পানির ন্যায্য হিস্যাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে

ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক সিদ্ধান্ত ছাড়া শেষ

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৫, ২১: ১০
আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৫, ২১: ১১

ভারতের সঙ্গে অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন ও এ সংক্রান্ত অন্যান্য ইস্যু নিয়ে যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। ৬ ও ৭ মার্চ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোলকাতায় যৌথ নদী কমিশনের কারিগরি পর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে এবার বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের বিষয়ে জোরালো যুক্তি ও তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরলে ভারতীয় প্রতিনিধিদল কিংকর্তৃব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন এবং এক পর্যায়ে তারা বৈঠকের সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করতে অসম্মতি জানান। প্রতিনিধি দলের একজন সদস্য আমার দেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৈঠক শেষে দেশে ফিরে কারিগরি টিমের একজন সদস্য আমার দেশকে বলেন, ৬ মার্চের বৈঠকে গঙ্গার পানি বণ্টনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। প্রথম দিনের বৈঠকটি বেশ আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে হয়। উভয় দেশের প্রতিনিধি দল এতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। কিছু কিছু বিষয়ে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের প্রতিনিধিদের আচরণ ছিল বেশ সহায়ক। ৭ মার্চ কোলকাতার রিজেন্সি হোটেলের দ্বিতীয় দিনের বৈঠকটি ছিল দিনব্যাপী। ওইদিনের এজেন্ডাও ছিল আরও ব্যাপক। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, নদী ভাঙন, বন্যার আগাম বার্তা, বর্ষায় গেইট খুলে দেওয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে যাওয়া, উজানের কয়েকটি নদী দিয়ে বর্জ্য আসার বিষয়সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অ্যাজেন্ডা বৈঠকে উপস্থাপন করেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল।

বিজ্ঞাপন

ওই সদস্য বলেন, ভারতের প্রতিনিধি দল এটা আশা করেনি। বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল এজেন্ডার সবগুলো বিষয় পর্যায়ক্রমে আলোচনার টেবিলে উপস্থাপন করতে চাই ভারত তাতে প্রচণ্ড আপত্তি করে।

তিনি বলেন, বর্ষায় ভারত হঠাৎ করে তাদের বাঁধগুলো খুলে দেওয়ায় আমাদের যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমরা তা তুলে ধরেছি। পাশাপাশি শুষ্ক মৌসুমে পানি আটকে রাখায় আমাদের দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় শুকিয়ে মরুভূমির রূপ ধারণ করছে, এসব বিষয়ও আমরা তুলে ধরেছি। তারা কিছু বিষয় নিয়ে পরে আলোচনার কথা বলেন। এক পর্যায়ে বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিবও এসে অংশ নেন। শেষ পর্যন্ত যৌথ ঘোষণা ছাড়াই বৈঠক শেষ হয় বলে জানান প্রতিনিধি দলের ওই কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, ৭ মার্চের বৈঠক এক অর্থে ভারতের আপত্তি ও অনড় মনোভাবের কারণে সিদ্ধান্ত ছাড়া শেষ হয়েছে। তবে ৬ মার্চের বৈঠকে গঙ্গা চুক্তির নবায়ন ও পানি বণ্টন নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। ওইদিন কয়েকটি বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারত যৌথ স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশের পক্ষে যৌথ ঘোষণাপত্রে সই করেন প্রৌকশলী মোহাম্মদ আবুল হোসেন ও ভারতের পক্ষে সই করেন শরদ চন্দ্র।

এ বিষয়ে যৌথ নদী কমিশনের সদস্য ও বৈঠকে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল হোসেন আমার দেশকে জানান, বৈঠকের ফলাফল ও আমাদের অবস্থানের বিষয়ে কোলকাতা থেকেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

এমএস

শুক্র-শনিবারও চলবে বিমানবন্দরের শুল্কায়ন কার্যক্রম

প্রধান উপদেষ্টার আদেশে জুলাই সনদের আইনি রূপ দিতে হবে

নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা শুরুর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

আইআরআই’র সঙ্গে নির্বাচনের প্রক্রিয়া ও ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে আলোচনা এনসিপির

দেশে মুক্তি পাচ্ছে জাপানি অ্যানিমে সিরিজ, শিশুদের দেখা নিষেধ

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত