রুহুল আমিন
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ১৭৫ একরের এই সবুজ ও ঐতিহ্যবাহী ক্যাম্পাস আজও সংগ্রামী চেতনার ধারক-বাহক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। সেই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো ‘২৪ জুলাই স্মৃতি প্রতিযোগিতা ২০২৫’, যার আয়োজক ছিল আমার দেশ পাঠকমেলা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ফিরে দেখেছেন রক্তঝরা জুলাই বিপ্লবের দিনগুলো, যেখানে স্বাধীনতার স্বপ্ন ও গণঅভ্যুত্থানের চেতনা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে প্রবাহিত হয়ে চলেছে।
কমিটি ও আয়োজন
প্রতিযোগিতাকে সুষ্ঠু ও সফল করতে গঠিত হয় পাঁচ সদস্যের বাস্তবায়ন ও বিচারিক কমিটি। সমাজকল্যাণ বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী আফিয়া আলমকে আহ্বায়ক করে কমিটিতে যুক্ত হন ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের মহিমা খান, সমাজকল্যাণ বিভাগের মেহরাব হোসেন, আইন বিভাগের আব্দুল্লাহ আল নোমান এবং তানিম তানভীর।
আহ্বায়ক আফিয়া আলম বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের সময় শিক্ষার্থীদের অবস্থান ও অবদান নিয়ে প্রতিযোগীদের লেখনী এক অনন্য ইতিহাসচিত্র ফুটিয়ে তুলেছে। এতে বোঝা যায়, কীভাবে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রেখেছিলেন।’
অংশগ্রহণ ও ফলাফল
প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই প্রজন্ম, যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি হৃদয়ে ধারণ করে। প্রতিযোগীদের লেখা ছিল বাস্তব অভিজ্ঞতার প্রতিফলন—কেউ সরাসরি সংগ্রামের সাক্ষী, কেউবা পরিবার-পরিজনের স্মৃতি ধরে লিখেছেন। নিরপেক্ষ মূল্যায়নের পর গত ১৬ আগস্ট ঘোষণা করা হয় ফলাফল।
এছাড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেন জান্নাতুল নাঈম, তাছনিম আলম, ইয়াসিন আরাফাত, ফারহানা ইয়াসমিন, মরিয়ম ফেরদৌস, মোসাদ্দেক হোসেন, ফারদিন মোহাম্মদ ও মইন উদ্দিন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান
অংশগ্রহণকারীদের সম্মাননা জানাতে গত ৩১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত হয় সার্টিফিকেট ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। এতে উপস্থিত ছিলেন আমার দেশ পাঠকমেলা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. রুহুল আমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান, দপ্তর সম্পাদক সাকীফ বিন আলম এবং আহ্বায়ক আফিয়া আলম।
প্রতিযোগীদের সবাইকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। আর প্রথম তিন বিজয়ীকে বিশেষ পুরস্কার হিসেবে প্রদান করা হয় আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের লেখা বই ‘গুমের জননী’ ।
বিজয়ীদের অনুভূতি
দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী মো. মেহেদী হাসান অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ‘এ অর্জন আমার জীবনের এক স্মরণীয় মুহূর্ত। রক্তস্নাত বর্ষাবিপ্লব জুলাইয়ের স্মৃতি কেবল ইতিহাসের পাতায় নয়, প্রতিটি দেশপ্রেমিকের হৃদয়ে অমর হয়ে আছে। আমি গর্বিত যে, এই বিপ্লবে সামনের সারির একজন যোদ্ধা ছিলাম, স্বাধীনতার স্বপ্ন থেকে যাকে শৃঙ্খলও বিরত রাখতে পারেনি।’
তৃতীয় স্থান বিজয়ী আব্দুস সামাদ জানান, ‘প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ছিল আমার জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা। এটি কেবল একটি পুরস্কার নয়; বরং আমার লেখালেখির প্রতি মনোযোগ বাড়িয়ে দিয়েছে। ইতিহাস জানতে, দেশকে ভালোবাসতে এবং সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল হতে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করবে এমন আয়োজন।’
তাৎপর্য ও নতুন উদ্যোগ
‘২৪ জুলাই স্মৃতি প্রতিযোগিতা ২০২৫’-এর মূল উদ্দেশ্য ছিল ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে স্মরণ করা এবং সেখান থেকে বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণের শিক্ষা গ্রহণ করা। এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মনে জাগিয়েছে ইতিহাসচেতনা, দেশপ্রেম ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ।
অনুষ্ঠানের শেষ বক্তব্যে আমার দেশ পাঠকমেলা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি বলেন, ‘৭১ আর ২৪ একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। জুলাই আমাদের প্রেরণা দেয় জুলুম, নির্যাতন, শোষণ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে। যখনই স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে, আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে।’
এছাড়া কমিটির অধিকাংশ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে—
এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে পাঠকমেলা কার্যক্রমকে আরো সুসংগঠিত ও প্রাণবন্ত করবে।
উপসংহার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘২৪ জুলাই স্মৃতি প্রতিযোগিতা ২০২৫’ কেবল পুরস্কার বিতরণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের ইতিহাস জানার, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার এবং সমাজ গড়ার অঙ্গীকার দৃঢ় করার এক সোপান। আমার দেশ পাঠকমেলা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এই মহৎ আয়োজন তরুণ প্রজন্মের জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে, যা ভবিষ্যতের আন্দোলন, সংগ্রাম ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের অনুপ্রেরণা জোগাবে।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ১৭৫ একরের এই সবুজ ও ঐতিহ্যবাহী ক্যাম্পাস আজও সংগ্রামী চেতনার ধারক-বাহক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। সেই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো ‘২৪ জুলাই স্মৃতি প্রতিযোগিতা ২০২৫’, যার আয়োজক ছিল আমার দেশ পাঠকমেলা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ফিরে দেখেছেন রক্তঝরা জুলাই বিপ্লবের দিনগুলো, যেখানে স্বাধীনতার স্বপ্ন ও গণঅভ্যুত্থানের চেতনা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে প্রবাহিত হয়ে চলেছে।
কমিটি ও আয়োজন
প্রতিযোগিতাকে সুষ্ঠু ও সফল করতে গঠিত হয় পাঁচ সদস্যের বাস্তবায়ন ও বিচারিক কমিটি। সমাজকল্যাণ বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী আফিয়া আলমকে আহ্বায়ক করে কমিটিতে যুক্ত হন ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের মহিমা খান, সমাজকল্যাণ বিভাগের মেহরাব হোসেন, আইন বিভাগের আব্দুল্লাহ আল নোমান এবং তানিম তানভীর।
আহ্বায়ক আফিয়া আলম বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের সময় শিক্ষার্থীদের অবস্থান ও অবদান নিয়ে প্রতিযোগীদের লেখনী এক অনন্য ইতিহাসচিত্র ফুটিয়ে তুলেছে। এতে বোঝা যায়, কীভাবে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রেখেছিলেন।’
অংশগ্রহণ ও ফলাফল
প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই প্রজন্ম, যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি হৃদয়ে ধারণ করে। প্রতিযোগীদের লেখা ছিল বাস্তব অভিজ্ঞতার প্রতিফলন—কেউ সরাসরি সংগ্রামের সাক্ষী, কেউবা পরিবার-পরিজনের স্মৃতি ধরে লিখেছেন। নিরপেক্ষ মূল্যায়নের পর গত ১৬ আগস্ট ঘোষণা করা হয় ফলাফল।
এছাড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেন জান্নাতুল নাঈম, তাছনিম আলম, ইয়াসিন আরাফাত, ফারহানা ইয়াসমিন, মরিয়ম ফেরদৌস, মোসাদ্দেক হোসেন, ফারদিন মোহাম্মদ ও মইন উদ্দিন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান
অংশগ্রহণকারীদের সম্মাননা জানাতে গত ৩১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত হয় সার্টিফিকেট ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। এতে উপস্থিত ছিলেন আমার দেশ পাঠকমেলা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. রুহুল আমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান, দপ্তর সম্পাদক সাকীফ বিন আলম এবং আহ্বায়ক আফিয়া আলম।
প্রতিযোগীদের সবাইকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। আর প্রথম তিন বিজয়ীকে বিশেষ পুরস্কার হিসেবে প্রদান করা হয় আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের লেখা বই ‘গুমের জননী’ ।
বিজয়ীদের অনুভূতি
দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী মো. মেহেদী হাসান অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ‘এ অর্জন আমার জীবনের এক স্মরণীয় মুহূর্ত। রক্তস্নাত বর্ষাবিপ্লব জুলাইয়ের স্মৃতি কেবল ইতিহাসের পাতায় নয়, প্রতিটি দেশপ্রেমিকের হৃদয়ে অমর হয়ে আছে। আমি গর্বিত যে, এই বিপ্লবে সামনের সারির একজন যোদ্ধা ছিলাম, স্বাধীনতার স্বপ্ন থেকে যাকে শৃঙ্খলও বিরত রাখতে পারেনি।’
তৃতীয় স্থান বিজয়ী আব্দুস সামাদ জানান, ‘প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ছিল আমার জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা। এটি কেবল একটি পুরস্কার নয়; বরং আমার লেখালেখির প্রতি মনোযোগ বাড়িয়ে দিয়েছে। ইতিহাস জানতে, দেশকে ভালোবাসতে এবং সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল হতে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করবে এমন আয়োজন।’
তাৎপর্য ও নতুন উদ্যোগ
‘২৪ জুলাই স্মৃতি প্রতিযোগিতা ২০২৫’-এর মূল উদ্দেশ্য ছিল ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে স্মরণ করা এবং সেখান থেকে বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণের শিক্ষা গ্রহণ করা। এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মনে জাগিয়েছে ইতিহাসচেতনা, দেশপ্রেম ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ।
অনুষ্ঠানের শেষ বক্তব্যে আমার দেশ পাঠকমেলা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি বলেন, ‘৭১ আর ২৪ একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। জুলাই আমাদের প্রেরণা দেয় জুলুম, নির্যাতন, শোষণ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে। যখনই স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে, আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে।’
এছাড়া কমিটির অধিকাংশ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে—
এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে পাঠকমেলা কার্যক্রমকে আরো সুসংগঠিত ও প্রাণবন্ত করবে।
উপসংহার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘২৪ জুলাই স্মৃতি প্রতিযোগিতা ২০২৫’ কেবল পুরস্কার বিতরণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের ইতিহাস জানার, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার এবং সমাজ গড়ার অঙ্গীকার দৃঢ় করার এক সোপান। আমার দেশ পাঠকমেলা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এই মহৎ আয়োজন তরুণ প্রজন্মের জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে, যা ভবিষ্যতের আন্দোলন, সংগ্রাম ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের অনুপ্রেরণা জোগাবে।
‘সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানের চর্চায় তরুণরাই সমাজের আলোকবর্তিকা’ এই বিশ্বাসে আমার দেশ পাঠকমেলা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো কার্যনির্বাহী সদস্যদের আলোচনা ও রাকসু নির্বাচনকে ঘিরে এক মতবিনিময় সভা।
৫ দিন আগেঢাকার প্রাণকেন্দ্র জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে চলছে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক ইসলামি বইমেলা। বিভিন্ন দেশের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান এবং বইপ্রেমী মানুষের আগমনে মুখর বইমেলা পরিদর্শনে যান আমার দেশ পাঠকমেলা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা।
১২ দিন আগেবন্দর ব্যবস্থাপনা ও সরবরাহ বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাদুল ইসলামের সঞ্চালনায় পাঠচক্রে আলোচ্য বিষয় ছিল ‘বাংলাদেশে পাশ্চাত্য মূল্যবোধের প্রভাব’। এই পাঠচক্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ও বিভিন্ন সেশনের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থেকে নির্ধারিত বিষয়ের ওপর তাদের সুচিন্তিত মন্তব্য তুলে ধরেন।
১২ দিন আগেআন্তর্জাতিক ইসলামী বইমেলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হলো মুসলিম উম্মাহর ইতিহাসবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
১৯ দিন আগে