স্বাধীন খন্দকার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আমার দেশ পাঠকমেলা’ শাখার উদ্যোগে পাঠকমেলার সদস্যদের নিয়ে সম্প্রতি এক অনুপ্রেরণামূলক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সবুজে ঘেরা ক্যাম্পাসের এক উজ্জ্বল সকালে একদল তরুণ-তরুণী জড়ো হয়েছিলেন এক ভিন্ন স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার উদ্দেশ্যে। তাদের চোখে ছিল জ্ঞানের প্রতি এক গভীর আকাঙ্ক্ষা, মন ভরা ছিল দেশপ্রেমের স্পন্দনে, আর হৃদয়ে ছিল এক শক্ত প্রতিজ্ঞা—তারা শুধু নিজেদের জন্য নয়, বরং সমাজের জন্য, দেশের জন্য কিছু করবেন।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ‘আমার দেশ পাঠকমেলা’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মো. স্বাধীন খন্দকার এবং সংগঠনের নিবেদিতপ্রাণ সদস্যরা। আহ্বায়ক তার বক্তব্যের শুরুতেই উল্লেখ করেন, ‘আমার দেশ পাঠকমেলা কেবল বই পড়ার একটি প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি সত্য, ন্যায় ও স্বাধীন চিন্তার এক বলিষ্ঠ মঞ্চ। এখানে আমরা শুধু বইয়ের ভেতর সীমাবদ্ধ থাকি না, আমরা বই থেকে শিখে সেই জ্ঞানকে জীবনে কাজে লাগাই।’ তার কণ্ঠে ছিল দৃঢ়তা, কিন্তু চোখে ছিল ভবিষ্যতের জন্য এক স্বপ্নময় কোমলতা।
আহ্বায়ক মো. স্বাধীন খন্দকার সেমিনারে আরো বলেন, ‘আমরা তরুণরা যদি ন্যায়ের পক্ষে, সত্যের পক্ষে দৃঢ়ভাবে না দাঁড়াই, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমরা ব্যর্থ হব। আমাদের চিন্তা, আমাদের কলম, আমাদের কণ্ঠ—সবকিছুই হতে হবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হাতিয়ার।’ তার এই কথায় উপস্থিত সবার মনে যেন নতুন করে শক্তি সঞ্চার হয়। সদস্যরা একে একে নিজেদের ভাবনা প্রকাশ করেন। কেউ বলেন, এই সংগঠন তাদের সাহস জুগিয়েছে; কেউ বলেন, এখানে এসে তারা শিখেছেন কীভাবে ভিন্ন মতামতকে শ্রদ্ধা করতে হয়; আবার কেউ কেউ স্বীকার করেন, আগে তারা বই পড়ার প্রতি খুব একটা আগ্রহী ছিলেন না, কিন্তু এখন বই তাদের নিত্যসঙ্গী হয়ে গেছে। তাদের কথার মাঝেই বারবার উঠে এসেছে এক অনুভূতি—এখানে সবাই এক পরিবারের সদস্যের মতো।
অনুষ্ঠানে শুধু পাঠচর্চা বা সংগঠনের কাজের দিক নয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটও উঠে আসে। আলোচনার একপর্যায়ে আহ্বায়ক আসন্ন রাকসু (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) নির্বাচন প্রসঙ্গেও কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘রাকসু নির্বাচন আমাদের ছাত্রসমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচন তরুণদের নেতৃত্ব বিকাশের সুযোগ দেয়। তবে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, নির্বাচন যেন সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ হয়। ছাত্রসমাজের প্রকৃত চাহিদা ও দাবি যেন এই নির্বাচনের মাধ্যমে উঠে আসে, সেই দায়িত্ব আমাদের সবার।’ তার এই মন্তব্য সদস্যদের মধ্যে সচেতনতা ও আগ্রহের সঞ্চার করে। সেমিনারের পরিবেশ ছিল প্রাণবন্ত, কিন্তু একই সঙ্গে ছিল গভীর ভাবনার ছোঁয়া। সদস্যরা নিজেদের পরিকল্পনা শেয়ার করেন—কীভাবে তারা ক্যাম্পাসে পাঠচর্চার পরিবেশ আরো বিস্তৃত করবেন, কীভাবে নতুন নতুন ছাত্রছাত্রীকে এই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করবেন, আর কীভাবে সামাজিক ও জাতীয় ইস্যুতে সচেতনতা তৈরি করবেন। তাদের কথায় বোঝা যাচ্ছিল, ‘আমার দেশ পাঠকমেলা’ তাদের কাছে কেবল একটি সংগঠন নয়, বরং জীবনের পথচলার এক দিকনির্দেশনা। আহ্বায়ক তার সমাপনী বক্তব্যে সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের যাত্রা এখনই শুরু। সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে, কিন্তু আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, তাহলে কোনো বাধাই আমাদের থামাতে পারবে না। আমার দেশ পাঠকমেলা কেবল পাঠাভ্যাস তৈরি করবে না; বরং সত্য, ন্যায় ও স্বাধীনতার জন্য এই প্রজন্মের লড়াই করার মানসিকতা গড়ে তুলবে।’
