জুলফিকার হায়দার
যারাই প্রতিদিনের খবর দেখছে, হতাশ হওয়া তাদের জন্য স্বাভাবিক। গাজা আর পশ্চিম তীরের অসহায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের চলতি দফা গণহত্যা শুরুর পর দুই বছর পার হয়ে গেছে।
কীভাবে একজন ভালো মানুষ নিজেকে ইসরাইলি বা জায়নবাদী বলবে, সেটা এখন আর বিবেচ্য নয়। এখন জরুরি প্রশ্ন হলো, আমরা, পুরো মানবজাতি কীভাবে আমাদের সজ্ঞান নিয়ে জীবনযাপন করব? এই গণহত্যা চলছেই। যারা এটা করছে, তাদের না আছে হৃদয়, না আছে অনুশোচনা।
সংখ্যাটা আঁতকে ওঠার মতো। আনুষ্ঠানিক সংখ্যার চেয়ে হতাহত আরো বেশি। অপরাধের মাত্রা ব্যাপক। ইউরোপ ও আমেরিকার রাষ্ট্রগুলো ইসরাইলকে সাহায্য করছে। এই বর্বরতায় তারা অংশ নিচ্ছে। এরপর আশা না থাকারই কথা।
সত্য-মিথ্যা বলতে আমাদের বিবেক যেটা বোঝে, সেটাকে আমরা কীভাবে ধরে রাখব? আমরা প্রতিদিন নৃশংসতার মুখোমুখি হচ্ছি। যুদ্ধাপরাধ থেকে নিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ সবই ঘটছে। চলছে গণহত্যা, গণদুর্ভিক্ষ; চলছে সম্পূর্ণ দখলের প্রক্রিয়া, টার্গেট হত্যাকাণ্ড। সাংবাদিক আর ডাক্তারদেরও হত্যা করা হচ্ছে। শিশুদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হচ্ছে। তাদের খাবারের লোভ দেখিয়ে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। সামাজিক জীবনের কোনো চিহ্নই আর নেই। প্রতিদিনের কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অবকাঠামোও ধ্বংস করা হয়েছে।
এটাই ইসরাইল। গণহত্যাকারী দেশ। এই সত্য নিয়ে মানবজাতি কীভাবে টিকে থাকবে?
কোনো উপমাই আর যথেষ্ট মনে হয় না। জায়নবাদীদের নাৎসি বলাটা অর্থহীন। নাৎসিদের চেয়ে এরা খারাপ না ভালো, সেই তুলনা চলে না। এরা নাৎসি নয়, জায়নবাদী। শয়তানের অনেক চেহারা আছে। নাৎসি ছিল। পল পট ছিলেন। খামের রগ ছিলেন। ছিলেন রাটকো ম্লাদিক, অ্যাডলফ হিটলার। এখন আছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, মিয়ের কাহান, ইতমার বেন জাভির, বেজালের স্মোৎরিচ প্রমুখ।
তারা আলাদা ধরনের সব শয়তান। তাদের আলাদা করেই দেখতে হবে। তাদের শয়তানি কর্মকাণ্ডকে সতর্কভাবে পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
গাজায় আমরা প্রতিদিন নৃশংসতা দেখছি। চরম অসহায় বোধ করছি আমরা। আমরা প্রতিবেদন পড়ছি। মৃতদেহ গুনছি। নৃশংসতার ভিডিও স্ক্রল করছি। হাল না ছেড়ে কীভাবে টিকে থাকব, আমরা সেই চেষ্টা করছি। মিথ্যা আর বিকৃতির বিরুদ্ধে লড়তে লড়তে আমরা ক্লান্ত হয়ে গেছি।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের নির্লজ্জতাও আমাদের দেখতে হচ্ছে। ব্রেট স্টিফেন্স আর থমাস ফ্রিডম্যানের মতো কলামিস্টদের তারা জায়গা করে দিয়েছে, যারা ফিলিস্তিনিদের হত্যাকাণ্ডকে বৈধ বলছেন।
এই পত্রিকা এখন ইসরাইলের অবৈধ ঔপনিবেশিক বসতিকে সমর্থন দিচ্ছে। যারা ক্ষমতায়, তাদের হয়ে কাজ করছে এই পত্রিকা।
ভালো মানুষের জন্য এটা বড় ধরনের নৈতিক সংকট। এই ভালো মানুষের মধ্যে অনেক ইহুদিও আছে। তাদের নামে যা করা হচ্ছে, সেটা দেখে তারা শিউরে উঠছে।
একটা সামরিক রাষ্ট্র গণহত্যার সংস্কৃতিকে ধারণ করে একটা জাতিগত নির্মূল অভিযানে নেমেছে। শক্তিধর পশ্চিমা দেশগুলো চেয়ে চেয়ে দেখছে, অথবা সাহায্য করছে। তারা হত্যার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। আরো বেশি শিশুদের দুর্ভিক্ষে ঠেলে দিয়েছে। এমনকি ইসরাইলের তারা প্রশংসাও করছে।
বাকি মানবতা কিছুই করতে পারছে না। এমনকি একটা ছোট নৌকাভর্তি সাহায্যও তারা গাজায় পাঠাতে পারছে না।
নিউ ইয়র্ক টাইমস পড়লেই প্রচণ্ড ক্ষোভ হবে, ঘৃণা জন্মাবে। ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে প্রতিদিন হতাশাজনক খবর দেখছি আমরা। অসহায় ফিলিস্তিনিদের হত্যা করা হচ্ছে। আহত করা হচ্ছে। টাইমসের কলাম আর প্রতিবেদনে তথ্য বিকৃত করা হচ্ছে। ৪কে ভিডিওতে যেসব নৃশংসতার ভিডিও আমরা দেখছি, সেগুলোও তারা অস্বীকার করছে।
টাইমসের কলামিস্ট এজরা ক্লেইন একই সঙ্গে একজন পডকাস্টার। তার শোগুলো অন্তত দুঘণ্টা দীর্ঘ হয়। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি বলতে চেয়েছেন, গাজার হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যা বলা যায় কি না।
তিনি একবারও ভাবেননি, ইহুদি ও ফিলিস্তিনিদের অবস্থানটা যদি উল্টো হতো, তাহলে তার এই কথাগুলো কেমন শোনাত। ফিলিস্তিনিরা যদি ইহুদিদের এভাবে হত্যা করত, তাহলে তিনি কী বলতেন?
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর নিজস্ব হিসাবই বলছে, গাজায় নিহতদের ৮৩ শতাংশই হলো বেসামরিক মানুষ। আধুনিক কোনো যুদ্ধে এই নজির নেই। তারপরও ক্লেইন আর তার অতিথি তর্ক করে যাচ্ছেন, এটাকে আদৌ গণহত্যা বলা যায় কি না।
তার সহকর্মী ব্রেট স্টিফেন্স গণহত্যা-বিষয়ক সাংবাদিক। ২২ জুলাই লেখা কলামে তিনি বলেছেন, ‘না, ইসরাইল গাজায় কোনো গণহত্যা চালাচ্ছে না।’
তার হিসাবে গণহত্যার জন্য আরো ফিলিস্তিনিকে মরতে হবে। তার বিকৃত যুক্তি বলছে, এই ফিলিস্তিনিদের জীবন, সংস্কৃতি, আর সমাজ ধ্বংসের কোনো অর্থ নেই; কারণ সংখ্যাটা তার হিসাবে কম।
শীর্ষস্থানীয় মেডিকেল আর মানবাধিকার গ্রুপগুলো বলেছে, মৃতের সংখ্যা আনুষ্ঠানিক সংখ্যার চেয়ে আরো অনেক বেশি। এই সংখ্যা ব্রেট স্টিফেন্সের কাছে কোনো অর্থ বহন করে না।
তিনি লিখেছেন, ইসরাইলি রাষ্ট্রের যদি সত্যিই গণহত্যার উদ্দেশ্য থাকত এবং গাজাবাসীকে নিশ্চিহ্ন করা তাদের উদ্দেশ্য হতো, তাহলে কেন তারা আরো ভয়াবহ মাত্রায় হামলা করছে না? কেন নিহতের সংখ্যা লাখ পার হয়নি? কেন যুদ্ধের দুই বছর পরও হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে সংখ্যাটা এখনো ৬০ হাজার?
তাদের আরো কত লাশ লাগবে—দশ হাজার, এক লাখ, নাকি এক মিলিয়ন? আরো কত লাশের স্তূপ করতে হবে? আরো কতজনকে নিহত হতে হবে বা দুর্ভিক্ষে পড়তে হবে? তারপর স্টিফেন্সের মতো মানুষ তাকে গণহত্যা বলবেন?
