তাহসিনা জামান
বিশ্ব কূটনীতির ইতিহাসে ক্রীড়াকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় সম্পর্কের বরফ গলানোর এক অনন্য নজির স্থাপন করেছিল চীন। ১৯৭১ সালের যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে দীর্ঘ শীতল সম্পর্ককে উষ্ণ করতে ব্যবহৃত হয়েছিল টেবিল টেনিস খেলা। যুক্তরাষ্ট্রকে টেবিল টেনিস খেলতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল চীন। একে বলা হয় ‘পিং পং ডিপ্লোম্যাসি (কূটনীতি)’। সেই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের পঞ্চাশ বছর পর আবার চীন ক্রীড়াকে কূটনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে যাচ্ছে, এবার লক্ষ্য বাংলাদেশ।
সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানিয়েছেন, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে চীনে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এই প্রস্তাব নিছক একটি খেলার আমন্ত্রণ নয়; বরং এটিকে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের একটি কৌশল হিসেবেই দেখা উচিত এবং এই প্রক্রিয়াকে ‘ক্রিকেট ডিপ্লোম্যাসি বা ক্রিকেট কূটনীতি’ বলা যেতেই পারে।
১৯৭১ সালে, ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও স্নায়ুযুদ্ধের উত্তাল সময়কাল। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে তখন কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল না। এমন প্রেক্ষাপটে জাপানে অনুষ্ঠিত বিশ্ব টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে চীনা খেলোয়াড় ঝুয়াং জেডং হঠাৎই যুক্তরাষ্ট্রের খেলোয়াড় গ্লেন কাওয়িকে তার বাসে আমন্ত্রণ জানান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই চীন আমন্ত্রণ জানায় পুরো মার্কিন পিংপং দলকে। ১০ সদস্যের সেই দলটি ১৯৭১ সালের এপ্রিলে চীন সফর করে। এ সফরই হয়ে ওঠে দুই পরাশক্তির সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের সূচনা।
পরে, ১৯৭২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন চীন সফরে যান, যা ছিল এক যুগান্তকারী ঘটনা। তারই পথ ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় চীন-যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক সম্পর্ক। পিংপং খেলার মাধ্যমে শুরু হওয়া এই যোগাযোগ আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক বরাবরই বন্ধুত্বপূর্ণ। তবে বিগত দেড় দশকে, বিশেষ করে শেখ হাসিনা সরকারের সময়কালে এই সম্পর্কের মাঝে খাদ ছিল। অবকাঠামো নির্মাণ, বিদ্যুৎ খাত, যোগাযোগব্যবস্থা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সব খাতে চীন এখন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হলেও মন-কষাকষি একটা ছিলই। আর তা মূলত ছিল ভারতের সঙ্গে হাসিনা সরকারের অতি-প্রীতির জন্য। চীন ও ভারতের মধ্যে দা-কুমড়ার সম্পর্ক হওয়ায় মোদি সরকারের কাছে হাসিনা সরকারের সেই আত্মসমর্পণ কখনোই ভালো চোখে দেখেনি বেইজিং। তবে হাসিনা সরকারের রক্তক্ষয়ী বিদায়ের পর পরিস্থিতি বদলেছে। এখন ভারতের সঙ্গে চোখে চোখ রেখেই ন্যায্য কথা বলতে ভয় করে না বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। ফলে, চীনের সঙ্গে সম্পর্ক এখন আগের চেয়েও ভালো হয়েছে।
তবে এই সম্পর্কের মধ্যে কিছু সমালোচনাও রয়েছে। অনেকে মনে করেন, বাংলাদেশের চীনের ওপর নির্ভরতা বাড়ছে এবং এতে ভারসাম্য রক্ষা কঠিন হয়ে পড়ছে, বিশেষ করে ভারত বা পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে কৌশলগত ভারসাম্যের প্রশ্নে। এই প্রেক্ষাপটে চীনের ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তাব নিঃসন্দেহে ইতিবাচক এক দৃষ্টিভঙ্গির পরিচায়ক। কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরো জনপরিসরে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে ক্রীড়া হলো সবচেয়ে মানবিক ও কার্যকর মাধ্যম।
বাংলাদেশ যদি চীনের আমন্ত্রণে জাতীয় ক্রিকেট দল পাঠায়, তবে সেটি হবে শুধু একটি প্রীতিম্যাচ নয়—বরং একটি কৌশলগত বার্তা। চীনের জন্য এটি দক্ষিণ এশিয়ায় সফট পাওয়ার বিস্তারের একটি সুযোগ, বিশেষ করে এমন এক অঞ্চলে যেখানে তারা ভারতের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে। বাংলাদেশের জন্য এই প্রস্তাব কূটনৈতিক কৌশলগত ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক হতে পারে। এটি চীনকে ঘনিষ্ঠতা প্রদর্শনের সুযোগ দিলেও সরাসরি নির্ভরতার পথে নিয়ে যায় না। বাংলাদেশ যদি চীনের সঙ্গে ক্রিকেট প্রশিক্ষণ, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ট্যালেন্ট এক্সচেঞ্জে এগোয়, তবে এর ফল শুধু ক্রীড়া খাতেই নয়—সামগ্রিকভাবে কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও ইতিবাচক হবে।
তুলনামূলকভাবে বলতে গেলে, ১৯৭১ সালের যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক ছিল উত্তেজনাপূর্ণ ও বিচ্ছিন্ন। তাই পিংপং কূটনীতি ছিল একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। অথচ বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে এমন কোনো বৈরিতা নেই। বরং দুদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ইতোমধ্যেই সুদৃঢ় এবং বহু খাতে বিস্তৃত। তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ মিল রয়েছে, দুটি ঘটনাই কূটনীতির মাধ্যমে পারস্পরিক আস্থা বাড়ানোর চেষ্টা। পিংপং কূটনীতি এক ঐতিহাসিক মোড় তৈরি করেছিল আর ক্রিকেট কূটনীতি, যদি সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়, তাহলে তা চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি নতুন মাত্রা যুক্ত করতে পারে।
পিংপং ডিপ্লোম্যাসি যেমন বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন দ্বার খুলে দিয়েছিল, তেমনি এই ‘ক্রিকেট ডিপ্লোম্যাসি’ বাংলাদেশের জন্য হতে পারে এক নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত। এটি শুধু চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককেই আরো দৃঢ় করবে না, বরং প্রমাণ করতে পারে খেলাধুলা শুধু মাঠেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক গড়ার অন্যতম মানবিক উপায়ও বটে। যদি সবকিছু পরিকল্পনামাফিক এগোয়, তবে হয়তো ভবিষ্যতে এই ‘ক্রিকেট ডিপ্লোম্যাসি’কেই ইতিহাসের আরেকটি পাতায় জায়গা করে দিতে পারবে দক্ষিণ এশিয়ার এই উদীয়মান দুই বন্ধুরাষ্ট্র।
লেখক : আইন গবেষক
বিশ্ব কূটনীতির ইতিহাসে ক্রীড়াকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় সম্পর্কের বরফ গলানোর এক অনন্য নজির স্থাপন করেছিল চীন। ১৯৭১ সালের যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে দীর্ঘ শীতল সম্পর্ককে উষ্ণ করতে ব্যবহৃত হয়েছিল টেবিল টেনিস খেলা। যুক্তরাষ্ট্রকে টেবিল টেনিস খেলতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল চীন। একে বলা হয় ‘পিং পং ডিপ্লোম্যাসি (কূটনীতি)’। সেই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের পঞ্চাশ বছর পর আবার চীন ক্রীড়াকে কূটনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে যাচ্ছে, এবার লক্ষ্য বাংলাদেশ।
সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানিয়েছেন, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে চীনে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এই প্রস্তাব নিছক একটি খেলার আমন্ত্রণ নয়; বরং এটিকে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের একটি কৌশল হিসেবেই দেখা উচিত এবং এই প্রক্রিয়াকে ‘ক্রিকেট ডিপ্লোম্যাসি বা ক্রিকেট কূটনীতি’ বলা যেতেই পারে।
১৯৭১ সালে, ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও স্নায়ুযুদ্ধের উত্তাল সময়কাল। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে তখন কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল না। এমন প্রেক্ষাপটে জাপানে অনুষ্ঠিত বিশ্ব টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে চীনা খেলোয়াড় ঝুয়াং জেডং হঠাৎই যুক্তরাষ্ট্রের খেলোয়াড় গ্লেন কাওয়িকে তার বাসে আমন্ত্রণ জানান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই চীন আমন্ত্রণ জানায় পুরো মার্কিন পিংপং দলকে। ১০ সদস্যের সেই দলটি ১৯৭১ সালের এপ্রিলে চীন সফর করে। এ সফরই হয়ে ওঠে দুই পরাশক্তির সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের সূচনা।
পরে, ১৯৭২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন চীন সফরে যান, যা ছিল এক যুগান্তকারী ঘটনা। তারই পথ ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় চীন-যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক সম্পর্ক। পিংপং খেলার মাধ্যমে শুরু হওয়া এই যোগাযোগ আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক বরাবরই বন্ধুত্বপূর্ণ। তবে বিগত দেড় দশকে, বিশেষ করে শেখ হাসিনা সরকারের সময়কালে এই সম্পর্কের মাঝে খাদ ছিল। অবকাঠামো নির্মাণ, বিদ্যুৎ খাত, যোগাযোগব্যবস্থা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সব খাতে চীন এখন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হলেও মন-কষাকষি একটা ছিলই। আর তা মূলত ছিল ভারতের সঙ্গে হাসিনা সরকারের অতি-প্রীতির জন্য। চীন ও ভারতের মধ্যে দা-কুমড়ার সম্পর্ক হওয়ায় মোদি সরকারের কাছে হাসিনা সরকারের সেই আত্মসমর্পণ কখনোই ভালো চোখে দেখেনি বেইজিং। তবে হাসিনা সরকারের রক্তক্ষয়ী বিদায়ের পর পরিস্থিতি বদলেছে। এখন ভারতের সঙ্গে চোখে চোখ রেখেই ন্যায্য কথা বলতে ভয় করে না বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। ফলে, চীনের সঙ্গে সম্পর্ক এখন আগের চেয়েও ভালো হয়েছে।
তবে এই সম্পর্কের মধ্যে কিছু সমালোচনাও রয়েছে। অনেকে মনে করেন, বাংলাদেশের চীনের ওপর নির্ভরতা বাড়ছে এবং এতে ভারসাম্য রক্ষা কঠিন হয়ে পড়ছে, বিশেষ করে ভারত বা পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে কৌশলগত ভারসাম্যের প্রশ্নে। এই প্রেক্ষাপটে চীনের ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তাব নিঃসন্দেহে ইতিবাচক এক দৃষ্টিভঙ্গির পরিচায়ক। কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরো জনপরিসরে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে ক্রীড়া হলো সবচেয়ে মানবিক ও কার্যকর মাধ্যম।
বাংলাদেশ যদি চীনের আমন্ত্রণে জাতীয় ক্রিকেট দল পাঠায়, তবে সেটি হবে শুধু একটি প্রীতিম্যাচ নয়—বরং একটি কৌশলগত বার্তা। চীনের জন্য এটি দক্ষিণ এশিয়ায় সফট পাওয়ার বিস্তারের একটি সুযোগ, বিশেষ করে এমন এক অঞ্চলে যেখানে তারা ভারতের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে। বাংলাদেশের জন্য এই প্রস্তাব কূটনৈতিক কৌশলগত ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক হতে পারে। এটি চীনকে ঘনিষ্ঠতা প্রদর্শনের সুযোগ দিলেও সরাসরি নির্ভরতার পথে নিয়ে যায় না। বাংলাদেশ যদি চীনের সঙ্গে ক্রিকেট প্রশিক্ষণ, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ট্যালেন্ট এক্সচেঞ্জে এগোয়, তবে এর ফল শুধু ক্রীড়া খাতেই নয়—সামগ্রিকভাবে কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও ইতিবাচক হবে।
তুলনামূলকভাবে বলতে গেলে, ১৯৭১ সালের যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক ছিল উত্তেজনাপূর্ণ ও বিচ্ছিন্ন। তাই পিংপং কূটনীতি ছিল একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। অথচ বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে এমন কোনো বৈরিতা নেই। বরং দুদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ইতোমধ্যেই সুদৃঢ় এবং বহু খাতে বিস্তৃত। তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ মিল রয়েছে, দুটি ঘটনাই কূটনীতির মাধ্যমে পারস্পরিক আস্থা বাড়ানোর চেষ্টা। পিংপং কূটনীতি এক ঐতিহাসিক মোড় তৈরি করেছিল আর ক্রিকেট কূটনীতি, যদি সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়, তাহলে তা চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি নতুন মাত্রা যুক্ত করতে পারে।
পিংপং ডিপ্লোম্যাসি যেমন বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন দ্বার খুলে দিয়েছিল, তেমনি এই ‘ক্রিকেট ডিপ্লোম্যাসি’ বাংলাদেশের জন্য হতে পারে এক নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত। এটি শুধু চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককেই আরো দৃঢ় করবে না, বরং প্রমাণ করতে পারে খেলাধুলা শুধু মাঠেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক গড়ার অন্যতম মানবিক উপায়ও বটে। যদি সবকিছু পরিকল্পনামাফিক এগোয়, তবে হয়তো ভবিষ্যতে এই ‘ক্রিকেট ডিপ্লোম্যাসি’কেই ইতিহাসের আরেকটি পাতায় জায়গা করে দিতে পারবে দক্ষিণ এশিয়ার এই উদীয়মান দুই বন্ধুরাষ্ট্র।
লেখক : আইন গবেষক
এই বছর অর্থনীতির নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে উদ্ভাবন ও সৃজনশীল ধ্বংসের প্রক্রিয়া (creative destruction) কীভাবে দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে সেই গবেষণার ওপর। নতুন প্রযুক্তি ও ধারণা পুরোনো ব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপন করে সমাজ যখন পরিবর্তনের জন্য উন্মুক্ত থাকে, তখনই টেক
১৪ ঘণ্টা আগে‘মনের তালা খুলল কে, চাবিওয়ালা, চাবিওয়ালা!’ প্রখ্যাত শিল্পী রুনা লায়লার সেই সুরেলা প্রশ্নের উত্তর আজও খুঁজে বেড়াচ্ছি! তবে ব্যক্তিগত জীবনে নয়, রাষ্ট্রীয় জীবনে। এই রাষ্ট্রের জীবনেও একটা বিশেষ তালা আছে, আর তার নাম আর্টিকেল ৭০! এই তালা লাগানো হয়েছিল সেই সব মাননীয়র জন্য, যাদের মধ্যে ‘ছাগলীয়’ প্রবৃত্তি রয়ে
১৫ ঘণ্টা আগেভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে প্রায়ই তার পরম বন্ধু বলে বেশ গৌরবের সঙ্গে প্রচার করে থাকেন। ভিন্ন দেশের এ দুই রাজনীতিবিদের প্রগাঢ় বন্ধুত্বের মূল সূত্র হলো মুসলমানদের প্রতি তাদের তীব্র ঘৃণা। বর্তমান বিশ্বে ইসলামোফোবিয়ায় আক্রান্ত শীর্ষ দুটি
১৫ ঘণ্টা আগেগাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে যখন হতাশা চরমে, তখনই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন এক নতুন ‘২০ দফার শান্তি পরিকল্পনা’। সেখানে তিনি নিজেকে বসিয়েছেন একটি তথাকথিত ‘বোর্ড অব পিস’-এর চেয়ারম্যান হিসেবে।
২ দিন আগে