সেমিনার শেষে সবাই একসঙ্গে ছবি তোলেন। হাসিমুখ, আত্মবিশ্বাসী দৃষ্টি, আর ঐক্যের এক স্পষ্ট বার্তা যেন ছবির মধ্যেই ধরা পড়ে। কালো কোট, শাড়ি, আর আনুষ্ঠানিক পোশাকে সজ্জিত সদস্যদের মাঝে ফুটে উঠেছিল একধরনের শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্ব, যা এই সংগঠনের আদর্শকে আরো দৃঢ়ভাবে তুলে ধরে। এই সেমিনার প্রমাণ করল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই তরুণরা কেবল জ্ঞান আহরণে নয়, বরং সেই জ্ঞানকে সমাজ ও দেশের জন্য কাজে লাগাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তাদের স্বপ্ন, তাদের একাগ্রতা, আর ঐক্য—সবই একদিন এই দেশকে বদলে দিতে অবদান রাখবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আমার দেশ পাঠকমেলা’ শাখার উদ্যোগে পাঠকমেলার সদস্যদের নিয়ে সম্প্রতি এক অনুপ্রেরণামূলক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সবুজে ঘেরা ক্যাম্পাসের এক উজ্জ্বল সকালে একদল তরুণ-তরুণী জড়ো হয়েছিলেন এক ভিন্ন স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার উদ্দেশ্যে। তাদের চোখে ছিল জ্ঞানের প্রতি এক গভীর আকাঙ্ক্ষা, মন ভরা ছিল দেশপ্রেমের স্পন্দনে, আর হৃদয়ে ছিল এক শক্ত প্রতিজ্ঞা—তারা শুধু নিজেদের জন্য নয়, বরং সমাজের জন্য, দেশের জন্য কিছু করবেন।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ‘আমার দেশ পাঠকমেলা’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মো. স্বাধীন খন্দকার এবং সংগঠনের নিবেদিতপ্রাণ সদস্যরা। আহ্বায়ক তার বক্তব্যের শুরুতেই উল্লেখ করেন, ‘আমার দেশ পাঠকমেলা কেবল বই পড়ার একটি প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি সত্য, ন্যায় ও স্বাধীন চিন্তার এক বলিষ্ঠ মঞ্চ। এখানে আমরা শুধু বইয়ের ভেতর সীমাবদ্ধ থাকি না, আমরা বই থেকে শিখে সেই জ্ঞানকে জীবনে কাজে লাগাই।’ তার কণ্ঠে ছিল দৃঢ়তা, কিন্তু চোখে ছিল ভবিষ্যতের জন্য এক স্বপ্নময় কোমলতা।
আহ্বায়ক মো. স্বাধীন খন্দকার সেমিনারে আরো বলেন, ‘আমরা তরুণরা যদি ন্যায়ের পক্ষে, সত্যের পক্ষে দৃঢ়ভাবে না দাঁড়াই, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমরা ব্যর্থ হব। আমাদের চিন্তা, আমাদের কলম, আমাদের কণ্ঠ—সবকিছুই হতে হবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হাতিয়ার।’ তার এই কথায় উপস্থিত সবার মনে যেন নতুন করে শক্তি সঞ্চার হয়। সদস্যরা একে একে নিজেদের ভাবনা প্রকাশ করেন। কেউ বলেন, এই সংগঠন তাদের সাহস জুগিয়েছে; কেউ বলেন, এখানে এসে তারা শিখেছেন কীভাবে ভিন্ন মতামতকে শ্রদ্ধা করতে হয়; আবার কেউ কেউ স্বীকার করেন, আগে তারা বই পড়ার প্রতি খুব একটা আগ্রহী ছিলেন না, কিন্তু এখন বই তাদের নিত্যসঙ্গী হয়ে গেছে। তাদের কথার মাঝেই বারবার উঠে এসেছে এক অনুভূতি—এখানে সবাই এক পরিবারের সদস্যের মতো।