স্টিফেন্স, ক্লেইন, বা টাইমসের অন্য কারো অনুমোদনের জন্য কেউ বসে নেই। তারা সত্যটা অগ্রাহ্য করে হত্যার পক্ষ নিচ্ছে। তাদের প্রমাণ হিসেবে চিহ্নিত করে রাখা হচ্ছে। বিশ্ব তাদের কথা কখনো ভুলবে না।
এই ধরনের বর্বরতা লেখা হচ্ছে, আবার নির্লজ্জভাবে ছাপাও হচ্ছে। ফিলিস্তিনিরা যেটা সহ্য করছে, জাতিসংঘ সেটাকে বলেছে, ‘মহাকাব্যিক মাত্রার মানবিক বিপর্যয়।’ গাজায় যে দুর্ভিক্ষ চলছে, এর চেয়ে খারাপ পরিস্থিতি আর হতে পারে না। টাইমসের নৈতিক পদস্খলন কতটা ভয়াবহ পর্যায়ে চলে গেছে, সেটা এখানেও বোঝা যায়।
কিন্তু পরিহাসের বিষয় হলো আপনি তাদের সমালোচনা করলেই আপনাকে ‘ইহুদি-বিদ্বেষী’ বলা হবে। ভাবটা এমন যেন সত্য রক্ষার দায়িত্ব তাদের একার।
টাইমস, ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল, ফক্স নিউজ, বা এ ধরনের মিডিয়াগুলো শুধু গণহত্যা অস্বীকারই করছে না, তারা ইসরাইলের মিথ্যারও ফেরি করছে।
সবখানেই একই দৃশ্য। স্যাম হ্যারিস কুখ্যাত ইসলামবিদ্বেষী। রক্তে-মাংসে জায়নবাদী। তিনি আবার দৃশ্যপটে ফিরে এসেছেন। ইরানে যুক্তরাষ্ট্র আর ইসরাইলের বোমা হামলাকে তিনি সমর্থন করেন। ইসরাইলিরা যাতে গণহত্যা চালিয়ে যায়, সেজন্য তিনি উৎসাহ দিচ্ছেন।
তিনি মুসলিমদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছেন। ফিলিস্তিন যে খ্রিষ্টান ধর্মের জন্মস্থান, সেটাও তিনি অগ্রাহ্য করছেন। তার হিসেবে ফিলিস্তিনিদের বড় দোষ হলো তারা মুসলিম।
ইসলাম আর মুসলিমবিদ্বেষ হলো হ্যারিসের অর্থ রোজগারের উৎস। এজন্য তিনি বহুদূর গিয়েছিলেন। এখন আবারও মুসলিমদের বিরুদ্ধে হামলার পুরোনো কৌশল নিয়ে ফিরেছেন তিনি। গাজায় জায়নবাদীদের গণহত্যার জন্য দোষ দিচ্ছেন মুসলিমদের।
হ্যারিসের আসলে নতুন কিছু দেওয়ার ক্ষমতা শেষ হয়ে গেছে। তিনি বলছেন, মানুষ ইসরাইলের দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। অন্যদের অপরাধ অগ্রাহ্য করছে। কিন্তু তার অভিযোগ একেবারেই সত্যি নয়।
এই একটা ভাষায় তাদের জানা আছে। অন্যদের লেখা তারা পড়েই না। নিজেদের সংকীর্ণ বলয়ে পড়ে থাকে। আইফোন স্ক্রল করে। ইসরাইলি গণহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ তাদের চোখে পড়ে। তখন তাদের গায়ে আগুন ধরে যায়। তারা বলে, কেন অন্যদের দিকে তোমরা তাকাচ্ছ না? যাতে ইসরাইল আরো হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যেতে পারে।
বিশ্ব ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষের শক্তি ফুরিয়ে গেছে। অসহায় চোখে তারা সবকিছু শুধু দেখছে। ইসরাইল খুন করছে, অঙ্গহানি করছে, দুর্ভিক্ষ চাপিয়ে ফিলিস্তিনিদের নিঃশেষ করছে। কিন্তু তাদের কোনো শাস্তি হচ্ছে না। নীরবে কাঁদা অথবা চিৎকার করা ছাড়া কিছুই করার নেই। হতাশাই তাদের একমাত্র অবলম্বন।
দুবছর ধরে আমরা গণহত্যা দেখছি। একটা সাইকোপ্যাথিক রাষ্ট্রের সাইকোপ্যাথ নেতা এগুলো করছে। আমরা সবাই ক্লান্ত। আমাদের স্নায়ু অবশ হয়ে গেছে। ইসরাইলের নৃশংসতা বর্ণনা দেওয়ার ভাষাও হারিয়ে ফেলেছি আমরা। তাদের সমর্থকদের কোনো লজ্জা নেই।
এটা নৈতিক কথা বলার সময় নয়। অথবা ইসরাইলের জংলিপনা নিয়ে বক্তৃতা দেওয়ার সময় নয়। গণহত্যা এখন সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছে। নৈতিক হতাশা চরম ক্ষোভে রূপ নিয়েছে। এই ক্ষোভ খুবই বিদ্রোহী। এই ক্ষোভই প্রতি সকালে তোমাকে জাগিয়ে তোলে। এই দৃঢ় প্রতিজ্ঞা। এই ঔদ্ধত্য।
বিশ্ব এখন নতুন নৈতিকতার দ্বারপ্রান্তে। পুরোনো হিসাব তারা পার হয়ে এসেছে। ইসলাম, খ্রিষ্টান, ইহুদি, বা অন্য ধর্মের নিশ্চয়তা নিয়ে তারা আর বসে নেই।
বিশ্বাস কাউকে শক্তি দেয়। গাজার ফিলিস্তিনিদেরও দেয়। লেবানন ও ইয়েমেনের প্রতিরোধ আন্দোলনও বিশ্বাস থেকে শক্তি পায়। বিশ্বাসের বলে বলীয়ান হয়ে তারা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। আবার অনেকে হতাশার কারণে বিশ্বাসী হতে পারে না। কারণ বহু অপকর্ম করা হয় বিশ্বাসের পরিচয়ে। ইসরাইল বন্দিদের স্টার অব ডেভিড দিয়ে চিহ্নিত করেছে। অথবা গাজার ধ্বংসস্তূপে বুলডোজার দিয়ে সেই স্টার তারা খোদাই করছে। অনেক মুসলিম শাসক ওয়াশিংটন আর তেল আবিবের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। অথচ ফিলিস্তিনিরা খাবারের অভাবে মারা যাচ্ছে।
মুসলিম হিসেবে আমার বিবমিষা হয়। মুসলিম শাসকেরা কাপুরুষ। তাদের নতজানু অবস্থান, তাদের নীরবতা দিয়ে তারা গণহত্যার সহযোগী হয়েছে।
বিশ্বাস, বিবেক, আর মানবতার সঙ্গে এই গাদ্দারির কারণে নতুন নৈতিকতা জরুরি হয়ে পড়েছে। এই নৈতিকতার শিকড় রয়েছে ফিলিস্তিনিদের সংগ্রামের গভীরে। তাদের আত্মত্যাগের ভেতরে। তাদের মুক্তির আকাঙ্ক্ষার মধ্যে। গণহত্যা যারা অস্বীকার করে, তাদের মুখোশ খুলে দিতে হবে। গণহত্যার পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে হবে। এটাই আমাকে শক্তি দেয়। এটাই আমাকে প্রতিদিন সকালে জাগিয়ে তোলে।
এই দানবিকতার মধ্যে আমাদের মুসলিম, খ্রিষ্টান, ইহুদি বা অন্য পরিচয় বড় নয়। আমাদের পরিচয় হলো আমরা ফিলিস্তিনি। সত্য আর মিথ্যার শেষ পরিণতির মুখোমুখি হয়েছি আমরা।
ফিলিস্তিনিদের জন্য লড়াই করাটাই একমাত্র পথ। একমাত্র এই পথেই আমাদের ভঙ্গুর মানবতা টিকে থাকতে পারে। আমাদের নৈতিক বিবেক কিছুটা হলেও দায়মুক্ত থাকতে পারে।
লেখক : সাংবাদিক
যারাই প্রতিদিনের খবর দেখছে, হতাশ হওয়া তাদের জন্য স্বাভাবিক। গাজা আর পশ্চিম তীরের অসহায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের চলতি দফা গণহত্যা শুরুর পর দুই বছর পার হয়ে গেছে।
কীভাবে একজন ভালো মানুষ নিজেকে ইসরাইলি বা জায়নবাদী বলবে, সেটা এখন আর বিবেচ্য নয়। এখন জরুরি প্রশ্ন হলো, আমরা, পুরো মানবজাতি কীভাবে আমাদের সজ্ঞান নিয়ে জীবনযাপন করব? এই গণহত্যা চলছেই। যারা এটা করছে, তাদের না আছে হৃদয়, না আছে অনুশোচনা।
সংখ্যাটা আঁতকে ওঠার মতো। আনুষ্ঠানিক সংখ্যার চেয়ে হতাহত আরো বেশি। অপরাধের মাত্রা ব্যাপক। ইউরোপ ও আমেরিকার রাষ্ট্রগুলো ইসরাইলকে সাহায্য করছে। এই বর্বরতায় তারা অংশ নিচ্ছে। এরপর আশা না থাকারই কথা।
সত্য-মিথ্যা বলতে আমাদের বিবেক যেটা বোঝে, সেটাকে আমরা কীভাবে ধরে রাখব? আমরা প্রতিদিন নৃশংসতার মুখোমুখি হচ্ছি। যুদ্ধাপরাধ থেকে নিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ সবই ঘটছে। চলছে গণহত্যা, গণদুর্ভিক্ষ; চলছে সম্পূর্ণ দখলের প্রক্রিয়া, টার্গেট হত্যাকাণ্ড। সাংবাদিক আর ডাক্তারদেরও হত্যা করা হচ্ছে। শিশুদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হচ্ছে। তাদের খাবারের লোভ দেখিয়ে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। সামাজিক জীবনের কোনো চিহ্নই আর নেই। প্রতিদিনের কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অবকাঠামোও ধ্বংস করা হয়েছে।
এটাই ইসরাইল। গণহত্যাকারী দেশ। এই সত্য নিয়ে মানবজাতি কীভাবে টিকে থাকবে?
