ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকরি, ইউএনও’র ডিএনএ টেস্টের সিদ্ধান্ত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ১৪
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ২০

মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধা নিয়ে ৩৫তম ব্যাচের (প্রশাসন) ক্যাডারে চাকরি পান চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেন। কিন্তু, পরে দেখা গেছে নিজের চাচা-চাচিকে পিতা-মাতা হিসেবে পরিচয় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এ অভিযোগে তার ও তার পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, নাচোলের ইউএনও কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পেতে প্রতারণা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে কমিশন তার ও তার পরিবারের ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দুদক জানায়, আসামি মো. কামাল হোসেন বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ৩৫তম ব্যাচের এক কর্মকর্তা। তার প্রকৃত পিতা-মাতার নাম মো. আবুল কাশেম ও হাবীয়া খাতুন। চাচা-চাচির নাম মো. আহসান হাবীব এবং সানোয়ারা খাতুন। তার চাচা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আসামি মো. কামাল হোসেন সুকৌশলে তার প্রকৃত পিতা-মাতার পরিবর্তে আপন চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব এবং চাচি সানোয়ারা খাতুনের নাম ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং চাকরি লাভসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

দুদক আরও জানায়, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি মো. কামাল হোসেনসহ তার প্রকৃত পিতা-মাতা ও তার চাচা-চাচির ডিএনএ টেস্ট করার জন্য কমিশন বরাবর আবেদন দাখিল করেন। কমিশন তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আসামি মো. কামাল হোসেনসহ তার প্রকৃত পিতা-মাতা ও তার চাচা-চাচির ডিএনএ টেস্ট করার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে আসামি মো. কামালের পরিবারের ডিএনএ টেস্ট করবেন।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহারের অভিযোগে মামলা দায়ের করে দুদক।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত