নজরুল ইসলাম তালুকদার
সুশৃঙ্খল সমৃদ্ধ সমাজ বিনির্মানে বই পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। বই হচ্ছে জ্ঞানের আধার। বই পড়ার মধ্য দিয়ে জ্ঞানসমৃদ্ধ মানুষ গড়া সম্ভব। জ্ঞানসমৃদ্ধ মানুষ দ্বারাই সমৃদ্ধ সমাজ নির্মিত হয়। তাই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পাঠচক্র অত্যন্ত জরুরি। পাঠচক্র এমন একটি কর্মসূচি যা জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে অপরিসীম ভূমিকা রাখে।
পাঠচক্র এমন এক আড্ডা, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা একসঙ্গে বসে নানাবিধ বিষয়ের জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে নিজেদের আবিষ্কার করেন। উঠে আসে সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি, সাহিত্য, সংস্কৃতি, সভ্যতা, ইতিহাস, ঐতিহ্য, বিজ্ঞান, রাষ্ট্র, ধর্মের মতো নানাবিধ বিষয়। এসব বিষয় নিয়ে হয় যুক্তিতর্ক, জ্ঞানের আদান-প্রদান।
পাঠচক্র মানুষকে স্বশিক্ষিত করে তোলে। বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়ন ঘটায়। ভাবতে শেখায় ভিন্নভাবে। নিজেকে উপস্থাপন, অন্যকে ধারণ করা থেকে শুরু করে সৃজনশীলতা, সহনশীলতা, রুচিশীলতা বাড়ায় বহুগুণ। প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় স্মার্টফোন আর সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে বই বা পত্রিকা পড়া হারিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল নির্ভরতা এই প্রজন্মকে পাঠাভ্যাস থেকে পিছিয়ে রাখছে। প্রজন্মকে পাঠাভ্যাসে আগ্রহী করতে, বই এবং পত্রিকা পড়ার প্রতি উদ্ভুদ্ধ করতে সম্প্রতি রাংগুনিয়া উপজেলা পাঠকমেলার আয়োজনে পাঠচক্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত পাঠচক্রের মূল বিষয় ছিল ‘বিভিন্ন বই এবং পত্রিকা পড়ার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম কিভাবে সমাজ সচেতন, মানবিক এবং দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠে।’
পাঠচক্রটি পরিচালনা করেন আমার দেশ পাঠকমেলা রাংগুনিয়া উপজেলা শাখার পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক মহিউদ্দিন বাদশা। এসময় উপস্থিত ছিলেন পাঠকমেলার উপদেষ্টা রাংগুনিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার চৌধুরী, পাঠকমেলার সভাপতি অধ্যাপক ইকবাল হোসেন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম তালুকদার, সহসভাপতি লোকমান হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক কলিম হোসেন, কোষাধ্যক্ষ ওবায়দুল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ তালুকদার, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবা বিষয়ক সম্পাদক ফারুক, সদস্য রনিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ।
আলোচনায় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার চৌধুরী বলেন বই মানুষের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। জ্ঞানীরা মানুষকে বইপাঠে উৎসাহিত করেছেন। তাঁরা সুযোগ পেলেই বই বা বিভিন্ন বিষয়ে আলাপজুড়ে দিতেন, আসর বসাতেন। এই জ্ঞানের বিনিময় বা মতামত আসরকেই বলা হয় পাঠচক্র। পাঠচক্রে একটি বই সম্পর্কে উপস্থিত সবার মতামত বা অভিজ্ঞতা জানা যায়। একই বই সম্পর্কে একেকজনের কাছ থেকে একেক মতামত, একেক উপলব্ধি বা দৃষ্টিভঙ্গি উঠে আসে, যা নতুন জ্ঞান সৃজনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি কেউ বইটি পড়ে বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান আহরণ করতে না-ও পারে, পাঠচক্রের মাধ্যমে তা পূর্ণ হয়ে যায়। পাঠকমেলার সভাপতি অধ্যাপক ইকবাল তালুকদার বলেন পাঠচক্রের মাধ্যমে যেমন বই পড়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে, তেমনই একে অন্যের মধ্যে একটি আত্মিক উন্নয়ন ঘটে, আন্তরিকতা বাড়ে, সহনশীলতা তৈরি হয়।