কোনো উপমাই আর যথেষ্ট মনে হয় না। জায়নবাদীদের নাৎসি বলাটা অর্থহীন। নাৎসিদের চেয়ে এরা খারাপ না ভালো, সেই তুলনা চলে না। এরা নাৎসি নয়, জায়নবাদী। শয়তানের অনেক চেহারা আছে। নাৎসি ছিল। পল পট ছিলেন। খামের রগ ছিলেন। ছিলেন রাটকো ম্লাদিক, অ্যাডলফ হিটলার। এখন আছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, মিয়ের কাহান, ইতমার বেন জাভির, বেজালের স্মোৎরিচ প্রমুখ।
তারা আলাদা ধরনের সব শয়তান। তাদের আলাদা করেই দেখতে হবে। তাদের শয়তানি কর্মকাণ্ডকে সতর্কভাবে পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
গাজায় আমরা প্রতিদিন নৃশংসতা দেখছি। চরম অসহায় বোধ করছি আমরা। আমরা প্রতিবেদন পড়ছি। মৃতদেহ গুনছি। নৃশংসতার ভিডিও স্ক্রল করছি। হাল না ছেড়ে কীভাবে টিকে থাকব, আমরা সেই চেষ্টা করছি। মিথ্যা আর বিকৃতির বিরুদ্ধে লড়তে লড়তে আমরা ক্লান্ত হয়ে গেছি।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের নির্লজ্জতাও আমাদের দেখতে হচ্ছে। ব্রেট স্টিফেন্স আর থমাস ফ্রিডম্যানের মতো কলামিস্টদের তারা জায়গা করে দিয়েছে, যারা ফিলিস্তিনিদের হত্যাকাণ্ডকে বৈধ বলছেন।
এই পত্রিকা এখন ইসরাইলের অবৈধ ঔপনিবেশিক বসতিকে সমর্থন দিচ্ছে। যারা ক্ষমতায়, তাদের হয়ে কাজ করছে এই পত্রিকা।
ভালো মানুষের জন্য এটা বড় ধরনের নৈতিক সংকট। এই ভালো মানুষের মধ্যে অনেক ইহুদিও আছে। তাদের নামে যা করা হচ্ছে, সেটা দেখে তারা শিউরে উঠছে।
একটা সামরিক রাষ্ট্র গণহত্যার সংস্কৃতিকে ধারণ করে একটা জাতিগত নির্মূল অভিযানে নেমেছে। শক্তিধর পশ্চিমা দেশগুলো চেয়ে চেয়ে দেখছে, অথবা সাহায্য করছে। তারা হত্যার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। আরো বেশি শিশুদের দুর্ভিক্ষে ঠেলে দিয়েছে। এমনকি ইসরাইলের তারা প্রশংসাও করছে।
বাকি মানবতা কিছুই করতে পারছে না। এমনকি একটা ছোট নৌকাভর্তি সাহায্যও তারা গাজায় পাঠাতে পারছে না।
নিউ ইয়র্ক টাইমস পড়লেই প্রচণ্ড ক্ষোভ হবে, ঘৃণা জন্মাবে। ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে প্রতিদিন হতাশাজনক খবর দেখছি আমরা। অসহায় ফিলিস্তিনিদের হত্যা করা হচ্ছে। আহত করা হচ্ছে। টাইমসের কলাম আর প্রতিবেদনে তথ্য বিকৃত করা হচ্ছে। ৪কে ভিডিওতে যেসব নৃশংসতার ভিডিও আমরা দেখছি, সেগুলোও তারা অস্বীকার করছে।
টাইমসের কলামিস্ট এজরা ক্লেইন একই সঙ্গে একজন পডকাস্টার। তার শোগুলো অন্তত দুঘণ্টা দীর্ঘ হয়। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি বলতে চেয়েছেন, গাজার হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যা বলা যায় কি না।
তিনি একবারও ভাবেননি, ইহুদি ও ফিলিস্তিনিদের অবস্থানটা যদি উল্টো হতো, তাহলে তার এই কথাগুলো কেমন শোনাত। ফিলিস্তিনিরা যদি ইহুদিদের এভাবে হত্যা করত, তাহলে তিনি কী বলতেন?
