ভারতের ওয়াক্ফ সংশোধনী আইন ২০২৫

মুসলিমদের নিঃশেষ করার পদক্ষেপ

আবদুল লতিফ মাসুম
প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯: ১৩

ওয়াক্ফ হলো মুসলিম আইনে স্বীকৃত একটি স্থায়ী ভূমি ব্যবস্থাপনা। এভাবে অস্থাবর বা স্থাবর সম্পত্তি ধর্মীয় উদ্দেশ্যে দান করা হয়। এই অনুদানকে ‘মুশরুত-উল-খিদমত’ বলা হয়। যিনি এই দান করেন, তাকে ‘ওয়াকিফ’ বলা হয়। মুসলিম বিশ্বে এই ওয়াক্ফ ব্যবস্থাপনা প্রচলিত। ওয়াক্ফ হলো ইসলাম দানের একটি প্রাচীন ব্যবস্থা, এর মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি স্থায়ীভাবে সাধারণত জমির মতো কোনো সম্পত্তি ধর্মীয় বা জনহিতকর কাজে ব্যবহারের জন্য দান করেন। এ ধরনের ওয়াক্ফ সম্পত্তি বিক্রি করা বা কারো নামে হস্তান্তর করা যায় না।

বিজ্ঞাপন

আল-কোরআনে ওয়াক্ফ সমর্থনে বলা হয়েছে- ‘তোমরা কখনো সওয়াব অর্জন করতে পারবে না, যতক্ষণ না ব্যয় করবে তা থেকে, যা তোমরা ভালোবাসো। আর যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।’ সুরা আল-ইমরান : ৩: ৯২। আরেকটি হাদিস এ রকম : ‘ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উমর (রা.) রাসুল (সা.)-এর সময় তার একটি সম্পত্তি ওয়াক্ফ করেন। সেটির নাম ছিল তুমনা, যা ছিল একটি খেজুর বাগান। উমর (রা.) বললেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, দান করো এ শর্তে যে, সেটি বিক্রি করা যাবে না, দান করা যাবে না, কেউ সেটির উত্তরাধিকারী হবে না। শুধু তার ফল-ফলাদি আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় হবে। উমর (রা.) তা সদকা করে দিলেন এ শর্তে যে, তার সেই সদকা আল্লাহর রাস্তায়, দাস মুক্তির জন্য, ফকির-মিসকিনদের জন্য, অতিথিদের জন্য, দুস্থ পথিকের জন্য এবং নিকটতম আত্মীয়দের জন্য ব্যয় করা হবে। তার তত্ত্বাবধায়ক (মোতাওয়াল্লি) ন্যায়সংগতভাবে ভক্ষণ করলে কোনো অপরাধ হবে না; অথবা তার এমন বন্ধুকে খেতে দিলেও অপরাধ হবে না, যার কোনো সম্পদ নেই।’ সহিহ আল-বোখারি। ওয়াক্ফ যেহেতু সদকা ও জাকাতের মতো একটি ইবাদত, বিশ্বের মতো ভারতের মুসলমানরাও শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এটি অনুসরণ করে আসছে। কিন্তু ভারতের বর্তমান মুসলিমবিদ্বেষী মোদি সরকার মুসলমানদের এই ব্যবস্থাকে নাকচ করে তাদের আরেক দফা নিঃশেষ করতে চাইছে। বিস্ময়ের ব্যাপার এই যে, তাও করতে চাচ্ছে মুসলমানদের কল্যাণের নামে, বৈষম্য দূরীকরণের নামে।

ভারত নামে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হলেও ১৯৪৭ সাল থেকে এর প্রধান নীতি হচ্ছে মুসলিম নিগ্রহ। ১৯৪৮ সালে এরা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মীর গায়ের জোরে দখল করে নেয়। এই অজুহাতে কাশ্মীরের ডোগরা রাজ ভারতে যোগ দেন। একই বছর বিপরীত অভিযোগে মুসলিম রাজ্য হায়দ্রাবাদ দখল করে নেন তারা। হায়দ্রাবাদের শাসক নিজাম পাকিস্তানে যোগ দিয়েছিলেন। এবার দখলের অজুহাত পাল্টে যায়। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ওপর তথাকথিত অত্যাচারের অজুহাতে দখল হয়ে যায় হায়দ্রাবাদ। সেখানের হাজার হাজার মুসলমানকে হত্যা করা হয়। এভাবেই গায়ের জোরে দখল করে নেয় দেশীয় রাজ্য জুনাগড় ও মানভাদার। কংগ্রেস শাসনামলে অধীনতামূলক মিত্রতার বিনিময়ে মুসলমানদের অবস্থান নাজুক হলেও কোনোমতে জীবনযাপন করছিল তারা। যতই নরেন্দ্র মোদিদের ‘হিন্দুতভা’ সম্প্রসারিত হতে থাকে, ততই মুসলমানদের জীবন, সম্মান ও সম্পত্তি সংকুচিত হতে থাকে। ১৯৯২ সালে সম্রাট বাবর প্রতিষ্ঠিত ‘বাবরি মসজিদ’ ধ্বংস করা হয়। অজুহাত সেটি নাকি ছিল রাম জন্মভূমি। রবীন্দ্রনাথ সাক্ষ্য দেন : ‘সেই সত্য, যা রচিবে তুমি, ঘটে যা তা সব সত্য নহে। কবি, তব মনোভূমি রামের জন্মস্থান, অযোধ্যার চেয়ে সত্য জেনো।’

এভাবেই ভাবকে বাস্তবতা দান করা হয়েছে। সেই থেকে মোদিরা ভারতের মুসলমানদের ওপর অত্যাচারের খড়্‌গ বারবার ব্যবহার করে আসছে। ধর্মস্থান আইনের তোয়াক্কা না করে সর্বত্র মসজিদ খোড়ার অন্যায়টিকে ন্যায়ের লেবাস দেওয়া হচ্ছে। মুসলমানদের ধর্ম, ধর্মস্থান ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পর্যন্ত বিপৎসংকুল হয়ে ওঠে। অসংখ্য মুসলমানকে হত্যা করা হয় এই অপরাধে যে তার ধরে গরুর গোশত থাকতে পারে। অসংখ্য মুসলমানকে হত্যা করা হয় এই কারণে যে, হিন্দুতভার বুলি ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে সে অস্বীকার করে। National Register of Citizens (NRC) Ges Citizenship Amendment Act (CAA) এবং অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রয়োগ করে মুসলমানদের উৎখাত করার অন্যায় অপচেষ্টা চলে। তথাকথিত লাভ জিহাদের নামে অথবা ল্যান্ড জিহাদের নামে মুসলমানদের ওপর বেপরোয়া আক্রমণ চলে। এবার আর একটি জিহাদের নাম শোনা যাচ্ছে। সেটির নাম ‘ইউপিএফসি জিহাদ’ গুজব ছড়ানো হচ্ছে যে মুসলমানরা ভারতের প্রশাসন দখলের নীলনকশা আঁটছে। এর আগে কাশ্মীরকে দেওয়া সাংবিধানিক স্বকীয়তা বাতিল করে সর্বাত্মক দখলে নেওয়া হয় এই রাজ্যটি। হিন্দু আধিপত্যবাদকে প্রতিষ্ঠার জন্য দ্বিখণ্ডকরণও করা হয়। নতুন ওয়াক্ফ আইন মুসলমানদের নিঃশেষ করার আরেক নির্মম পদক্ষেপ।

ওয়াক্ফ সংশোধনী বিল ২০২৫ ভারতীয় লোকসভায় ২০২৪ সালে ৮ আগস্ট পেশ করা হয়। এই বিলে ১৯২৩ সালের মুসলমান ওয়াক্ফ আইন বাতিল এবং ১৯৯৫ সালের ওয়াক্ফ আইন সংশোধন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ আইনের অধীনে ভারতে ওয়াক্ফ সম্পত্তি পরিচালিত হয়, যেখানে ওয়াক্ফের সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়েছে ধর্মীয় বা জনহিতকর কাজের জন্য মুসলিম আইন অনুসারে দানকৃত স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি। ওয়াক্ফ ব্যবস্থাপনার জন্য প্রতিটি রাজ্যেই ওয়াক্ফ বোর্ড গঠন করা হয়। ওয়াক্ফ পরিচালনার জন্য প্রতিটি রাজ্যকে একটি ওয়াক্ফ বোর্ড গঠন করতে হবে। বিলটি আইনটির নাম পরিবর্তন করে ‘একীভূত ওয়াক্ফ ব্যবস্থাপনা, ক্ষমতায়ন, দক্ষতা এবং উন্নয়ন আইন, ১৯৯৫’ রাখে। দৃশ্যত ওয়াক্ফ সম্পত্তির নিয়ন্ত্রণ নীতিই এই বিল পাস করা হয়েছে। ওয়াক্ফ বিলের সবচেয়ে বিতর্কিত ধারাগুলোর একটি হলো, এখানে একজন অমুসলিমকে ওয়াক্ফ বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অন্যধারা অনুযায়ী রাজ্যগুলোর ওয়াক্ফ বোর্ডে নিজ নিজ রাজ্যসরকার অন্তত দুজন অমুসলিমকে নিয়োগ দিতে পারবে। একজন জেলাপ্রশাসক বিতর্কিত আইনে ওয়াক্ফ হিসাব নিরীক্ষণ ও নির্ধারণ অথবা সরকারের মালিকানায় সম্পত্তি হস্তান্তরের ক্ষমতা ধারণ করবেন।

ভারতে ওয়াকফ ব্যবস্থাপনার রয়েছে বিরাট অতীত ইতিহাস। উপমহাদেশে প্রথম ওয়াকফের নথিভুক্তি ১২০০ শতকে পাওয়া যায়। প্রথম ভারত বিজয়ী মুসলিম শাসক মুহাম্মদ ঘোরি, স্থানীয় হিন্দু রাজা পৃথ্বীরাজ চৌহানের বিরুদ্ধে বিজয়ের পর ভারতে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করেন এবং দুটি গ্রাম ওয়াক্ফ হিসেবে একটি লিখিত অনুদানের মাধ্যমে দান করেন। দিল্লি সালতানাতের শাসনামলে ওয়াক্ফ সম্পত্তির ব্যাপক বিস্তার ঘটে। যেখানে ইলতুতমিশ, মুহাম্মদ বিন তুঘলক ও আলাউদ্দিন খলজি ওয়াক্ফ সম্পত্তি প্রতিষ্ঠা ও সংরক্ষণ করেন। মুঘল সাম্রাজ্যের সময় ওয়াক্ফ ব্যবস্থার আরো প্রসার ঘটে। আকবর ও শাহজাহান গুরুত্বপূর্ণ সম্পত্তি ওয়াক্ফ করেন, যার মধ্যে তাজমহলও রয়েছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রসার ও ধর্মান্তরের ফলে এ ব্যবস্থার বিস্তার গ্রামাঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ে। ওয়াক্ফের জন্য অর্থায়ন মূলত ওয়াক্ফকৃত গ্রামের রাজস্ব থেকে আসত, যা প্রায়ই হিন্দুপ্রধান গ্রাম ছিল এই অর্থ মসজিদ ও মাদরাসার জন্য ব্যবহার করা হতো। ব্রিটিশ শাসনামলে ভারতীয় উপমহাদেশে ওয়াক্ফ ব্যবস্থাকে আরো সংকুচিত ও শৃঙ্খলিত করা হয়। নরেন্দ্র মোদির মতো ব্রিটিশদের উদ্দেশ্যও ছিল একই রকম। ১৯১৩ সালে ওয়াক্ফ বোর্ড গঠন করা হয় এবং ১৯২৩ সালে ‘মুসলমান ওয়াক্ফ আইন’ প্রণয়ন করা হয়, যা রাজ্য ওয়াক্ফ বোর্ডগুলোর কার্যক্রম ও সুষ্ঠু প্রশাসনের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করত। ব্রিটিশরা ১৭৫৭ সালে মুসলমানদের রাজত্ব কেড়ে নেয়। ১৭৬৫ সালে খাজনা আদায়ের অধিকার লাভ করে। ১৭৯৩ সালে জমিদারি উচ্ছেদ করে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে মুসলমানদের জমিদারি হিন্দুদের হাতে তুলে দেয়। শহীদুল্লাহ কায়সারের ‘সংশপ্তক’ উপন্যাসে দেখানো হয়েছে কীভাবে নায়েব গোমস্তা ‘মিয়ার ব্যাটা মিয়াকে’ নিঃশেষ করে দিয়ে নিজেই জমিদার বনে বসে। ১৭৫৭ সাল থেকে ১৮৫৭- ১০০ বছর লেগে যায় ব্রিটিশদের কলকাতা থেকে দিল্লি পৌঁছাতে। কখনো যুদ্ধ, কখনো ভীতি প্রদর্শন, অধীনতামূলক মিত্রতা, সত্যবিলোপ নীতি- নানা ছলে-বলে কৌশলে ব্রিটিশরা যেমন মুসলমানদের নিঃশেষ করে দিয়েছেÑ ঠিক একই কৌশলে নরেন্দ্র মোদিরা মুসলমানদের ক্রমেই নিঃশেষ করার নীতি গ্রহণ করেছেন। ওয়াক্ফ আইন হচ্ছে এ ক্ষেত্রে সর্বশেষ সংস্করণ।

মোদি তথা বিজেপি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে মুসলমানরা তাদের সাংবিধানিক, আইনগত, রাজনৈতিক ও সামাজিক অধিকার হারিয়েছে। তারা এখন হিন্দু নেতৃত্বের ওপর নির্ভরশীল। মোদি তাদের স্বঘোষিত ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। তার ভাষায় ‘পসমন্দা’ পশ্চাৎপদ মুসলমানদের উদ্ধারে আবির্ভূত হয়েছেন। ওয়াক্ফ আইন সম্পর্কেও তাদের এই ভাষ্য। আসল কথা হলো- ওয়াক্ফের মাধ্যমে মুসলমানদের ওপর উপার্জিত ১২ হাজার কোটি রুপি হস্তগত করা। কিন্তু ভারতের গোটা মুসলমান নেতৃত্ব মোদির এই বয়ান প্রত্যাখ্যান করেছে। এই ইস্যুতে আবার চাঙা হওয়ার চেষ্টা করছে প্রায় ভঙ্গুর ‘ইন্ডিয়া জোট’। কিন্তু বেপরোয়া মোদি সরকার। ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের বিক্ষোভ এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর তীব্র আপত্তির মধ্যেই ওয়াক্ফ বিলে সম্মতি দিয়েছেন দেশটির বিজেপি বশংবদ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এর মধ্য দিয়ে বিতর্কিত আইনটি আইনে পরিণত হয়েছে। বিজেপিবিরোধী নেতৃত্ব এই আইনকে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর ওপরে আঘাত বলে বর্ণনা করছে। তারা বলছে, এর মাধ্যমে সংবিধানকে অবজ্ঞা করছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মর্যাদাহানি ঘটাচ্ছে। ভারতীয় সমাজকে বিভক্ত ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ভোটাধিকার বঞ্চিত করতে চায়।

এই ওয়াক্ফ বিল ভারতীয় মুসলিম জনসাধারণের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্ট করেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রদেশ তথা রাজ্যে বিক্ষোভ ও আন্দোলন শুরু হয়েছে। কলকাতা ও মণিপুরে ব্যাপক বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াক্ফ বিল কার্যকর না করার ঘোষণা দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল ২০২৫) মামলাটি শুনানির তারিখ দিয়েছেন। এই আইনের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের সীমান্তও উত্তপ্ত হয়েছে। মুর্শিদাবাদে গত শুক্রবার দফায় দফায় সংঘর্ষের জেরে অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরেও ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে এ আইন। প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল তীব্র ভাষায় এই আইনের নিন্দা জানিয়েছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ওয়াক্ফ আইন পুনর্বিবেচনা করতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিবাদ জ্ঞাপনের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। কূটনীতিক মহল মনে করে দিল্লি সরকার যখন কোনো ঠুনকো বিষয়ে প্রতিবাদ জ্ঞাপন করে, তখন ওয়াক্ফের মতো সংবেদনশীল ও জীবনঘনিষ্ঠ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিবাদ না করার কোনো কারণ থাকতে পারে না।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত