এ কে এম আবুল কালাম আজাদ
বর্তমানে বিশ্বে একটি উন্নত দেশের যেসব বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং সেসব দেশের নাগরিকরা যে কারণে সম্মানজনক জীবন উপভোগ করছেন, তা নিশ্চিত করতে দরকার সৎ, বলিষ্ঠ ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব। কিন্তু আমাদের দেশে এর তীব্র অভাব রয়েছে অনেক দিন থেকে। একই সঙ্গে অদক্ষ আমাদের প্রশাসন। রা
জনীতি ও প্রশাসন উভয় ক্ষেত্রে রয়েছে সততার মারাত্মক অভাব। রাজনীতি ও প্রশাসন এক করে ফেলা হয়েছে আমাদের দেশে। এখানে তৃতীয় একটি শক্তি বা শ্রেণির বিকাশ হচ্ছে। এই তৃতীয় শ্রেণিই সরকারের ছত্রছায়ায় থেকে অন্য একটি পক্ষকে শোষণ-নির্যাতন করছে।
এর থেকে পরিত্রাণের জন্য দরকার একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ, একটি বলিষ্ঠ নেতৃত্ব। সঠিক নেতৃত্বের জন্য দরকার তিনটি বিষয় তথা কর্তৃত্ব, ক্ষমতা এবং যোগাযোগ। একজন নেতার মধ্যে থাকতে হবেÑ ‘১. প্রাণবন্ততা এবং সহিষ্ণুতা, ২. দৃঢ় প্রতিজ্ঞা এবং অনুপ্রেরণাদানের সামর্থ্য, ৩. দায়িত্বশীলতা এবং বুদ্ধি বৃত্তিগত সক্ষমতা, ৪. মানসিক স্থিতিশীলতা, ৫. বর্তমান বিশ্ব সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান, ৬. ব্যক্তিগত অনুপ্রেরণা, ৭. শিক্ষাগত যোগ্যতা, ৮. নিজেকে প্রকাশ করার ক্ষমতা এবং সম্মোহনী শক্তি।’
একটি দেশের উন্নয়ন ও বিকাশ নির্ভর করে সঠিক নেতৃত্বের ওপর। যেমন বাংলাদেশের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, মালয়েশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদ, তুরস্কের কামাল আতাতুর্ক উল্লেখযোগ্য। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমান, ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন, লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গাদ্দাফি এক ব্যক্তির শাসন কায়েম করে গণতন্ত্র বিলুপ্ত করেন।
শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ, একদলীয় বাকশালব্যবস্থা প্রবর্তন, রক্ষীবাহিনীর মাধ্যমে বিরোধী মতের ওপর দমন-পীড়ন করে অপরাজনীতি কায়েম করার মাধ্যমে ধ্বংস করেন গণতন্ত্র। পিতার পথ অনুসরণ করে তার কন্যা বাংলাদেশে চালু করেন ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য দমন করেন বিরোধীদের। ধ্বংস করেন দেশের বিচারব্যবস্থা, অর্থনৈতিক কাঠামো, প্রতিরক্ষা, প্রশাসনসহ সব গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া, গুম ও খুনের মাধ্যমে দেশে প্রতিষ্ঠা করেন ত্রাসের রাজত্ব।
ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ গঠনের লক্ষ্য আজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে গ্রিক দার্শনিক প্লেটো ‘সৎ’ ব্যক্তিদের ওপর দেশের শাসনভার ন্যস্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন।
৯ মাস যুদ্ধ, অনেক আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি লাল সবুজের একটি পতাকা, একটি ভূখণ্ড। কিন্তু যে চেতনা নিয়ে এ দেশের মুক্তিপাগল ছাত্র-জনতা দেশ স্বাধীন করেছে, জনগণ আজও তার সুফল পাননি। কারণ গণতন্ত্রের সঠিক বিকাশ হয়নি এ দেশে।
কিছু অসাধু নেতৃত্বের জন্য আমাদের মাতৃভূমি বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও আমাদের দেশের জনগণ একটি অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছে, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সঠিক পথ খুঁজছে। জনগণ দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের অপেক্ষায়।
যেখানে আজ উন্নতবিশ্ব আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে সারা বিশ্বে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করছে, সেখানে আমরা আজও ভোট আর ভাতের নিশ্চয়তার জন্য সংগ্রাম করছি। একটি জাতির মেরুদণ্ড হলো শিক্ষাব্যবস্থা কিন্তু আমাদের দেশে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার। ধর্মীয় মূল্যবোধবিবর্জিত, নাস্তিকতাবাদ, ইসলামবিদ্বেষী শিক্ষা প্রচলন করে জাতিকে মেধাশূন্য করার নীলনকশা বাস্তবায়ন করেছে পতিত সরকার। একটি জাতির শিক্ষাব্যবস্থা যদি ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে সে দেশ আর সহজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না।
তাই ধর্মীয় মূল্যবোধ ঠিক রেখে একটি আধুনিক শিক্ষানীতি ও শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা এখন সময়ের দাবি। রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে যদি যোগ্য আর মেধাবীদের দায়িত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা না করা যায়, তবে দেশ হিসেবে আমরা বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব না।
লেখক : সাবেক সহসভাপতি, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটি
বর্তমানে বিশ্বে একটি উন্নত দেশের যেসব বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং সেসব দেশের নাগরিকরা যে কারণে সম্মানজনক জীবন উপভোগ করছেন, তা নিশ্চিত করতে দরকার সৎ, বলিষ্ঠ ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব। কিন্তু আমাদের দেশে এর তীব্র অভাব রয়েছে অনেক দিন থেকে। একই সঙ্গে অদক্ষ আমাদের প্রশাসন। রা
জনীতি ও প্রশাসন উভয় ক্ষেত্রে রয়েছে সততার মারাত্মক অভাব। রাজনীতি ও প্রশাসন এক করে ফেলা হয়েছে আমাদের দেশে। এখানে তৃতীয় একটি শক্তি বা শ্রেণির বিকাশ হচ্ছে। এই তৃতীয় শ্রেণিই সরকারের ছত্রছায়ায় থেকে অন্য একটি পক্ষকে শোষণ-নির্যাতন করছে।
এর থেকে পরিত্রাণের জন্য দরকার একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ, একটি বলিষ্ঠ নেতৃত্ব। সঠিক নেতৃত্বের জন্য দরকার তিনটি বিষয় তথা কর্তৃত্ব, ক্ষমতা এবং যোগাযোগ। একজন নেতার মধ্যে থাকতে হবেÑ ‘১. প্রাণবন্ততা এবং সহিষ্ণুতা, ২. দৃঢ় প্রতিজ্ঞা এবং অনুপ্রেরণাদানের সামর্থ্য, ৩. দায়িত্বশীলতা এবং বুদ্ধি বৃত্তিগত সক্ষমতা, ৪. মানসিক স্থিতিশীলতা, ৫. বর্তমান বিশ্ব সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান, ৬. ব্যক্তিগত অনুপ্রেরণা, ৭. শিক্ষাগত যোগ্যতা, ৮. নিজেকে প্রকাশ করার ক্ষমতা এবং সম্মোহনী শক্তি।’
একটি দেশের উন্নয়ন ও বিকাশ নির্ভর করে সঠিক নেতৃত্বের ওপর। যেমন বাংলাদেশের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, মালয়েশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদ, তুরস্কের কামাল আতাতুর্ক উল্লেখযোগ্য। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমান, ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন, লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গাদ্দাফি এক ব্যক্তির শাসন কায়েম করে গণতন্ত্র বিলুপ্ত করেন।
শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ, একদলীয় বাকশালব্যবস্থা প্রবর্তন, রক্ষীবাহিনীর মাধ্যমে বিরোধী মতের ওপর দমন-পীড়ন করে অপরাজনীতি কায়েম করার মাধ্যমে ধ্বংস করেন গণতন্ত্র। পিতার পথ অনুসরণ করে তার কন্যা বাংলাদেশে চালু করেন ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য দমন করেন বিরোধীদের। ধ্বংস করেন দেশের বিচারব্যবস্থা, অর্থনৈতিক কাঠামো, প্রতিরক্ষা, প্রশাসনসহ সব গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া, গুম ও খুনের মাধ্যমে দেশে প্রতিষ্ঠা করেন ত্রাসের রাজত্ব।
ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ গঠনের লক্ষ্য আজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে গ্রিক দার্শনিক প্লেটো ‘সৎ’ ব্যক্তিদের ওপর দেশের শাসনভার ন্যস্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন।
৯ মাস যুদ্ধ, অনেক আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি লাল সবুজের একটি পতাকা, একটি ভূখণ্ড। কিন্তু যে চেতনা নিয়ে এ দেশের মুক্তিপাগল ছাত্র-জনতা দেশ স্বাধীন করেছে, জনগণ আজও তার সুফল পাননি। কারণ গণতন্ত্রের সঠিক বিকাশ হয়নি এ দেশে।
কিছু অসাধু নেতৃত্বের জন্য আমাদের মাতৃভূমি বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও আমাদের দেশের জনগণ একটি অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছে, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সঠিক পথ খুঁজছে। জনগণ দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের অপেক্ষায়।
যেখানে আজ উন্নতবিশ্ব আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে সারা বিশ্বে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করছে, সেখানে আমরা আজও ভোট আর ভাতের নিশ্চয়তার জন্য সংগ্রাম করছি। একটি জাতির মেরুদণ্ড হলো শিক্ষাব্যবস্থা কিন্তু আমাদের দেশে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার। ধর্মীয় মূল্যবোধবিবর্জিত, নাস্তিকতাবাদ, ইসলামবিদ্বেষী শিক্ষা প্রচলন করে জাতিকে মেধাশূন্য করার নীলনকশা বাস্তবায়ন করেছে পতিত সরকার। একটি জাতির শিক্ষাব্যবস্থা যদি ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে সে দেশ আর সহজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না।
তাই ধর্মীয় মূল্যবোধ ঠিক রেখে একটি আধুনিক শিক্ষানীতি ও শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা এখন সময়ের দাবি। রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে যদি যোগ্য আর মেধাবীদের দায়িত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা না করা যায়, তবে দেশ হিসেবে আমরা বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব না।
লেখক : সাবেক সহসভাপতি, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটি
এই বছর অর্থনীতির নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে উদ্ভাবন ও সৃজনশীল ধ্বংসের প্রক্রিয়া (creative destruction) কীভাবে দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে সেই গবেষণার ওপর। নতুন প্রযুক্তি ও ধারণা পুরোনো ব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপন করে সমাজ যখন পরিবর্তনের জন্য উন্মুক্ত থাকে, তখনই টেক
১২ ঘণ্টা আগে‘মনের তালা খুলল কে, চাবিওয়ালা, চাবিওয়ালা!’ প্রখ্যাত শিল্পী রুনা লায়লার সেই সুরেলা প্রশ্নের উত্তর আজও খুঁজে বেড়াচ্ছি! তবে ব্যক্তিগত জীবনে নয়, রাষ্ট্রীয় জীবনে। এই রাষ্ট্রের জীবনেও একটা বিশেষ তালা আছে, আর তার নাম আর্টিকেল ৭০! এই তালা লাগানো হয়েছিল সেই সব মাননীয়র জন্য, যাদের মধ্যে ‘ছাগলীয়’ প্রবৃত্তি রয়ে
১২ ঘণ্টা আগেভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে প্রায়ই তার পরম বন্ধু বলে বেশ গৌরবের সঙ্গে প্রচার করে থাকেন। ভিন্ন দেশের এ দুই রাজনীতিবিদের প্রগাঢ় বন্ধুত্বের মূল সূত্র হলো মুসলমানদের প্রতি তাদের তীব্র ঘৃণা। বর্তমান বিশ্বে ইসলামোফোবিয়ায় আক্রান্ত শীর্ষ দুটি
১২ ঘণ্টা আগেগাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে যখন হতাশা চরমে, তখনই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন এক নতুন ‘২০ দফার শান্তি পরিকল্পনা’। সেখানে তিনি নিজেকে বসিয়েছেন একটি তথাকথিত ‘বোর্ড অব পিস’-এর চেয়ারম্যান হিসেবে।
২ দিন আগে