অনুষ্ঠানে শুধু পাঠচর্চা বা সংগঠনের কাজের দিক নয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটও উঠে আসে। আলোচনার একপর্যায়ে আহ্বায়ক আসন্ন রাকসু (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) নির্বাচন প্রসঙ্গেও কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘রাকসু নির্বাচন আমাদের ছাত্রসমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচন তরুণদের নেতৃত্ব বিকাশের সুযোগ দেয়। তবে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, নির্বাচন যেন সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ হয়। ছাত্রসমাজের প্রকৃত চাহিদা ও দাবি যেন এই নির্বাচনের মাধ্যমে উঠে আসে, সেই দায়িত্ব আমাদের সবার।’ তার এই মন্তব্য সদস্যদের মধ্যে সচেতনতা ও আগ্রহের সঞ্চার করে। সেমিনারের পরিবেশ ছিল প্রাণবন্ত, কিন্তু একই সঙ্গে ছিল গভীর ভাবনার ছোঁয়া। সদস্যরা নিজেদের পরিকল্পনা শেয়ার করেন—কীভাবে তারা ক্যাম্পাসে পাঠচর্চার পরিবেশ আরো বিস্তৃত করবেন, কীভাবে নতুন নতুন ছাত্রছাত্রীকে এই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করবেন, আর কীভাবে সামাজিক ও জাতীয় ইস্যুতে সচেতনতা তৈরি করবেন। তাদের কথায় বোঝা যাচ্ছিল, ‘আমার দেশ পাঠকমেলা’ তাদের কাছে কেবল একটি সংগঠন নয়, বরং জীবনের পথচলার এক দিকনির্দেশনা। আহ্বায়ক তার সমাপনী বক্তব্যে সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের যাত্রা এখনই শুরু। সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে, কিন্তু আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, তাহলে কোনো বাধাই আমাদের থামাতে পারবে না। আমার দেশ পাঠকমেলা কেবল পাঠাভ্যাস তৈরি করবে না; বরং সত্য, ন্যায় ও স্বাধীনতার জন্য এই প্রজন্মের লড়াই করার মানসিকতা গড়ে তুলবে।’
সেমিনার শেষে সবাই একসঙ্গে ছবি তোলেন। হাসিমুখ, আত্মবিশ্বাসী দৃষ্টি, আর ঐক্যের এক স্পষ্ট বার্তা যেন ছবির মধ্যেই ধরা পড়ে। কালো কোট, শাড়ি, আর আনুষ্ঠানিক পোশাকে সজ্জিত সদস্যদের মাঝে ফুটে উঠেছিল একধরনের শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্ব, যা এই সংগঠনের আদর্শকে আরো দৃঢ়ভাবে তুলে ধরে। এই সেমিনার প্রমাণ করল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই তরুণরা কেবল জ্ঞান আহরণে নয়, বরং সেই জ্ঞানকে সমাজ ও দেশের জন্য কাজে লাগাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তাদের স্বপ্ন, তাদের একাগ্রতা, আর ঐক্য—সবই একদিন এই দেশকে বদলে দিতে অবদান রাখবে।
‘সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানের চর্চায় তরুণরাই সমাজের আলোকবর্তিকা’ এই বিশ্বাসে আমার দেশ পাঠকমেলা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো কার্যনির্বাহী সদস্যদের আলোচনা ও রাকসু নির্বাচনকে ঘিরে এক মতবিনিময় সভা।
৫ দিন আগেঢাকার প্রাণকেন্দ্র জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে চলছে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক ইসলামি বইমেলা। বিভিন্ন দেশের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান এবং বইপ্রেমী মানুষের আগমনে মুখর বইমেলা পরিদর্শনে যান আমার দেশ পাঠকমেলা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা।
১২ দিন আগেবন্দর ব্যবস্থাপনা ও সরবরাহ বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাদুল ইসলামের সঞ্চালনায় পাঠচক্রে আলোচ্য বিষয় ছিল ‘বাংলাদেশে পাশ্চাত্য মূল্যবোধের প্রভাব’। এই পাঠচক্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ও বিভিন্ন সেশনের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থেকে নির্ধারিত বিষয়ের ওপর তাদের সুচিন্তিত মন্তব্য তুলে ধরেন।
১২ দিন আগেআন্তর্জাতিক ইসলামী বইমেলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হলো মুসলিম উম্মাহর ইতিহাসবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
১৯ দিন আগে