আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে ব্যবস্থাপনা পরিচালক

সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট বলে কিছু ছিল, জানতেনই না সাংবাদিকরা

স্টাফ রিপোর্টার
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট বলে কিছু ছিল, জানতেনই না সাংবাদিকরা
ক্যাপশন: সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আব্দুল্লাহ (বাম থেকে দ্বিতীয়)

সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘এক সময় সাংবাদিকদের তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে সহযোগিতা করা হতো, পরবর্তীতে সাংবাদিকদের দাবির মুখে প্রাতিষ্ঠানিক সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়। এখানে সারাদেশ থেকে অসচ্ছল, সমস্যাগ্রস্ত সাংবাদিকরা আবেদন করেন। আমরা যাচাইবাছাই করে সহায়তা দিয়ে থাকি। কিন্তু আমাদের বরাদ্দ এত অপ্রতুল যে সবাইকে সহযোগিতা করা সম্ভব হয় না।’

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর তথ্য ভবনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রচার ও প্রেস) ড. মোহাম্মদ আলতাফ-উল-আলম, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক এ এস এম জাহিদ, গণযোগাযোগ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আবদুল জলিল, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের মহাপরিচালক খালেদা বেগম ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

এ সময় প্রধান অতিথি প্রসঙ্গে এম আবদুল্লাহ বলেন, আজকে আমাদের জন্য অত্যন্ত খুশি ও আনন্দের দিন; কারণ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আমরা একজন নারী উপদেষ্টাকে মঞ্চে পেয়েছি। শুধু তাই নয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে তিনি আজ আমাদের অনুষ্ঠানে ছুটে এসেছেন- এতে সাংবাদিকদের প্রতি তার ভালবাসা ও আন্তরিকতা প্রমাণ হয়েছে। তিনি একজন সাংবাদিকবান্ধব উপদেষ্টা। এটি আমাদের অসুস্থ ও দুর্দশাগ্রস্ত সাংবাদিকদের প্রতি তার সহানুভূতির প্রমাণ।

তিনি বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে তাকে আমাদের অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়েছিল- কিন্তু তিনি কোনো চিন্তা না করে বলেছেন, এটার জন্য দেরি করার সুযোগ নেই, কখন যেতে হবে বলেন। এরপর আজ তিনি আমাদের অনুষ্ঠানে ছুটে এসেছেন। এজন্য উপদেষ্টাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

সভাপতির বক্তব্যে সিনিয়র সাংবাদিক এম আব্দুল্লাহ আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে ছয়শো’র অধিক সাংবাদিক আবেদন করেছিলেন, আমরা সাড়ে তিনশো’ সাংবাদিকের আবেদন মঞ্জুর করেছি। বাকিদের অপেক্ষমাণ রেখেছি। এরমধ্যে অনেকে হাসপাতালে ভর্তি, অনেকে বিভিন্ন সমস্যায় আছেন। বরাদ্দ না থাকায় আমরা অনেকের আবেদন অপেক্ষমাণ রাখতে বাধ্য হয়েছি। বিগত সময়ে এই তহবিল অপব্যবহারের ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। সাংবাদিকরা জানতেনই না যে, এই ধরনের একটি সহায়তা কার্যক্রম রয়েছে।’

তিনি বলেন, আমি আমার ৪১ বছরের সাংবাদিকতায় রিজওয়ানা আপাকে ‘বেলা’র (পরিবেশবাদী সংগঠন) আপা হিসেবে জানতাম। এখন তিনি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের রিজওয়ানা আপা। অল্প সময়ের জন্য দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। তবে যিনি কাজ করেন, তার কাছে সময় কোনো ব্যাপার নয়। আমরা আশা করব, আগামীতে যে সময়টুকুই তিনি পাবেন- তার মধ্যেই অতীতের মতো সাংবাদিকদের কল্যাণে সর্বোচ্চটা করে যাবেন।

অনুষ্ঠানে দুইজন মৃত সাংবাদিকের পরিবারের সদস্যদের মাঝে ৬ লাখ টাকা, ১১৪ জন সাংবাদিককে চিকিৎসা ব্যয় বাবদ ৬৯ লাখ টাকা এবং ৫২ জন অসচ্ছল সাংবাদিকের মাঝে ২৬ লাখ টাকা মিলিয়ে মোট ১ কোটি ১ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করা হয়।

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন