সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার পরিবারের তিন সদস্যের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার দুদকের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, কবির বিন আনোয়ারের বোন শ্যামলী হোসেন, যিনি উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক। তার নামে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ৯২ লাখ ৪৫ হাজার ১৩৭ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার তথ্য পাওয়া গেছে। এ কারণে দুদক আইন, ২০০৪–এর ২৬(১) ধারা অনুযায়ী তাকে সম্পদবিবরণী দাখিলের নোটিশ জারির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একইভাবে শ্যামলী হোসেনের স্বামী শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ৬ কোটি ৯৬ লাখ ৬৪ হাজার ৩৪১ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য উদঘাটন হয়েছে। একই বিধান অনুযায়ী তাকেও সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি ভার্সনের শাখা প্রধান কবির বিন আনোয়ারের আরেক বোন ইমেলদা হোসেনের বিরুদ্ধেও ৫৫ লাখ ২২ হাজার ৯৩১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পেয়েছে দুদক।
দুদক জানায়, তার নামে আরও সম্পদ অর্জনের তথ্য পেতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৬(১) ধারা অনুযায়ী তাদের প্রত্যেকের নামে পৃথক সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর গাঢাকা দেন কবীর বিন আনোয়ার। তিনি লন্ডনে পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে। নভেম্বর মাসের লন্ডনে পতিত স্বৈরাচারের দল ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামীলীগের এক সমাবেশে তাকে দেখা গেছে।