পাঠকমেলার সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, নিয়মিত পাঠচক্র আয়োজন পড়ুয়াদের জ্ঞানের বিস্তৃতি ও চিন্তাভাবনা প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জ্ঞান বৃদ্ধির পাশাপাশি এর মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে গঠনমূলক সমালোচনা ও ব্যতিক্রমী চিন্তা জাগ্রত হয়। পাঠচক্রে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও বিজ্ঞজনেরা নিজের মতো করে সুশৃঙ্খল মতামত ব্যক্ত করে। এতে জড়তা কাটিয়ে কথা বলার দক্ষতা বৃদ্ধি ও অভ্যাস যেমন গড়ে উঠে তেমনি অন্যের কথা শোনার এবং অন্যকে বলতে দেয়ার মানসিকতা সৃষ্টি হয়।
তাই বলা যায় পাঠচক্রের মাধ্যমে মানুষের যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ে, আবার দলগত কাজ করার প্রবণতাও বাড়ে। সুন্দর ও সমৃদ্ধ সময়াজ গড়তে আমাদের উন্নত মানসিকতা ও ব্যক্তিত্ব গঠনে নিয়মিত পাঠচক্র আয়োজন সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করি।
সুশৃঙ্খল সমৃদ্ধ সমাজ বিনির্মানে বই পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। বই হচ্ছে জ্ঞানের আধার। বই পড়ার মধ্য দিয়ে জ্ঞানসমৃদ্ধ মানুষ গড়া সম্ভব। জ্ঞানসমৃদ্ধ মানুষ দ্বারাই সমৃদ্ধ সমাজ নির্মিত হয়। তাই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পাঠচক্র অত্যন্ত জরুরি। পাঠচক্র এমন একটি কর্মসূচি যা জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে অপরিসীম ভূমিকা রাখে।
পাঠচক্র এমন এক আড্ডা, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা একসঙ্গে বসে নানাবিধ বিষয়ের জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে নিজেদের আবিষ্কার করেন। উঠে আসে সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি, সাহিত্য, সংস্কৃতি, সভ্যতা, ইতিহাস, ঐতিহ্য, বিজ্ঞান, রাষ্ট্র, ধর্মের মতো নানাবিধ বিষয়। এসব বিষয় নিয়ে হয় যুক্তিতর্ক, জ্ঞানের আদান-প্রদান।
পাঠচক্র মানুষকে স্বশিক্ষিত করে তোলে। বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়ন ঘটায়। ভাবতে শেখায় ভিন্নভাবে। নিজেকে উপস্থাপন, অন্যকে ধারণ করা থেকে শুরু করে সৃজনশীলতা, সহনশীলতা, রুচিশীলতা বাড়ায় বহুগুণ। প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় স্মার্টফোন আর সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে বই বা পত্রিকা পড়া হারিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল নির্ভরতা এই প্রজন্মকে পাঠাভ্যাস থেকে পিছিয়ে রাখছে। প্রজন্মকে পাঠাভ্যাসে আগ্রহী করতে, বই এবং পত্রিকা পড়ার প্রতি উদ্ভুদ্ধ করতে সম্প্রতি রাংগুনিয়া উপজেলা পাঠকমেলার আয়োজনে পাঠচক্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত পাঠচক্রের মূল বিষয় ছিল ‘বিভিন্ন বই এবং পত্রিকা পড়ার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম কিভাবে সমাজ সচেতন, মানবিক এবং দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠে।’
পাঠচক্রটি পরিচালনা করেন আমার দেশ পাঠকমেলা রাংগুনিয়া উপজেলা শাখার পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক মহিউদ্দিন বাদশা। এসময় উপস্থিত ছিলেন পাঠকমেলার উপদেষ্টা রাংগুনিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার চৌধুরী, পাঠকমেলার সভাপতি অধ্যাপক ইকবাল হোসেন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম তালুকদার, সহসভাপতি লোকমান হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক কলিম হোসেন, কোষাধ্যক্ষ ওবায়দুল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ তালুকদার, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবা বিষয়ক সম্পাদক ফারুক, সদস্য রনিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ।
