ওমর শাহেদ
এই আয়োজনটি একেবারেই অন্যরকম। একটি পাঠাগার রাতে সাহরির আয়োজন করে। নাম শামসুল হক ভূঁইয়া স্মৃতি পাঠাগার। তাদের দেয়ালে নোটিশ টাঙানো আছে—‘রান্নার অসুবিধার জন্য যারা সাহরি করতে পারেন না, তাদের জন্য এবং ছিন্নমূল মানুষের জন্য আমাদের এই আয়োজন। আপনি নিঃসংকোচে আমাদের মেহমানখানায় সাহরি করতে পারবেন। বি.দ্র.: যারা সাহরি করতে চান, তাদের এক দিন আগে টোকেন সংগ্রহ করতে হবে। মোবাইল : ০১৯৮২৭১১৮৭০।’
পাঠকমেলার সদস্য সাইফুল ইসলাম বললেন, ‘রোববার আমরা টোকেন বিলিয়েছিলাম ৪৮টি, কিন্তু এসেছেন ৬০ জনের বেশি। মুরগির মাংসের সঙ্গে আলু, দুধ, কলা ও সাদা ভাতের আয়োজন ছিল।’ তাদের এই অসহায়দের খাওয়ানোর ব্যবস্থাটির নাম হলো মেহমানখানা। আর খাবারগুলো তারা খাওয়ান শামসুল হক ভূঁইয়া স্মৃতি পাঠাগারের সামনে। ঢাকার উত্তর যাত্রাবাড়ী বিবির বাগিচা ১ নম্বর গেটের পাশে আছে এই পাঠাগার। রোববার ৬০ জনকে সাহরি খাওয়ানোর জন্য তাদের খরচ হয়েছে ছয়-সাত হাজার টাকা। আর সোমবারের জন্য উঠেছে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকার মতো। এই টাকায় কেনা খাবারগুলো একটি মেসের বাবুর্চি ও তার হেলপার মিলে রান্না করে দেন। তাদের মজুরি ৫০০ টাকা। রান্না শুরু করতে হয় রাত ১১টা নাগাদ। শেষ হতে হতে ১টা বেজে যায়। ২টা নাগাদ পাঠাগারে এনে সব গোছানো হয়। রমজানে অসহায়দের খাওয়ানোর জন্য তারা ৩৬টি মেলামাইনের প্লেট, ১৭টি গ্লাস, দুটি পানির জার ও একটি গ্যালন কিনেছেন। এসব প্লেট ধুয়েমুছে পরিষ্কার করে ফেলেন সাড়ে ৩টার মধ্যে। ৪টা থেকে খাবার বিতরণ শুরু হয়ে যায়। বাইরে চেয়ারগুলো রেখে দেন, যাতে দূর থেকে মানুষের চোখে পড়ে এবং তারা অভুক্ত অবস্থায় রোজা না রাখেন। যারা এখানে সাহরি করেন তাদের বেশিরভাগই শ্রমজীবী মানুষ; পাশাপাশি রিকশাচালক, ভ্যানচালক, লেগুনাচালক ও এলাকার নাইট গার্ডরা এখানে সাহরি করতে আসেন। সোমবার সাহরি করিয়েছেন রুই মাছ ও টমেটোর ঝোল, ভাত, দুধ ও কলা। রোববার সাহরি করতে মোট ৯ কেজি চাল প্রয়োজন হয়েছে, সোমবার সাহরি করতে সাত কেজি চাল কিনে রেখেছেন।
আলিফ আহম্মেদ অনিকের মা রান্নার সময় বাবুর্চিদের সবকিছু দেখিয়ে দেন, তাদের রান্নার দেখভাল করেন। আর সাইফুলের মা সকালের রুই মাছকে কেটে সুন্দর করে ফ্রিজে রেখেছেন। সাইফুল জানালেন, আমাদের ইচ্ছা আছে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত পুরো রমজান মাসই সাহরি করাব।
এক সপ্তাহের সাহরি করানোর টাকা আছে তাদের কাছে। আরিফ ভাই, সাজ্জাদ, রাতুল, জাহিদ, লিখন, সাইফুল ও মাহিন এ কাজে অনেক সাহায্য করছেন। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও পরিচিতদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা টাকায় তারা সাহরি করান।
আরো অনেক কাজ আছে। দুটি বড় ও দুটি ছোট পাতিল চালের জন্য আছে। সেগুলোকে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হয়, বাজার করতে হয় এবং মাছ-মাংস কেটে রেডি করতে হয়। মাছ যাত্রাবাড়ী আড়ত থেকে কিনে এনে কাটার পর ফ্রিজে রাখতে হয়। তারপরও তাদের ক্লান্তি নেই কোনো। বরং জানালেন, সাহায্য-সহযোগিতা ভালো পেলে আমরা আরো কয়েকটি স্পটে সাহরি করানো শুরু করব।
এই আয়োজনটি একেবারেই অন্যরকম। একটি পাঠাগার রাতে সাহরির আয়োজন করে। নাম শামসুল হক ভূঁইয়া স্মৃতি পাঠাগার। তাদের দেয়ালে নোটিশ টাঙানো আছে—‘রান্নার অসুবিধার জন্য যারা সাহরি করতে পারেন না, তাদের জন্য এবং ছিন্নমূল মানুষের জন্য আমাদের এই আয়োজন। আপনি নিঃসংকোচে আমাদের মেহমানখানায় সাহরি করতে পারবেন। বি.দ্র.: যারা সাহরি করতে চান, তাদের এক দিন আগে টোকেন সংগ্রহ করতে হবে। মোবাইল : ০১৯৮২৭১১৮৭০।’
পাঠকমেলার সদস্য সাইফুল ইসলাম বললেন, ‘রোববার আমরা টোকেন বিলিয়েছিলাম ৪৮টি, কিন্তু এসেছেন ৬০ জনের বেশি। মুরগির মাংসের সঙ্গে আলু, দুধ, কলা ও সাদা ভাতের আয়োজন ছিল।’ তাদের এই অসহায়দের খাওয়ানোর ব্যবস্থাটির নাম হলো মেহমানখানা। আর খাবারগুলো তারা খাওয়ান শামসুল হক ভূঁইয়া স্মৃতি পাঠাগারের সামনে। ঢাকার উত্তর যাত্রাবাড়ী বিবির বাগিচা ১ নম্বর গেটের পাশে আছে এই পাঠাগার। রোববার ৬০ জনকে সাহরি খাওয়ানোর জন্য তাদের খরচ হয়েছে ছয়-সাত হাজার টাকা। আর সোমবারের জন্য উঠেছে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকার মতো। এই টাকায় কেনা খাবারগুলো একটি মেসের বাবুর্চি ও তার হেলপার মিলে রান্না করে দেন। তাদের মজুরি ৫০০ টাকা। রান্না শুরু করতে হয় রাত ১১টা নাগাদ। শেষ হতে হতে ১টা বেজে যায়। ২টা নাগাদ পাঠাগারে এনে সব গোছানো হয়। রমজানে অসহায়দের খাওয়ানোর জন্য তারা ৩৬টি মেলামাইনের প্লেট, ১৭টি গ্লাস, দুটি পানির জার ও একটি গ্যালন কিনেছেন। এসব প্লেট ধুয়েমুছে পরিষ্কার করে ফেলেন সাড়ে ৩টার মধ্যে। ৪টা থেকে খাবার বিতরণ শুরু হয়ে যায়। বাইরে চেয়ারগুলো রেখে দেন, যাতে দূর থেকে মানুষের চোখে পড়ে এবং তারা অভুক্ত অবস্থায় রোজা না রাখেন। যারা এখানে সাহরি করেন তাদের বেশিরভাগই শ্রমজীবী মানুষ; পাশাপাশি রিকশাচালক, ভ্যানচালক, লেগুনাচালক ও এলাকার নাইট গার্ডরা এখানে সাহরি করতে আসেন। সোমবার সাহরি করিয়েছেন রুই মাছ ও টমেটোর ঝোল, ভাত, দুধ ও কলা। রোববার সাহরি করতে মোট ৯ কেজি চাল প্রয়োজন হয়েছে, সোমবার সাহরি করতে সাত কেজি চাল কিনে রেখেছেন।
আলিফ আহম্মেদ অনিকের মা রান্নার সময় বাবুর্চিদের সবকিছু দেখিয়ে দেন, তাদের রান্নার দেখভাল করেন। আর সাইফুলের মা সকালের রুই মাছকে কেটে সুন্দর করে ফ্রিজে রেখেছেন। সাইফুল জানালেন, আমাদের ইচ্ছা আছে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত পুরো রমজান মাসই সাহরি করাব।
এক সপ্তাহের সাহরি করানোর টাকা আছে তাদের কাছে। আরিফ ভাই, সাজ্জাদ, রাতুল, জাহিদ, লিখন, সাইফুল ও মাহিন এ কাজে অনেক সাহায্য করছেন। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও পরিচিতদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা টাকায় তারা সাহরি করান।
আরো অনেক কাজ আছে। দুটি বড় ও দুটি ছোট পাতিল চালের জন্য আছে। সেগুলোকে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হয়, বাজার করতে হয় এবং মাছ-মাংস কেটে রেডি করতে হয়। মাছ যাত্রাবাড়ী আড়ত থেকে কিনে এনে কাটার পর ফ্রিজে রাখতে হয়। তারপরও তাদের ক্লান্তি নেই কোনো। বরং জানালেন, সাহায্য-সহযোগিতা ভালো পেলে আমরা আরো কয়েকটি স্পটে সাহরি করানো শুরু করব।
‘সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানের চর্চায় তরুণরাই সমাজের আলোকবর্তিকা’ এই বিশ্বাসে আমার দেশ পাঠকমেলা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো কার্যনির্বাহী সদস্যদের আলোচনা ও রাকসু নির্বাচনকে ঘিরে এক মতবিনিময় সভা।
৫ দিন আগেঢাকার প্রাণকেন্দ্র জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে চলছে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক ইসলামি বইমেলা। বিভিন্ন দেশের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান এবং বইপ্রেমী মানুষের আগমনে মুখর বইমেলা পরিদর্শনে যান আমার দেশ পাঠকমেলা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা।
১২ দিন আগেবন্দর ব্যবস্থাপনা ও সরবরাহ বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাদুল ইসলামের সঞ্চালনায় পাঠচক্রে আলোচ্য বিষয় ছিল ‘বাংলাদেশে পাশ্চাত্য মূল্যবোধের প্রভাব’। এই পাঠচক্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ও বিভিন্ন সেশনের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থেকে নির্ধারিত বিষয়ের ওপর তাদের সুচিন্তিত মন্তব্য তুলে ধরেন।
১২ দিন আগেআন্তর্জাতিক ইসলামী বইমেলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হলো মুসলিম উম্মাহর ইতিহাসবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
১৯ দিন আগে