতে পারে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সঠিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে।

ডামি ভোটের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে তানিয়া আমীর কুষ্টিয়ার একটি আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন।

ইন্ডিয়া টুডের ওই খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান একজন রক্ষণশীল ও পেশাদার কর্মকর্তা যিনি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করেন। তার সহকর্মীরা জানান, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন বাংলাদেশে সামরিক শাসন কার্যকর নয়। ইতিহাস, বিশেষ করে পাকিস্তানি সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতা তাকে এই দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েছে।

ওই খবরে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার ভলকার তুর্কের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে কঠোর দমনপীড়ন না চালাতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জাতিসংঘ সতর্ক করেছিল এবং তা কার্যকর হয়েছিল।

একজন সামরিক কর্মকর্তার বরাতে ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়েছে, ওয়াকার সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি গুলি চালানোর অনুমতি দেননি এবং শেখ হাসিনা ও তার উপদেষ্টাদের নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেন।

খবরে আরো বলা হয়েছে, সম্প্রতি কিছু ব্লগার ও অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতারা অভিযোগ করেছেন, জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ভারতের প্রভাবাধীন এবং তিনি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন। কিন্তু তার ঘনিষ্ঠরা বলেন, তিনি কোনো গোষ্ঠীর অনুগত নন, বরং তিনি পেশাদার ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অনুকরণ করে রাজনীতির বাইরে থাকতে চান।

ওই খবরে আরো বলা হয়েছে, সেনাপ্রধান সম্প্রতি আফ্রিকা সফর শেষে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমাকে এমন কিছু করতে বাধ্য করবেন না, যা আমি করতে চাই না।’ এতে বোঝা যায়, তিনি কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হতে পারেন, যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

খবর অনুসারে, এই মুহূর্তে সেনাপ্রধান সেনাবাহিনীতে তার অবস্থান সুদৃঢ় করেছেন। তবে রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে নতুন আন্দোলন হলে তা তার জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে। কারণ নতুন রাষ্ট্রপতি সেনাপ্রধানের অবস্থান দুর্বল করতে পারেন। ফলে বর্তমান রাষ্ট্রপতির সমর্থন ওয়াকার-উজ-জামানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত