আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২: ৩৪
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩: ১৫

একক প্রার্থী থাকলে সে আসনে ‘না ভোট’-সহ একগুচ্ছ সংশোধনী এনে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (আরপিও, সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ চূড়ান্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মঙ্গলবার ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (আরপিও, সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ ভেটিংয়ের জন্য মঙ্গলবার (০২ সেপ্টেম্বর) সকালে পাঠানো হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় থেকে আসলে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।

এর আগে গত ১১ আগস্ট নবম কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছিলেন, আরপিওতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইভিএম সংক্রান্ত যাবতীয় বিধি বিলুপ্ত করা হয়েছে। ‘না ভোট’-এর বিধান করা হয়েছে। যদি কোনো আসনে একজন প্রার্থী থাকে, শুধু সেখানে ‘না ভোট’ থাকবে। ইসি অবস্থা বুঝে নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত করতে পারবে, যা আগে ছিল না। এছাড়া সমভোট হলে লটারি প্রথা বিলোপ করে পুনঃভোট হবে—এমন একগুচ্ছ সংশোধনীতে আরপিও খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।

আরপিওতে আরও যে উল্লেখযোগ্য বিধান আনা হয়েছে—সরকার ও ইসির মধ্যে মতবিরোধ হলে প্রাধান্য পাবে ইসির চাহিদা; তফসিল ঘোষণার ৪৫ দিন আগেই প্রশাসন ও পুলিশসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ইসির অধীনে যাবে; সরকারি কর্মকর্তারা নির্দেশনা না মানলে গোপনীয় অনুবেদন ও শাস্তির ব্যবস্থা নেবে ইসি। এছাড়া সমভোট হলে লটারি প্রথা বিলোপ করে পুনঃভোট, নির্বাচনী ব্যয় তদারকিতে কমিটি গঠন, দলের নির্বাচনী ব্যয় ও আয় ওয়েবসাইটে প্রকাশ, প্রতীক বরাদ্দের আগেই যেন মামলার নিষ্পত্তি, হলফনামায় অসত্য তথ্য দিলে ভোটের পরেও ব্যবস্থা, মিথ্যা অভিযোগ দিলে মামলাসহ বেশ কিছু প্রস্তাব এতে রয়েছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত