দক্ষিণ এশিয়ায় হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির প্রভাব

মো. আন নাজমুস সাকিব খান
প্রকাশ : ০৩ মে ২০২৫, ১১: ৪৩

ভারতের ভূস্বর্গ-খ্যাত কাশ্মীরের পেহেলগামে সম্প্রতি এক মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, যেখানে ২৬ নিরীহ নাগরিক নিহত হয়েছেন। ঘটনাটির সুদূরপ্রসারী প্রভাব দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতি ও ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিতে পড়তে যাচ্ছে। পাশাপাশি কাশ্মীরের মতো এত উচ্চ নিরাপত্তাবেষ্টিত অঞ্চলে এ ধরনের পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড কীভাবে সম্ভব হলো, তা নিয়ে সচেতন মহলে গভীর প্রশ্ন জন্ম দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

কাশ্মীর ইস্যু দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রধান ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক সমস্যা, যা বিগত এক শতাব্দীতে কাশ্মীরের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধান উপস্থাপন করতে পারেনি। ১৯৭২ সালে সিমলা চুক্তির মাধ্যমে তৎকালীন নিয়ন্ত্রণ রেখা (LOC) ভারত ও পাকিস্তান উভয় পক্ষ কর্তৃক স্বীকৃত সীমানা হিসেবে নির্ধারিত হয় এবং দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে সচেষ্ট হওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক দশকগুলোয় পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি ঘটেনি; বরং সীমান্ত পেরিয়ে সশস্ত্র তৎপরতা, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ও ভারতশাসিত কাশ্মীরের রাজনৈতিক অস্থিরতা ক্রমেই বেড়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতায় নতুন মাত্রা যোগ হয় যখন ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে ভারত সরকার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে, যার মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও রাজ্যমর্যাদা রহিত হয়। এর ফলে ব্যাপক বিক্ষোভ, ৫৫২ দিনের ইন্টারনেট শাটডাউন, ব্যাপক ধরপাকড় ও পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। গত বছর অক্টোবরে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়। এর মূল কারণ ছিল সুপ্রিম কোর্টের আদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীরে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের খনিজ (লিথিয়াম) সম্পদের নিলাম প্রক্রিয়া। কারণ শুধু রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সরকারের কাছেই নিলাম ও খনির জমির ছাড় দেওয়ার বৈধ অধিকার রয়েছে।

সম্প্রতি ২২ এপ্রিলের মর্মস্পর্শী ঘটনাটি অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। বিগত ২৫ বছরে প্রথমবারের মতো নিরীহ পর্যটকদের ওপর হামলা কেন হলো? আগের ঘটনাগুলোয় কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীগুলো মূলত ভারতীয় সেনা ও প্যারামিলিটারির ওপর আক্রমণ করত। কাশ্মীরের জনগোষ্ঠীর অর্থনীতি মূলত পর্যটন ও হর্টিকালচার কৃষিনির্ভর। এমনকি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীগুলোও এই অর্থনীতির ওপর নির্ভরশীল। তা হলে কেন তারা তাদের নিজেদের উপার্জন ক্ষতিগ্রস্ত করবে? কাশ্মীর অঞ্চল পৃথিবীর অন্যতম উচ্চ সামরিকীকৃত অঞ্চল, যেখানে ৫ লাখ ৭০ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। এই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। নিহতদের স্ত্রীদের ভাষ্য অনুযায়ী, ধর্মীয় পরিচয় জেনে বেছে বেছে হিন্দু পুরুষদের হত্যা করা হয়েছে, যদিও হামলায় সাইয়েদ আদিল হোসেন নামক এক মুসলিম কাশ্মীরি ট্যুর গাইড সাহসিকতার সঙ্গে লড়তে গিয়ে নিহত হয়েছেন এবং একজন খ্রিষ্টানও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন, কিন্তু ভারতীয় মিডিয়ায় বারবার হিন্দু হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টিকোণ সামনে আনা হয়।

ভারত সরকার এ ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং ভারতের মিডিয়াগুলোয় এর প্রমাণ হিসেবে কিছুদিন আগে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির কর্তৃক কাশ্মীরের ব্যাপারে দেওয়া ভাষণকে উপস্থাপন করা হয়। অবশ্য আগের ঘটনাগুলোয় পাকিস্তানের যোগসাজশের অভিযোগ থাকলেও বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে তাদের কোনো কৌশলগত সুবিধা লাভের সম্ভাবনা ক্ষীণ।

ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে কাশ্মীরের ঘটনাটি ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এর আগে এ ধরনের ঘটনাগুলো ভারতের হিন্দুত্ববাদী বিজেপির রাজনীতিকে সহযোগিতা জুগিয়েছে। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা ঘটনা এবং পরবর্তী সময়ে বালাকোট সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে কেন্দ্র করে বিজেপি ব্যাপকভাবে নির্বাচনে জয়ী হয়। বিজেপি ৩০৩ আসনে প্রায় ৩৮ শতাংশ ভোট শেয়ারের মাধ্যমে জয়লাভ করে, যার মূলভিত্তি ছিল হিন্দুত্ববাদ ও তীব্র জাতীয়তাবাদী চেতনা। কিন্তু গত বছর ভারতের জাতীয় নির্বাচনে বিজেপি আশানুরূপ ফল করতে পারেনি। তাদের আসনসংখ্যা ২৪০-এ নেমে আসে এবং ভোট কমে ৩৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ হয়। রামমন্দির উদ্বোধন, বলিউডে ব্যাপক হিন্দুত্ববাদী চলচ্চিত্র, ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল এবং নানা মুসলিমবিরোধী বিল ও ঘটনা সত্ত্বেও অর্থনৈতিক সমস্যা ও বেকারত্বের কারণে বিজেপির জনপ্রিয়তা কমতে থাকে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও বিজেপি কিছু অবশ্যম্ভাবী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন। প্রথমত, বিজেপির এক অলিখিত নিয়ম রয়েছে যে, ৭৫ বছর বয়সে রাজনীতিবিদরা অবসর গ্রহণ করবেন। এর আগে এলকে আদভানি, মনোহর যোশি ও যশবন্ত সিনহার মতো রাজনীতিবিদরা একইভাবে অবসর গ্রহণ করেছেন। কিন্তু মোদি বর্তমানেও ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা এবং বিজেপির প্রধান জনপ্রিয়তার স্তম্ভ। তাই আরএসএসের সঙ্গে কিছু বিষয়ে মতবিরোধ তৈরি হলেও মোদির রাজনীতিতে থাকার ব্যাপারে সমঝোতা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, বর্তমানে ভারতের অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও বেকার সমস্যা থেকে উদ্ধারের কোনো সুস্পষ্ট সমাধান বিজেপির কাছে নেই। এ ছাড়া ভাষাগত বিরোধের কারণে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রের ক্রমবর্ধমান দূরত্ব এবং আসন্ন সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস সেই বিভেদকে আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই বিজেপি জনগণকে এ ধরনের ঘটনার মাধ্যমে হিন্দুত্ববাদী ভাবধারার দিকে আরো বেশি আকৃষ্ট করার চেষ্টা করবে। সম্প্রতি ওয়াক্‌ফ বোর্ডের মতো মুসলিম স্বার্থবিরোধী বিল আইনসভায় পাস হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ঐতিহাসিক মসজিদে মন্দির খোঁজার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে বিরোধী রাজনৈতিক শিবির নানাভাবে বিভক্ত এবং প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস দুর্বল হলেও পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস এক দুর্গের মতো অবস্থান করছে। ব্যাপক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি তেমন সুবিধা করতে পারেনি। আসন্ন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে ওয়াক্‌ফ বিলকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে সংগঠিত সাম্প্রতিক দাঙ্গা এবং পেহেলগামের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি হিন্দু ভোটগুলো একত্র করার চেষ্টা করবে।

কাশ্মীরের পেহেলগামের মতো ঘটনাগুলো স্বাভাবিকভাবেই সরকারের নিরাপত্তা সক্ষমতাকে প্রশ্নের মুখে ফেললেও ভারতীয় মিডিয়ার ভাষ্য ও বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের দুর্বলতা বিজেপিকে তুলনামূলকভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছে। ভারতীয় মিডিয়া এ ঘটনাকে হিন্দু হত্যার দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপন করার মাধ্যমে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিতে ইন্ধন জোগাচ্ছে, যার ফলস্বরূপ সোশ্যাল মিডিয়া এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোয় ব্যাপক মুসলিমবিদ্বেষী মনোভাব দেখা যাচ্ছে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে ‘কুকুর ও মুসলিম প্রবেশ নিষেধ’ এ ধরনের পোস্টারও দেখা যায়, যা হিটলারের নাৎসি জার্মানিকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