আলোচনায় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার চৌধুরী বলেন বই মানুষের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। জ্ঞানীরা মানুষকে বইপাঠে উৎসাহিত করেছেন। তাঁরা সুযোগ পেলেই বই বা বিভিন্ন বিষয়ে আলাপজুড়ে দিতেন, আসর বসাতেন। এই জ্ঞানের বিনিময় বা মতামত আসরকেই বলা হয় পাঠচক্র। পাঠচক্রে একটি বই সম্পর্কে উপস্থিত সবার মতামত বা অভিজ্ঞতা জানা যায়। একই বই সম্পর্কে একেকজনের কাছ থেকে একেক মতামত, একেক উপলব্ধি বা দৃষ্টিভঙ্গি উঠে আসে, যা নতুন জ্ঞান সৃজনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি কেউ বইটি পড়ে বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান আহরণ করতে না-ও পারে, পাঠচক্রের মাধ্যমে তা পূর্ণ হয়ে যায়। পাঠকমেলার সভাপতি অধ্যাপক ইকবাল তালুকদার বলেন পাঠচক্রের মাধ্যমে যেমন বই পড়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে, তেমনই একে অন্যের মধ্যে একটি আত্মিক উন্নয়ন ঘটে, আন্তরিকতা বাড়ে, সহনশীলতা তৈরি হয়।
পাঠকমেলার সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, নিয়মিত পাঠচক্র আয়োজন পড়ুয়াদের জ্ঞানের বিস্তৃতি ও চিন্তাভাবনা প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জ্ঞান বৃদ্ধির পাশাপাশি এর মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে গঠনমূলক সমালোচনা ও ব্যতিক্রমী চিন্তা জাগ্রত হয়। পাঠচক্রে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও বিজ্ঞজনেরা নিজের মতো করে সুশৃঙ্খল মতামত ব্যক্ত করে। এতে জড়তা কাটিয়ে কথা বলার দক্ষতা বৃদ্ধি ও অভ্যাস যেমন গড়ে উঠে তেমনি অন্যের কথা শোনার এবং অন্যকে বলতে দেয়ার মানসিকতা সৃষ্টি হয়।
তাই বলা যায় পাঠচক্রের মাধ্যমে মানুষের যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ে, আবার দলগত কাজ করার প্রবণতাও বাড়ে। সুন্দর ও সমৃদ্ধ সময়াজ গড়তে আমাদের উন্নত মানসিকতা ও ব্যক্তিত্ব গঠনে নিয়মিত পাঠচক্র আয়োজন সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করি।
‘সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানের চর্চায় তরুণরাই সমাজের আলোকবর্তিকা’ এই বিশ্বাসে আমার দেশ পাঠকমেলা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো কার্যনির্বাহী সদস্যদের আলোচনা ও রাকসু নির্বাচনকে ঘিরে এক মতবিনিময় সভা।
৫ দিন আগেঢাকার প্রাণকেন্দ্র জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে চলছে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক ইসলামি বইমেলা। বিভিন্ন দেশের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান এবং বইপ্রেমী মানুষের আগমনে মুখর বইমেলা পরিদর্শনে যান আমার দেশ পাঠকমেলা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা।
১২ দিন আগেবন্দর ব্যবস্থাপনা ও সরবরাহ বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাদুল ইসলামের সঞ্চালনায় পাঠচক্রে আলোচ্য বিষয় ছিল ‘বাংলাদেশে পাশ্চাত্য মূল্যবোধের প্রভাব’। এই পাঠচক্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ও বিভিন্ন সেশনের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থেকে নির্ধারিত বিষয়ের ওপর তাদের সুচিন্তিত মন্তব্য তুলে ধরেন।
১২ দিন আগেআন্তর্জাতিক ইসলামী বইমেলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হলো মুসলিম উম্মাহর ইতিহাসবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
১৯ দিন আগে