ঐক্যবদ্ধ শিক্ষক-কর্মচারী প্লাটফর্মের সংবাদ সম্মেলন

মাউশি পরিচালক শিশিরের অপসারণ ও শাস্তি দাবি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০: ৩১

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক কাজী মো. আবু কাইয়ুম শিশিরের বিরুদ্ধে অনিয়ম- দুর্নীতিসহ ১৯ দফা অভিযোগ তুলে তাকে মাউশি থেকে অপসারণ এবং চাকুরিচ্যুতি বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে বিএনপিপন্থী শিক্ষক সংগঠন ঐক্যবদ্ধ শিক্ষক-কর্মচারী প্লাটফর্মের নেতারা।

বিজ্ঞাপন

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।

ঐক্যবদ্ধ শিক্ষক-কর্মচারী প্লাটফর্মের আহ্বায়ক জাকির হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক আবু কাইয়ুম শিশির (মনিটরিং এন্ড ইভ্যালুয়েশন উইং) শিক্ষা প্রশাসনের দায়িত্বশীল পদে থেকেও নৈতিকতা ও স্বচ্ছতার পরিপন্থি নানা কর্মকাণ্ডে জড়িত। অনিয়ম অপকর্ম করেও আগস্ট পরবর্তীতে উপহার স্বরূপ একের পর এক দপ্তরের দায়িত্ব পেয়েছেন যা শিক্ষা প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি মাউশির এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতিসহ ১৯ দফা অভিযোগ তুলেন।

অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে-বিগত সময়ে মিনিস্ট্রি অডিটের নামে শিক্ষক কর্মচারীর এক মাসের এমপিওর টাকা আদায় করা ছিল স্বাভাবিক ঘটনা। স্বৈরাচার পতনের পর এই দপ্তরের অধ্যাপক শিশির একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করছেন। মাত্র তিন মাসে এই দপ্তর থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন অধ্যাপক শিশির। অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়লে তাকে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর থেকে ময়মনসিংহে মুমিনুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজে বদলি করা হলেও সেখানে তিনি যোগদান করেননি। । বদলি ঠেকাতে মন্ত্রণালয়ের আদেশের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি। পরবর্তীতে তাকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মনিটরিং এন্ড ইভ্যালুয়েশান উইংয়ের পরিচালক পদে পদায়ন করে।

তার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় নিরাপত্তা চেয়ে অভিযোগ করেন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর।

শিশিরের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিভাগীয় মামলা,অসদাচরণ ও সরকারি চাকরি বিধি লঙ্ঘনের দায়ে গুরুদণ্ড প্রদান অথবা চাকুরিচ্যুতির সিদ্ধান্ত নিলেও তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। বিভাগীয় মামলা থাকা কোনো কর্মকর্তাকে তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে পদায়নের সুযোগ না থাকলেও তাকে দুইটি দপ্তরের পরিচালক করা হয়েছে। যা পুরোপুরি চাকরিবিধি লঙ্ঘনের শামিল।

শিশিরের স্ত্রী ঢাকা স্টেট কলেজের ইংরেজি শিক্ষক। স্ত্রী লন্ডনে বসবাস করলেও তার ইএফটির মাধ্যমে সেই বেতন তুলছেন।

যোগ্যতাসম্পন্ন ও সিনিয়রিটি উপেক্ষা করে সুবিধাভোগীদের অগ্রাধিকার দেওয়া। আর্থিক অনিয়ম, বিভিন্ন প্রকল্পের টেন্ডার ও বরাদ্দে স্বজনপ্রীতি ও কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ।

এছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহারে ভিন্নমত পোষণকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি হুমকি-ধমকি ও হয়রানি করেন বলে তার বিরুদ্ধে আরো নানা অভিযোগ করেন শিক্ষক নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-শিক্ষক নেতা আবুল কালাম আজাদ, এসএম সাইদুজ্জামান, মাজিদুল হক রাজা, আলমগীর হোসেন, নজরুল ইসালাম, শামীম, মনিরুল হক প্রমুখ।

এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় এসব অভিযোগের বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক কাজী মো. আবু কাইয়ুম শিশিরের বক্তব্যের জন্য একাধিকবার কল করা হলেও তার ফোন নম্বরটি পাওয়া যায়।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত