মীযান মুহাম্মদ হাসান
অনেক দিন ধরে দেশে একটি আলোচিত ইস্যু আদিবাসী সমস্যা। এ নিয়ে চলছে আন্দোলন। জনরোষে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পলায়নের পর দেশে একের পর এক বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলনে নেমেছে অশুভ শক্তি। ছাত্রজনতা বারবার তাদের প্রতিহত করে চলছে।
এমনকি সর্বশেষ তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের বিষয়টিকে কেন্দ্র করে আন্দোলনেও জল কম ঘোলা হয়নি। গণমাধ্যমের ভাষ্যমতে, এতেও ঘি ঢেলেছেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
এখন একটি মহল নিজেদের আদিবাসী গোষ্ঠী বলে দাবি করলেও সত্যিকারার্থে তারা উপজাতি সম্প্রদায়। বিভিন্ন চুক্তি ও দলিলপত্রও তাই বলে। যেমন ১৯৬২ সালে পাকিস্তান সরকার পার্বত্য অঞ্চলগুলোকে উপজাতি অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে উল্লেখ করেছে। ১৯৯৭ সালের শান্তিচুক্তিতেও ‘আদিবাসী’ শব্দের উল্লেখ নেই।
সাম্য, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বাংলাদেশে যারা চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন সীমান্তে অবস্থান করে এখন আদিবাসী আন্দোলন করছেন, তারা মূলত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা ও দাঙ্গার পথকে উসকে দিচ্ছেন। আদিবাসী না হয়েও তারা আদিবাসী দাবি করে সীমান্তের ‘ভূমিপুত্র’ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে নিজেদের, যাতে ওই অঞ্চলগুলো তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এটি হতে পারে অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠারও একটি হীন প্রচেষ্টা! নয়তো এর মধ্যে লুকিয়ে আছে নয়া পূর্ব তিমুরের বীজ। কারণ অতীতে আমরা জেনেছি, পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে একটি জুমল্যান্ড গড়ে তোলার ষড়যন্ত্র চলছে। তবে জুমল্যান্ড ভিশন বাস্তবায়নই কি আদিবাসী আন্দোলনের রহস্য?
২০০০ সাল থেকে নিজেদের আদিবাসী হিসেবে দাবি করছে পার্বত্য অঞ্চলের উপজাতিরা। এমনকি তারা বিশ্ব আদিবাসী দিবসও পালন করছে। তাদের অধিকাংশের ধর্মীয় পরিচয়টাও আমাদের জানা জরুরি।
বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে আগত উপজাতিরা আদিবাসী হতে পারে না। এটি যেমন নৃতাত্ত্বিকভাবে প্রমাণিত, তেমনি আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত। বিভিন্ন সময় বিতাড়িত হয়ে রাজনৈতিক কারণে তারা (উপজাতিরা) বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করে বসবাস করছে।
সময় বদলেছে। একসময় অস্ত্রের মুখে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে ক্ষমতা দখল করা গেলেও এখন সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যগত বিষয় উত্থাপনসহ নানা কৌশলে দখলদারত্বের সুযোগ করে নেওয়া হচ্ছে। তাই আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি লাভের পর নিজেদের স্বতন্ত্র ঐতিহ্য রক্ষার নামে তারা কাল যে পূর্ব তিমুরের আদলে নতুন দেশ প্রতিষ্ঠার দাবি তুলবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাদের ঘিরে সক্রিয় রয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ষড়যন্ত্রকারী মহল।
২০১১ সালের এপ্রিলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম-বিষয়ক একটি পর্যালোচনা বৈঠকে তৎকালীন সেনা সদরের প্রতিনিধিরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘দেশি-বিদেশি এনজিওগুলো পার্বত্য চট্টগ্রামকে আরও একটি পূর্ব তিমুর বানানোর তৎপরতা চালাচ্ছে।’ এ অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, আমরা আদিবাসী আন্দোলনের ফাঁদে পা দিলেই গঠিত হবে আরেকটি নয়া পূর্ব তিমুর।
লেখক : কবি ও প্রাবন্ধিক
অনেক দিন ধরে দেশে একটি আলোচিত ইস্যু আদিবাসী সমস্যা। এ নিয়ে চলছে আন্দোলন। জনরোষে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পলায়নের পর দেশে একের পর এক বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলনে নেমেছে অশুভ শক্তি। ছাত্রজনতা বারবার তাদের প্রতিহত করে চলছে।
এমনকি সর্বশেষ তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের বিষয়টিকে কেন্দ্র করে আন্দোলনেও জল কম ঘোলা হয়নি। গণমাধ্যমের ভাষ্যমতে, এতেও ঘি ঢেলেছেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
এখন একটি মহল নিজেদের আদিবাসী গোষ্ঠী বলে দাবি করলেও সত্যিকারার্থে তারা উপজাতি সম্প্রদায়। বিভিন্ন চুক্তি ও দলিলপত্রও তাই বলে। যেমন ১৯৬২ সালে পাকিস্তান সরকার পার্বত্য অঞ্চলগুলোকে উপজাতি অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে উল্লেখ করেছে। ১৯৯৭ সালের শান্তিচুক্তিতেও ‘আদিবাসী’ শব্দের উল্লেখ নেই।
সাম্য, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বাংলাদেশে যারা চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন সীমান্তে অবস্থান করে এখন আদিবাসী আন্দোলন করছেন, তারা মূলত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা ও দাঙ্গার পথকে উসকে দিচ্ছেন। আদিবাসী না হয়েও তারা আদিবাসী দাবি করে সীমান্তের ‘ভূমিপুত্র’ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে নিজেদের, যাতে ওই অঞ্চলগুলো তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এটি হতে পারে অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠারও একটি হীন প্রচেষ্টা! নয়তো এর মধ্যে লুকিয়ে আছে নয়া পূর্ব তিমুরের বীজ। কারণ অতীতে আমরা জেনেছি, পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে একটি জুমল্যান্ড গড়ে তোলার ষড়যন্ত্র চলছে। তবে জুমল্যান্ড ভিশন বাস্তবায়নই কি আদিবাসী আন্দোলনের রহস্য?
