সুফল প্রকল্পের মাধ্যমে ১ লক্ষ ৪ হাজার হেক্টর পুন:বনায়ন: পরিবেশ উপদেষ্টা

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৫, ২০: ২১

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, টেকসই বন ও জীবিকাসমূহ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে বন পুনরুদ্ধার, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং বননির্ভর জনগোষ্ঠীর জীবিকা উন্নয়নে অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। তিনি জানান, ইতোমধ্যে ১ লক্ষ ৩ হাজার ৯৬০ হেক্টর বনভূমি পুনঃস্থাপন করা হয়েছে, যার ফলে পাহাড়, শালবন ও উপকূলীয় অঞ্চলে দেশীয় উদ্ভিদের বৈচিত্র্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার, সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে বিশ্বব্যাংকের টেকসই বন ও জীবিকা সুফল প্রকল্পের বাস্তবায়ন সহায়তা মিশনের সমাপনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি জানান, বন অধিদপ্তরে ড্যাশবোর্ড ব্যবহার করে ‘সাইট-সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা’ টুল সফলভাবে চালু করা হয়েছে, যা তথ্যভিত্তিক বন পরিকল্পনাকে ত্বরান্বিত করছে। এছাড়া তিনি জানান, ১ হাজার উদ্ভিদ প্রজাতির রেড লিস্ট মূল্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে এবং ৫টি সংরক্ষিত অঞ্চলে আক্রমণাত্মক বিদেশি উদ্ভিদ প্রজাতির ব্যবস্থাপনার কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।

উপদেষ্টা জানান, ৬১৫টি যৌথ বন ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানে ‘কমিউনিটি অপারেশনস ম্যানুয়াল’ কার্যকরভাবে চালু করা হয়েছে, যা ৪১ হাজারের অধিক বননির্ভর মানুষকে সরাসরি উপকৃত করেছে। প্রতিটি উপকমিটিতে নারীর ৫০ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে, যা বন শাসনে লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করেছে।

তিনি আরও বলেন, মাঠপর্যায়ে সব ধরনের কার্যক্রম—বনায়ন, অবকাঠামো নির্মাণ ও কমিউনিটি-ভিত্তিক উদ্যোগে—পরিবেশ ও সামাজিক সুরক্ষা নীতিমালা সংযোজন করা হয়েছে এবং ই-জিপি পদ্ধতিতে সকল পণ্য ও কাজের ক্রয় সম্পন্ন হওয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে।

রিজওয়ানা হাসান বিশ্বব্যাংকের ধারাবাহিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সহনশীল বন ব্যবস্থাপনায় মন্ত্রণালয় তার অঙ্গীকার দৃঢ়ভাবে বজায় রাখবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত