মুশফিক উস সালেহীন
পতিত ফ্যাসিবাদ এবং তার দোসরদের বিচারের আওতায় আনা অতীব জরুরি। তবে বিচার হতে হবে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ। বিচারিক ব্যবস্থা সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ করতে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করার জন্য ন্যূনতম সময়টুকু বিচার বিভাগকে দিতে হবে।
সর্বস্তরের অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তৃণমূলপর্যায়ে যারা বংশপরম্পরা ধরে ফ্যাসিবাদকে সমর্থন করে গেছে, তাদের চেতনা থেকে ফ্যাসিবাদকে ধ্বংস করতে না পারলে ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে। এ জন্য বিচারব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হওয়া দরকার।
ইতিহাসকে কখনো মিথ্যা ও ভুলভাবে ব্যাখ্যা করতে নেই। ইতিহাস তার চিরাচরিত সত্যকে ঠিকই বের করে দেয়। গত ১৬ বছর হাসিনা ছাত্র-তরুণ প্রজন্মকে মিথ্যা এবং একতরফা ইতিহাস পড়তে বাধ্য করেছেন। পাঠ্যপুস্তক থেকে শুরু করে দেশের প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে হাসিনার মনগড়া ইতিহাস। সেই ছাত্র-তরুণ প্রজন্মের হাতেই হাসিনার পতন হয়েছে। এই ছাত্র-তরুণ প্রজন্মের বুকচিড়ে লেখা হয়েছে শেখ পরিবারের প্রতি প্রচণ্ড ঘৃণা। একেই বলে ‘রিভেঞ্জ অব ন্যাচার’ বা প্রকৃতির প্রতিশোধ।
রাজনৈতিক দলগুলো বাইরে থেকে ঐক্যের কথা বললেও ভেতরে ভেতরে বিভেদ সৃষ্টি হচ্ছে। এরই মধ্যে কয়েকটি রাজনৈতিক দল জাতীয় এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে। কোনো কোনো বড় রাজনৈতিক দল রাষ্ট্র ও সরকারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কারের বিরোধিতা করে শুধু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওপর জোর দিচ্ছে, যা দেশের সাধারণ মানুষের প্রত্যাশার পরিপন্থী। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বর্তমান সরকারের নানা উদ্যোগ থাকলেও কয়েকজন উপদেষ্টার কার্যকলাপ সরকারের কাজের স্বাভাবিক গতিকে বাধাগ্রস্ত করছে বলে জনমনে ধারণা তৈরি হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস শুধু দেশে নয়, সারা বিশ্বেই সর্বজন শ্রদ্ধেয় একজন ব্যক্তিত্ব। অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালনা করতে এসে তার নতুন করে পরিচিতি বা সুনাম অর্জন করার প্রয়োজন নেই। তিনি দেশের এক সংকটময় মুহূর্তে বা ক্রান্তিকালে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করে নানামুখী চক্রান্ত-প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে ইতোমধ্যেই অনেক উঁচু অবস্থানে নিয়ে গেছেন। আগামী দিনে দেশে ফ্যাসিবাদের উত্থান চিরতরে বন্ধের জন্য রাষ্ট্রকাঠামোর প্রয়োজনীয় সংস্কার করে তিনি নির্বাচন দেবেনÑ এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।
লেখক : কর্মকর্তা-বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা
পতিত ফ্যাসিবাদ এবং তার দোসরদের বিচারের আওতায় আনা অতীব জরুরি। তবে বিচার হতে হবে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ। বিচারিক ব্যবস্থা সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ করতে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করার জন্য ন্যূনতম সময়টুকু বিচার বিভাগকে দিতে হবে।
সর্বস্তরের অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তৃণমূলপর্যায়ে যারা বংশপরম্পরা ধরে ফ্যাসিবাদকে সমর্থন করে গেছে, তাদের চেতনা থেকে ফ্যাসিবাদকে ধ্বংস করতে না পারলে ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে। এ জন্য বিচারব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হওয়া দরকার।
ইতিহাসকে কখনো মিথ্যা ও ভুলভাবে ব্যাখ্যা করতে নেই। ইতিহাস তার চিরাচরিত সত্যকে ঠিকই বের করে দেয়। গত ১৬ বছর হাসিনা ছাত্র-তরুণ প্রজন্মকে মিথ্যা এবং একতরফা ইতিহাস পড়তে বাধ্য করেছেন। পাঠ্যপুস্তক থেকে শুরু করে দেশের প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে হাসিনার মনগড়া ইতিহাস। সেই ছাত্র-তরুণ প্রজন্মের হাতেই হাসিনার পতন হয়েছে। এই ছাত্র-তরুণ প্রজন্মের বুকচিড়ে লেখা হয়েছে শেখ পরিবারের প্রতি প্রচণ্ড ঘৃণা। একেই বলে ‘রিভেঞ্জ অব ন্যাচার’ বা প্রকৃতির প্রতিশোধ।
রাজনৈতিক দলগুলো বাইরে থেকে ঐক্যের কথা বললেও ভেতরে ভেতরে বিভেদ সৃষ্টি হচ্ছে। এরই মধ্যে কয়েকটি রাজনৈতিক দল জাতীয় এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে। কোনো কোনো বড় রাজনৈতিক দল রাষ্ট্র ও সরকারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কারের বিরোধিতা করে শুধু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওপর জোর দিচ্ছে, যা দেশের সাধারণ মানুষের প্রত্যাশার পরিপন্থী। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বর্তমান সরকারের নানা উদ্যোগ থাকলেও কয়েকজন উপদেষ্টার কার্যকলাপ সরকারের কাজের স্বাভাবিক গতিকে বাধাগ্রস্ত করছে বলে জনমনে ধারণা তৈরি হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস শুধু দেশে নয়, সারা বিশ্বেই সর্বজন শ্রদ্ধেয় একজন ব্যক্তিত্ব। অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালনা করতে এসে তার নতুন করে পরিচিতি বা সুনাম অর্জন করার প্রয়োজন নেই। তিনি দেশের এক সংকটময় মুহূর্তে বা ক্রান্তিকালে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করে নানামুখী চক্রান্ত-প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে ইতোমধ্যেই অনেক উঁচু অবস্থানে নিয়ে গেছেন। আগামী দিনে দেশে ফ্যাসিবাদের উত্থান চিরতরে বন্ধের জন্য রাষ্ট্রকাঠামোর প্রয়োজনীয় সংস্কার করে তিনি নির্বাচন দেবেনÑ এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।
লেখক : কর্মকর্তা-বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা
এই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান উপমহাদেশে দুটি নাম বোধ করি স্বাধীনতাকামী প্রতিটি মানুষের কাছে সবচেয়ে ঘৃণিত। এর একটি নামের মানুষের লোভ ও বিশ্বাসঘাতকতায় আঠারো শতকে বাংলা-বিহার-ওড়িশার স্বাধীনতা সাত সমুদ্র তেরো নদীর পার থেকে আসা ব্রিটিশ বেনিয়াদের করতলগত হয়।
১৫ ঘণ্টা আগেগণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে পরাজিত হয়ে গণহত্যাকারী শেখ হাসিনা ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা পালিয়ে যাওয়ার পর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বরেণ্য ব্যক্তি বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী ব্যক্তি ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ১/১১-খ্যাত বিশেষ সরকারের দুই বছর এবং শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের
১৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের বর্ষা বিপ্লব ফ্যাসিবাদবিরোধী এক ঐতিহাসিক জাতীয় ঐক্যের সুযোগ সৃষ্টি করেছিল। সহস্রাধিক তরুণ ছাত্র-জনতার শাহাদতের বিনিময়ে আমরা ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় হেজেমনির মিলিত জোয়াল থেকে স্বদেশভূমিকে মুক্ত করতে পেরেছিলাম। জনগণের প্রত্যাশা ছিল, প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব পক্ষের সমন্বয়ে গঠিত
১৬ ঘণ্টা আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর এখন বছর অতিক্রান্ত হয়নি। এর মধ্যে ফ্যাসিবাদের সফট পাওয়ারগুলো সরব হয়ে উঠেছে।
২ দিন আগে