২০০০ সাল থেকে নিজেদের আদিবাসী হিসেবে দাবি করছে পার্বত্য অঞ্চলের উপজাতিরা। এমনকি তারা বিশ্ব আদিবাসী দিবসও পালন করছে। তাদের অধিকাংশের ধর্মীয় পরিচয়টাও আমাদের জানা জরুরি।
বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে আগত উপজাতিরা আদিবাসী হতে পারে না। এটি যেমন নৃতাত্ত্বিকভাবে প্রমাণিত, তেমনি আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত। বিভিন্ন সময় বিতাড়িত হয়ে রাজনৈতিক কারণে তারা (উপজাতিরা) বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করে বসবাস করছে।
সময় বদলেছে। একসময় অস্ত্রের মুখে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে ক্ষমতা দখল করা গেলেও এখন সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যগত বিষয় উত্থাপনসহ নানা কৌশলে দখলদারত্বের সুযোগ করে নেওয়া হচ্ছে। তাই আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি লাভের পর নিজেদের স্বতন্ত্র ঐতিহ্য রক্ষার নামে তারা কাল যে পূর্ব তিমুরের আদলে নতুন দেশ প্রতিষ্ঠার দাবি তুলবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাদের ঘিরে সক্রিয় রয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ষড়যন্ত্রকারী মহল।
২০১১ সালের এপ্রিলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম-বিষয়ক একটি পর্যালোচনা বৈঠকে তৎকালীন সেনা সদরের প্রতিনিধিরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘দেশি-বিদেশি এনজিওগুলো পার্বত্য চট্টগ্রামকে আরও একটি পূর্ব তিমুর বানানোর তৎপরতা চালাচ্ছে।’ এ অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, আমরা আদিবাসী আন্দোলনের ফাঁদে পা দিলেই গঠিত হবে আরেকটি নয়া পূর্ব তিমুর।
লেখক : কবি ও প্রাবন্ধিক
এই বছর অর্থনীতির নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে উদ্ভাবন ও সৃজনশীল ধ্বংসের প্রক্রিয়া (creative destruction) কীভাবে দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে সেই গবেষণার ওপর। নতুন প্রযুক্তি ও ধারণা পুরোনো ব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপন করে সমাজ যখন পরিবর্তনের জন্য উন্মুক্ত থাকে, তখনই টেক
১৩ ঘণ্টা আগে‘মনের তালা খুলল কে, চাবিওয়ালা, চাবিওয়ালা!’ প্রখ্যাত শিল্পী রুনা লায়লার সেই সুরেলা প্রশ্নের উত্তর আজও খুঁজে বেড়াচ্ছি! তবে ব্যক্তিগত জীবনে নয়, রাষ্ট্রীয় জীবনে। এই রাষ্ট্রের জীবনেও একটা বিশেষ তালা আছে, আর তার নাম আর্টিকেল ৭০! এই তালা লাগানো হয়েছিল সেই সব মাননীয়র জন্য, যাদের মধ্যে ‘ছাগলীয়’ প্রবৃত্তি রয়ে
১৩ ঘণ্টা আগেভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে প্রায়ই তার পরম বন্ধু বলে বেশ গৌরবের সঙ্গে প্রচার করে থাকেন। ভিন্ন দেশের এ দুই রাজনীতিবিদের প্রগাঢ় বন্ধুত্বের মূল সূত্র হলো মুসলমানদের প্রতি তাদের তীব্র ঘৃণা। বর্তমান বিশ্বে ইসলামোফোবিয়ায় আক্রান্ত শীর্ষ দুটি
১৪ ঘণ্টা আগেগাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে যখন হতাশা চরমে, তখনই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন এক নতুন ‘২০ দফার শান্তি পরিকল্পনা’। সেখানে তিনি নিজেকে বসিয়েছেন একটি তথাকথিত ‘বোর্ড অব পিস’-এর চেয়ারম্যান হিসেবে।
২ দিন আগে