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর নিজস্ব হিসাবই বলছে, গাজায় নিহতদের ৮৩ শতাংশই হলো বেসামরিক মানুষ। আধুনিক কোনো যুদ্ধে এই নজির নেই। তারপরও ক্লেইন আর তার অতিথি তর্ক করে যাচ্ছেন, এটাকে আদৌ গণহত্যা বলা যায় কি না।
তার সহকর্মী ব্রেট স্টিফেন্স গণহত্যা-বিষয়ক সাংবাদিক। ২২ জুলাই লেখা কলামে তিনি বলেছেন, ‘না, ইসরাইল গাজায় কোনো গণহত্যা চালাচ্ছে না।’
তার হিসাবে গণহত্যার জন্য আরো ফিলিস্তিনিকে মরতে হবে। তার বিকৃত যুক্তি বলছে, এই ফিলিস্তিনিদের জীবন, সংস্কৃতি, আর সমাজ ধ্বংসের কোনো অর্থ নেই; কারণ সংখ্যাটা তার হিসাবে কম।
শীর্ষস্থানীয় মেডিকেল আর মানবাধিকার গ্রুপগুলো বলেছে, মৃতের সংখ্যা আনুষ্ঠানিক সংখ্যার চেয়ে আরো অনেক বেশি। এই সংখ্যা ব্রেট স্টিফেন্সের কাছে কোনো অর্থ বহন করে না।
তিনি লিখেছেন, ইসরাইলি রাষ্ট্রের যদি সত্যিই গণহত্যার উদ্দেশ্য থাকত এবং গাজাবাসীকে নিশ্চিহ্ন করা তাদের উদ্দেশ্য হতো, তাহলে কেন তারা আরো ভয়াবহ মাত্রায় হামলা করছে না? কেন নিহতের সংখ্যা লাখ পার হয়নি? কেন যুদ্ধের দুই বছর পরও হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে সংখ্যাটা এখনো ৬০ হাজার?
তাদের আরো কত লাশ লাগবে—দশ হাজার, এক লাখ, নাকি এক মিলিয়ন? আরো কত লাশের স্তূপ করতে হবে? আরো কতজনকে নিহত হতে হবে বা দুর্ভিক্ষে পড়তে হবে? তারপর স্টিফেন্সের মতো মানুষ তাকে গণহত্যা বলবেন?
