হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

উচ্চতর গ্রেড পাবেন ১৫ লাখ সরকারি চাকরিজীবী

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৫, ২২: ০৩

সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন। মঙ্গলবার আপিল বিভাগের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ সম্পর্কিত আইনি বাধা দূর হলো। এর ফলে ১৫ লাখের মতো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী দুইটি করে উচ্চতর গ্রেড পাবেন।

বিজ্ঞাপন

রিটকারীদের একজন আইনজীবী ব্যারিস্টার ইব্রাহিম খলিল জানান, স্বায়ত্তশাসিত সহ সরকারি কর্মকর্তা এ সুযোগ পাননি এ রায়ের ফলে তারা উচ্চতর গ্রেট পাবেন। এর ফলে অনেক সরকারি চাকরিজীবী এ সুবিধা পাবেন।

গত ৩০ এপ্রিল আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ হাইকোর্টের রায় সংশোধন করে এ রায় দিয়েছিলেন।

এর আগে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মজীবীদের ক্ষেত্রে একই পদে কর্মরত কোনো কর্মচারী দুই বা ততোধিক উচ্চতর স্কেল (টাইম স্কেল)/সিলেকশন গ্রেড পেলে, তিনি উচ্চতর গ্রেড পাবেন না উল্লেখ করে জাতীয় বেতন স্কেল স্পষ্টীকরণ-সংক্রান্ত পরিপত্র পুরোটাই অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা পৃথক চারটি আপিল ও আটটি লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন ও আইনজীবী ইব্রাহিম খলিল।

রায়ের পর রিট আবেদনকারীদের অন্যতম আইনজীবী ইব্রাহিম খলিল জানান, স্পষ্টীকরণ–সংক্রান্ত পরিপত্রের প্যারা-গ অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে ২০১৫ সালের জাতীয় পে–স্কেলের উচ্চতর গ্রেডের প্রাপ্যতাসংক্রান্ত প্যারা-৭ যেমন আছে, তেমনই থাকবে। স্পষ্টীকরণ পরিপত্রের প্যারা-গ-এর কারণে দুটি উচ্চতর গ্রেড পাওয়ায় যে প্রতিবন্ধকতা, তা আর থাকলো না। এটি না থাকার কারণে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় ১৫ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী এ সুবিধা পাবেন। অর্থাৎ যারা ২০১৫ সালের আগে একটা টাইম স্কেল বা সিলেকশন গ্রেড পেয়েছেন, তাদের দুটি উচ্চতর গ্রেড পেতে বাধা আইনি বাধা থাকছে না।

উল্লেখ্য, জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫ স্পষ্টীকরণ’ বিষয়ে ২০১৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বরের পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একই বছর রিট করেছিলেন কয়েকজন সরকারি চাকরিজীবী। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে স্পষ্টীকরণ পরিপত্রটি অবৈধ ঘোষণা করা হয়।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত