নাজমুল হুদা
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যায় জর্জরিত। সরকারি মেডিকেল কলেজগুলো পর্যাপ্ত ডাক্তার তৈরি করতে পারছে না। ফলে সারা দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। সরকার বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমেও পর্যাপ্ত ডাক্তার নিয়োগ দিতে পারছে না। এ অবস্থায় বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে কিছুটা হলেও এই ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করে আসছিল।
বিগত সরকারের আমলে সরকারি মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও অটোমেশনের ব্যবস্থা করা হয়। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় এই পদ্ধতি চালু করা হয়। সরকারি কলেজগুলোতে এই ব্যবস্থা কোনো সমস্যা সৃষ্টি না করলেও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এটি বিপর্যয় ডেকে এনেছে।
অটোমেশন চালু হওয়ার পর থেকে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে প্রতি বছরই আসন খালি থাকছে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ৪৬৭টি আসন এখনো খালি আছে। অনেকেই পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে না পেরে মেডিকেল কলেজেই আর ভর্তি হচ্ছেন না। ফলে অধরা থেকে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন।
সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যে বড় পার্থক্য হয় অর্থনৈতিক কারণে। বেসরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীদের ব্যয় একেক কলেজে একেক রকম। দেখা যায়, কারো আর্থিক সংগতি কম, অথচ অটোমেশনের কারণে এমন একটি কলেজে তার ভর্তির সুযোগ হয়েছে, যেখানে তার পড়ার সামর্থ্য নেই। কিন্তু তিনি যদি তার আর্থিক অবস্থার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ কোনো কলেজে ভর্তি হতে পারতেন, তাহলে হয়তো তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতো।
আবার কেউ হয়তো আর্থিক দিক দিয়ে সচ্ছল, কিন্তু তার জন্য আসন বরাদ্দ হয়েছে অপেক্ষাকৃত কম মানসম্পন্ন কোনো কলেজে। কিন্তু তিনি সেখানে ভর্তি হতে আগ্রহী নন। ফলে তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যাচ্ছে।
এছাড়া অনেক শিক্ষার্থীই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে তার বাসা থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দূরত্বের বিষয়টিও মাথায় রাখেন। বর্তমান ব্যবস্থায় কোনো শিক্ষার্থীর বাসা ঢাকায় থাকলেও তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্ধারিত হতে পারে দূরবর্তী কোনো জেলায়। কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো কোনো আবাসন ব্যবস্থা বেসরকারি এসব প্রতিষ্ঠানে নেই। তাই শিক্ষার্থীদেরই এক্ষেত্রে থাকার ব্যবস্থা করে নিতে হয়। সংগত কারণেই সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর আলোকে এগুলোকে বিবেচনা করার সুযোগ নেই।
অটোমেশনের কারণে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। বিদেশি শিক্ষার্থীরা সাধারণত দেশের উন্নত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়তে চান। কিন্তু অটোমেশনের ফলে তাদের সেই সুযোগ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ কারণে দেশ বৈদেশিক মুদ্রা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। অথচ এর আগে ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ফিলিস্তিনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বিদেশি শিক্ষার্থীরা পড়তে আসতেন।
অটোমেশন ব্যবস্থা চালুর পেছনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের একশ্রেণির কর্মকর্তার ষড়যন্ত্র আছে বলেও গুঞ্জন রয়েছে। এ দেশ থেকে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে রোগী ভাগিয়ে নেওয়ার দালাল কিংবা এজেন্ট রয়েছে। দেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে যখন বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছিল, সেই সময়ে শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণের নামে অটোমেশন পদ্ধতি চালু করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল বিদেশি ছাত্রছাত্রীরা যাতে এখানে ভর্তি হতে না পারে।
ভারত বয়কট ও ৫ আগস্ট-পরবর্তী পরিস্থিতির দিকে তাকালে এই গুঞ্জনের বাস্তবতা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ভারতে বাংলাদেশি সেবাপ্রত্যাশীরা না গেলে তাদের বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আমাদের দেশের রোগীদের কেন্দ্র করে ভারতের হাসপাতালগুলো প্রতি বছর মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করে। এসব বিষয় আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে, আমাদের চিকিৎসাব্যবস্থা উন্নত করা কতটা জরুরি।
সরকার যেখানে তার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যসেবাকে কাঙ্ক্ষিত মানে নিয়ে যেতে পারছে না, সেখানে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর সামনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করে বরং সেখানে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা তৈরি করে দিতে হবে।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোকে যথাযথভাবে কাজ করতে দিলে বাংলাদেশে চিকিৎসক ঘাটতি কমে আসবে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোকে তাদের চাহিদা ও যোগ্যতা অনুযায়ী শিক্ষার্থী বাছাইয়ের সুযোগ দেওয়া উচিত। কতিপয় বেসরকারি কলেজ ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছে।
সরকারি কলেজগুলোর কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। সেক্ষেত্রে কিছু বেসরকারি কলেজকে নিজেদের মান অনুসারে কাজ করতে দিলে এগুলোর মধ্য থেকে এমন কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে, যেগুলো আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারবে। ফলে বিদেশের পরিবর্তে দেশীয় চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে। এতে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় হবে। একইসঙ্গে গড়ে উঠতে পারে কিছু উন্নত বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানও।
কিন্তু অটোমেশনের বাধা সৃষ্টি করে যদি এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের মতো কাজ করতে না দেওয়া হয়, তাহলে একদিকে যেমন সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি অবিচার করা হবে, তেমনি বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর প্রতিও অবিচার করা হবে। তাই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে অটোমেশনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা জরুরি।
মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা সরকারিভাবে নির্ধারণ করা উচিত। কিন্তু বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে একটি সমন্বিত ব্যবস্থা সৃষ্টি করতে হবে, যেখানে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে। শিক্ষার্থীরাও তাদের সুযোগ-সুবিধা ও আর্থিক সক্ষমতার সঙ্গে সংগতি রেখে প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি হতে পারবে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যায় জর্জরিত। সরকারি মেডিকেল কলেজগুলো পর্যাপ্ত ডাক্তার তৈরি করতে পারছে না। ফলে সারা দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। সরকার বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমেও পর্যাপ্ত ডাক্তার নিয়োগ দিতে পারছে না। এ অবস্থায় বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে কিছুটা হলেও এই ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করে আসছিল।
বিগত সরকারের আমলে সরকারি মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও অটোমেশনের ব্যবস্থা করা হয়। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় এই পদ্ধতি চালু করা হয়। সরকারি কলেজগুলোতে এই ব্যবস্থা কোনো সমস্যা সৃষ্টি না করলেও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এটি বিপর্যয় ডেকে এনেছে।
অটোমেশন চালু হওয়ার পর থেকে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে প্রতি বছরই আসন খালি থাকছে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ৪৬৭টি আসন এখনো খালি আছে। অনেকেই পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে না পেরে মেডিকেল কলেজেই আর ভর্তি হচ্ছেন না। ফলে অধরা থেকে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন।
সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যে বড় পার্থক্য হয় অর্থনৈতিক কারণে। বেসরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীদের ব্যয় একেক কলেজে একেক রকম। দেখা যায়, কারো আর্থিক সংগতি কম, অথচ অটোমেশনের কারণে এমন একটি কলেজে তার ভর্তির সুযোগ হয়েছে, যেখানে তার পড়ার সামর্থ্য নেই। কিন্তু তিনি যদি তার আর্থিক অবস্থার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ কোনো কলেজে ভর্তি হতে পারতেন, তাহলে হয়তো তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতো।
আবার কেউ হয়তো আর্থিক দিক দিয়ে সচ্ছল, কিন্তু তার জন্য আসন বরাদ্দ হয়েছে অপেক্ষাকৃত কম মানসম্পন্ন কোনো কলেজে। কিন্তু তিনি সেখানে ভর্তি হতে আগ্রহী নন। ফলে তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যাচ্ছে।
এছাড়া অনেক শিক্ষার্থীই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে তার বাসা থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দূরত্বের বিষয়টিও মাথায় রাখেন। বর্তমান ব্যবস্থায় কোনো শিক্ষার্থীর বাসা ঢাকায় থাকলেও তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্ধারিত হতে পারে দূরবর্তী কোনো জেলায়। কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো কোনো আবাসন ব্যবস্থা বেসরকারি এসব প্রতিষ্ঠানে নেই। তাই শিক্ষার্থীদেরই এক্ষেত্রে থাকার ব্যবস্থা করে নিতে হয়। সংগত কারণেই সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর আলোকে এগুলোকে বিবেচনা করার সুযোগ নেই।
অটোমেশনের কারণে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। বিদেশি শিক্ষার্থীরা সাধারণত দেশের উন্নত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়তে চান। কিন্তু অটোমেশনের ফলে তাদের সেই সুযোগ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ কারণে দেশ বৈদেশিক মুদ্রা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। অথচ এর আগে ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ফিলিস্তিনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বিদেশি শিক্ষার্থীরা পড়তে আসতেন।
অটোমেশন ব্যবস্থা চালুর পেছনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের একশ্রেণির কর্মকর্তার ষড়যন্ত্র আছে বলেও গুঞ্জন রয়েছে। এ দেশ থেকে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে রোগী ভাগিয়ে নেওয়ার দালাল কিংবা এজেন্ট রয়েছে। দেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে যখন বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছিল, সেই সময়ে শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণের নামে অটোমেশন পদ্ধতি চালু করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল বিদেশি ছাত্রছাত্রীরা যাতে এখানে ভর্তি হতে না পারে।
ভারত বয়কট ও ৫ আগস্ট-পরবর্তী পরিস্থিতির দিকে তাকালে এই গুঞ্জনের বাস্তবতা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ভারতে বাংলাদেশি সেবাপ্রত্যাশীরা না গেলে তাদের বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আমাদের দেশের রোগীদের কেন্দ্র করে ভারতের হাসপাতালগুলো প্রতি বছর মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করে। এসব বিষয় আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে, আমাদের চিকিৎসাব্যবস্থা উন্নত করা কতটা জরুরি।
সরকার যেখানে তার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যসেবাকে কাঙ্ক্ষিত মানে নিয়ে যেতে পারছে না, সেখানে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর সামনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করে বরং সেখানে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা তৈরি করে দিতে হবে।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোকে যথাযথভাবে কাজ করতে দিলে বাংলাদেশে চিকিৎসক ঘাটতি কমে আসবে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোকে তাদের চাহিদা ও যোগ্যতা অনুযায়ী শিক্ষার্থী বাছাইয়ের সুযোগ দেওয়া উচিত। কতিপয় বেসরকারি কলেজ ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছে।
সরকারি কলেজগুলোর কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। সেক্ষেত্রে কিছু বেসরকারি কলেজকে নিজেদের মান অনুসারে কাজ করতে দিলে এগুলোর মধ্য থেকে এমন কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে, যেগুলো আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারবে। ফলে বিদেশের পরিবর্তে দেশীয় চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে। এতে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় হবে। একইসঙ্গে গড়ে উঠতে পারে কিছু উন্নত বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানও।
কিন্তু অটোমেশনের বাধা সৃষ্টি করে যদি এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের মতো কাজ করতে না দেওয়া হয়, তাহলে একদিকে যেমন সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি অবিচার করা হবে, তেমনি বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর প্রতিও অবিচার করা হবে। তাই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে অটোমেশনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা জরুরি।
মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা সরকারিভাবে নির্ধারণ করা উচিত। কিন্তু বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে একটি সমন্বিত ব্যবস্থা সৃষ্টি করতে হবে, যেখানে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে। শিক্ষার্থীরাও তাদের সুযোগ-সুবিধা ও আর্থিক সক্ষমতার সঙ্গে সংগতি রেখে প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি হতে পারবে।
এই বছর অর্থনীতির নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে উদ্ভাবন ও সৃজনশীল ধ্বংসের প্রক্রিয়া (creative destruction) কীভাবে দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে সেই গবেষণার ওপর। নতুন প্রযুক্তি ও ধারণা পুরোনো ব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপন করে সমাজ যখন পরিবর্তনের জন্য উন্মুক্ত থাকে, তখনই টেক
১১ ঘণ্টা আগে‘মনের তালা খুলল কে, চাবিওয়ালা, চাবিওয়ালা!’ প্রখ্যাত শিল্পী রুনা লায়লার সেই সুরেলা প্রশ্নের উত্তর আজও খুঁজে বেড়াচ্ছি! তবে ব্যক্তিগত জীবনে নয়, রাষ্ট্রীয় জীবনে। এই রাষ্ট্রের জীবনেও একটা বিশেষ তালা আছে, আর তার নাম আর্টিকেল ৭০! এই তালা লাগানো হয়েছিল সেই সব মাননীয়র জন্য, যাদের মধ্যে ‘ছাগলীয়’ প্রবৃত্তি রয়ে
১১ ঘণ্টা আগেভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে প্রায়ই তার পরম বন্ধু বলে বেশ গৌরবের সঙ্গে প্রচার করে থাকেন। ভিন্ন দেশের এ দুই রাজনীতিবিদের প্রগাঢ় বন্ধুত্বের মূল সূত্র হলো মুসলমানদের প্রতি তাদের তীব্র ঘৃণা। বর্তমান বিশ্বে ইসলামোফোবিয়ায় আক্রান্ত শীর্ষ দুটি
১২ ঘণ্টা আগেগাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে যখন হতাশা চরমে, তখনই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন এক নতুন ‘২০ দফার শান্তি পরিকল্পনা’। সেখানে তিনি নিজেকে বসিয়েছেন একটি তথাকথিত ‘বোর্ড অব পিস’-এর চেয়ারম্যান হিসেবে।
১ দিন আগে