স্টিফেন্স, ক্লেইন, বা টাইমসের অন্য কারো অনুমোদনের জন্য কেউ বসে নেই। তারা সত্যটা অগ্রাহ্য করে হত্যার পক্ষ নিচ্ছে। তাদের প্রমাণ হিসেবে চিহ্নিত করে রাখা হচ্ছে। বিশ্ব তাদের কথা কখনো ভুলবে না।
এই ধরনের বর্বরতা লেখা হচ্ছে, আবার নির্লজ্জভাবে ছাপাও হচ্ছে। ফিলিস্তিনিরা যেটা সহ্য করছে, জাতিসংঘ সেটাকে বলেছে, ‘মহাকাব্যিক মাত্রার মানবিক বিপর্যয়।’ গাজায় যে দুর্ভিক্ষ চলছে, এর চেয়ে খারাপ পরিস্থিতি আর হতে পারে না। টাইমসের নৈতিক পদস্খলন কতটা ভয়াবহ পর্যায়ে চলে গেছে, সেটা এখানেও বোঝা যায়।
কিন্তু পরিহাসের বিষয় হলো আপনি তাদের সমালোচনা করলেই আপনাকে ‘ইহুদি-বিদ্বেষী’ বলা হবে। ভাবটা এমন যেন সত্য রক্ষার দায়িত্ব তাদের একার।
টাইমস, ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল, ফক্স নিউজ, বা এ ধরনের মিডিয়াগুলো শুধু গণহত্যা অস্বীকারই করছে না, তারা ইসরাইলের মিথ্যারও ফেরি করছে।
সবখানেই একই দৃশ্য। স্যাম হ্যারিস কুখ্যাত ইসলামবিদ্বেষী। রক্তে-মাংসে জায়নবাদী। তিনি আবার দৃশ্যপটে ফিরে এসেছেন। ইরানে যুক্তরাষ্ট্র আর ইসরাইলের বোমা হামলাকে তিনি সমর্থন করেন। ইসরাইলিরা যাতে গণহত্যা চালিয়ে যায়, সেজন্য তিনি উৎসাহ দিচ্ছেন।
তিনি মুসলিমদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছেন। ফিলিস্তিন যে খ্রিষ্টান ধর্মের জন্মস্থান, সেটাও তিনি অগ্রাহ্য করছেন। তার হিসেবে ফিলিস্তিনিদের বড় দোষ হলো তারা মুসলিম।
ইসলাম আর মুসলিমবিদ্বেষ হলো হ্যারিসের অর্থ রোজগারের উৎস। এজন্য তিনি বহুদূর গিয়েছিলেন। এখন আবারও মুসলিমদের বিরুদ্ধে হামলার পুরোনো কৌশল নিয়ে ফিরেছেন তিনি। গাজায় জায়নবাদীদের গণহত্যার জন্য দোষ দিচ্ছেন মুসলিমদের।
হ্যারিসের আসলে নতুন কিছু দেওয়ার ক্ষমতা শেষ হয়ে গেছে। তিনি বলছেন, মানুষ ইসরাইলের দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। অন্যদের অপরাধ অগ্রাহ্য করছে। কিন্তু তার অভিযোগ একেবারেই সত্যি নয়।
এই একটা ভাষায় তাদের জানা আছে। অন্যদের লেখা তারা পড়েই না। নিজেদের সংকীর্ণ বলয়ে পড়ে থাকে। আইফোন স্ক্রল করে। ইসরাইলি গণহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ তাদের চোখে পড়ে। তখন তাদের গায়ে আগুন ধরে যায়। তারা বলে, কেন অন্যদের দিকে তোমরা তাকাচ্ছ না? যাতে ইসরাইল আরো হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যেতে পারে।
বিশ্ব ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষের শক্তি ফুরিয়ে গেছে। অসহায় চোখে তারা সবকিছু শুধু দেখছে। ইসরাইল খুন করছে, অঙ্গহানি করছে, দুর্ভিক্ষ চাপিয়ে ফিলিস্তিনিদের নিঃশেষ করছে। কিন্তু তাদের কোনো শাস্তি হচ্ছে না। নীরবে কাঁদা অথবা চিৎকার করা ছাড়া কিছুই করার নেই। হতাশাই তাদের একমাত্র অবলম্বন।
দুবছর ধরে আমরা গণহত্যা দেখছি। একটা সাইকোপ্যাথিক রাষ্ট্রের সাইকোপ্যাথ নেতা এগুলো করছে। আমরা সবাই ক্লান্ত। আমাদের স্নায়ু অবশ হয়ে গেছে। ইসরাইলের নৃশংসতা বর্ণনা দেওয়ার ভাষাও হারিয়ে ফেলেছি আমরা। তাদের সমর্থকদের কোনো লজ্জা নেই।
এটা নৈতিক কথা বলার সময় নয়। অথবা ইসরাইলের জংলিপনা নিয়ে বক্তৃতা দেওয়ার সময় নয়। গণহত্যা এখন সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছে। নৈতিক হতাশা চরম ক্ষোভে রূপ নিয়েছে। এই ক্ষোভ খুবই বিদ্রোহী। এই ক্ষোভই প্রতি সকালে তোমাকে জাগিয়ে তোলে। এই দৃঢ় প্রতিজ্ঞা। এই ঔদ্ধত্য।
বিশ্ব এখন নতুন নৈতিকতার দ্বারপ্রান্তে। পুরোনো হিসাব তারা পার হয়ে এসেছে। ইসলাম, খ্রিষ্টান, ইহুদি, বা অন্য ধর্মের নিশ্চয়তা নিয়ে তারা আর বসে নেই।
বিশ্বাস কাউকে শক্তি দেয়। গাজার ফিলিস্তিনিদেরও দেয়। লেবানন ও ইয়েমেনের প্রতিরোধ আন্দোলনও বিশ্বাস থেকে শক্তি পায়। বিশ্বাসের বলে বলীয়ান হয়ে তারা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। আবার অনেকে হতাশার কারণে বিশ্বাসী হতে পারে না। কারণ বহু অপকর্ম করা হয় বিশ্বাসের পরিচয়ে। ইসরাইল বন্দিদের স্টার অব ডেভিড দিয়ে চিহ্নিত করেছে। অথবা গাজার ধ্বংসস্তূপে বুলডোজার দিয়ে সেই স্টার তারা খোদাই করছে। অনেক মুসলিম শাসক ওয়াশিংটন আর তেল আবিবের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। অথচ ফিলিস্তিনিরা খাবারের অভাবে মারা যাচ্ছে।
মুসলিম হিসেবে আমার বিবমিষা হয়। মুসলিম শাসকেরা কাপুরুষ। তাদের নতজানু অবস্থান, তাদের নীরবতা দিয়ে তারা গণহত্যার সহযোগী হয়েছে।
বিশ্বাস, বিবেক, আর মানবতার সঙ্গে এই গাদ্দারির কারণে নতুন নৈতিকতা জরুরি হয়ে পড়েছে। এই নৈতিকতার শিকড় রয়েছে ফিলিস্তিনিদের সংগ্রামের গভীরে। তাদের আত্মত্যাগের ভেতরে। তাদের মুক্তির আকাঙ্ক্ষার মধ্যে। গণহত্যা যারা অস্বীকার করে, তাদের মুখোশ খুলে দিতে হবে। গণহত্যার পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে হবে। এটাই আমাকে শক্তি দেয়। এটাই আমাকে প্রতিদিন সকালে জাগিয়ে তোলে।
এই দানবিকতার মধ্যে আমাদের মুসলিম, খ্রিষ্টান, ইহুদি বা অন্য পরিচয় বড় নয়। আমাদের পরিচয় হলো আমরা ফিলিস্তিনি। সত্য আর মিথ্যার শেষ পরিণতির মুখোমুখি হয়েছি আমরা।
ফিলিস্তিনিদের জন্য লড়াই করাটাই একমাত্র পথ। একমাত্র এই পথেই আমাদের ভঙ্গুর মানবতা টিকে থাকতে পারে। আমাদের নৈতিক বিবেক কিছুটা হলেও দায়মুক্ত থাকতে পারে।
লেখক : সাংবাদিক
এই বছর অর্থনীতির নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে উদ্ভাবন ও সৃজনশীল ধ্বংসের প্রক্রিয়া (creative destruction) কীভাবে দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে সেই গবেষণার ওপর। নতুন প্রযুক্তি ও ধারণা পুরোনো ব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপন করে সমাজ যখন পরিবর্তনের জন্য উন্মুক্ত থাকে, তখনই টেক
৭ ঘণ্টা আগে‘মনের তালা খুলল কে, চাবিওয়ালা, চাবিওয়ালা!’ প্রখ্যাত শিল্পী রুনা লায়লার সেই সুরেলা প্রশ্নের উত্তর আজও খুঁজে বেড়াচ্ছি! তবে ব্যক্তিগত জীবনে নয়, রাষ্ট্রীয় জীবনে। এই রাষ্ট্রের জীবনেও একটা বিশেষ তালা আছে, আর তার নাম আর্টিকেল ৭০! এই তালা লাগানো হয়েছিল সেই সব মাননীয়র জন্য, যাদের মধ্যে ‘ছাগলীয়’ প্রবৃত্তি রয়ে
৮ ঘণ্টা আগেভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে প্রায়ই তার পরম বন্ধু বলে বেশ গৌরবের সঙ্গে প্রচার করে থাকেন। ভিন্ন দেশের এ দুই রাজনীতিবিদের প্রগাঢ় বন্ধুত্বের মূল সূত্র হলো মুসলমানদের প্রতি তাদের তীব্র ঘৃণা। বর্তমান বিশ্বে ইসলামোফোবিয়ায় আক্রান্ত শীর্ষ দুটি
৮ ঘণ্টা আগেগাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে যখন হতাশা চরমে, তখনই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন এক নতুন ‘২০ দফার শান্তি পরিকল্পনা’। সেখানে তিনি নিজেকে বসিয়েছেন একটি তথাকথিত ‘বোর্ড অব পিস’-এর চেয়ারম্যান হিসেবে।
১ দিন আগে