ভারত এই ঘটনার পরপরই পাকিস্তানের সঙ্গে বিদ্যমান দীর্ঘদিনের সিন্ধু পানি চুক্তি বাতিলের মতো বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি ভিসা বাতিল, কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিতকরণসহ নানা ধরনের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। অন্যদিকে পাকিস্তান পালটা বৃহত্তর পদক্ষেপ হিসেবে শিমলা চুক্তি বাতিল, ভারতীয় এয়ারলাইনসের জন্য আকাশসীমা বন্ধ এবং সিন্ধু পানি চুক্তি বাতিলের জন্য এমনকি যুদ্ধ ঘোষণার ইঙ্গিতও দিয়েছে। একইসঙ্গে পাকিস্তান এই ঘটনার নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক অনুসন্ধানেরও আহ্বান জানিয়েছে। ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় সম্পন্ন ল্যান্ডমার্ক সিন্ধু পানি চুক্তি অনুযায়ী, সিন্ধু অববাহিকার পশ্চিমের তিনটি নদী সিন্ধু, ঝিলাম ও চেনাবের পানি পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দ এবং আগের নদীসমূহ শতদ্রু, বিপাশা ও রাভি নদীগুলোর পানি ভারতের একচ্ছত্র কর্তৃত্বে থাকবে। এই তিনটি নদী পাকিস্তানের লাইফলাইন, দেশটির ৮৪ শতাংশ কৃষি এর ওপর নির্ভরশীল। এর পাশাপাশি জলপ্রবাহ কমে গেলে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হবে, ব্যাপক পরিবেশগত ক্ষতি হবে, অভ্যন্তরীণ রাজ্যগুলোর মধ্যে পানি নিয়ে বিরোধ বৃদ্ধি পাবে এবং পাকিস্তানের অর্থনীতিতে এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। এরই মধ্যে এই উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে কাশ্মীর সীমান্তে পাক ও ভারতীয় সেনাদের মধ্যে গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে এবং উভয় দেশের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী মহড়া চালাচ্ছে। আরব সাগরে ভারতীয় বিমানবাহী রণতরি আইএনএস বিক্রান্ত (INS Vikrant) ও এর অ্যাটাক গ্রুপ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া ভারতীয় নৌবাহিনী ডেস্ট্রয়ার আইএনএস সুরাত (INS Surat) থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাও করা হয়েছে। আগের বালাকোটের অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে পাকিস্তানও সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করেছে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, দুপক্ষই এই মুহূর্তে কোনো প্রকার যুদ্ধে জড়াবে না। যদিও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর ব্যাপক চাপ ও প্রত্যাশা রয়েছে, ছোট আকারের সামরিক পদক্ষেপের মাধ্যমে হলেও প্রত্যুত্তর দেওয়ার।

অন্যদিকে এই ঘটনা পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীকে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ করে দেবে। জনগণের সঙ্গে ইমরান খান এবং গত বছর পাকিস্তানি ইলেকশনকে কেন্দ্র করে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তা কিছুটা হলেও কমার সুযোগ তৈরি হবে এবং সেনাবাহিনীর গুরুত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। সামরিক সক্ষমতার দিক দিয়ে চিন্তা করলে ভারতের তুলনায় পাকিস্তান খুব একটা পিছিয়ে নেই। কনভেনশনাল যুদ্ধে পাকিস্তান প্রায় ভারতের সমান সক্ষমতা রাখে, কারণ ভারতকে তার সামরিক শক্তির এক উল্লেখযোগ্য অংশ ইস্টার্ন কমান্ডে চীন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তে মোতায়েন রাখতে হয়। যদিও সম্প্রতি বেলুচিস্তানে স্বাধীনতা সংগ্রামী গোষ্ঠীর তৎপরতা ও আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর পাকিস্তানের পূর্ণ সামরিক সক্ষমতার ব্যবহার কিছুটা সীমিত হয়েছে।

ভারত ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমর্থন আশা করলেও ইসরায়েল বাদে কেউ তেমন জোরালো সমর্থন দেয়নি, যদিও সবাই এই মর্মান্তিক ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে। আমেরিকা, সৌদি আরব ও জাতিসংঘ উভয় পক্ষকে ধৈর্য ধারণ, সংলাপ ও দায়িত্বশীল আচরণ করতে আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু পেহেলগামের ঘটনা দীর্ঘ মেয়াদে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, যোগাযোগ, পারস্পরিক বিশ্বাস ও সার্ক পুনর্গঠনের মতো আকাঙ্ক্ষাগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। পাশাপাশি হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির প্রভাব বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে ডানপন্থি গোষ্ঠীগুলো বাংলাদেশে সক্রিয় হওয়ার সুযোগ পাবে এবং একে কেন্দ্র করে বিজেপিও সম্ভবত তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এর সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করবে। এ ছাড়া পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান যোগাযোগ ও বাণিজ্য ভারত ভালোভাবে গ্রহণ করবে না এবং নানাভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে, যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের রাজনীতি ও নির্বাচিত সরকারকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে।

লেখক : পিএইচডি গবেষক, ইনস্টিটিউট অব এনার্জি কনভার্সন, চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সেস

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত