তিন দাবিতে অনশনে যাচ্ছে প্রাথমিকের শিক্ষকরা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫৬
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫৮

তিন দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি বা ঘোষণা না আসলে সব ধরনের পরীক্ষা বর্জন এবং ১১ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষক নেতা আনিসুর রহমান বলেন, আগামী ডিসেম্বরে বৃত্তি পরীক্ষা রয়েছে। আমাদের দাবি না মানলে আমরা বৃত্তি পরীক্ষা বর্জন করবো। একই সঙ্গে আমরণ অনশনে বসবো।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দাবির মধ্যে রয়েছে সহকারী শিক্ষক এন্ট্রিপদে ১১তম গ্রেড, ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড জটিলতা নিরসন এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে তিন দাবি মানা না হলে ২৩ ও ২৪ নভেম্বর অর্ধদিবস, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং ২৭ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য পাঠ করেন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক শাহিনুর আল-আমীন। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির এক অংশের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম তোতা সভাপতিত্ব করেন। নূরে আলম সিদ্দিকী রবিউল ও অজিত পালের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন তপন কুমার মন্ডল।

এর আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা ৫ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস এবং ২৬ মে থেকে তারা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন। গত ২৯ মে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারের সঙ্গে শিক্ষক নেতাদের বৈঠক হয়। এরপর কর্মবিরতি কর্মসূচি ২৫ জুন পর্যন্ত স্থগিত করা হয়।

প্রসঙ্গত, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি। অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এসব বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত। গত ২৪ এপ্রিল ১১তম গ্রেডে বেতন পাওয়া প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডে বেতন পাওয়া শিক্ষকদের বেতন ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত