আতিক হাসান
‘আমার দেশ পাঠকমেলা’ শেরপুর জেলা শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো এক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। সকালবেলা পাঠকমেলার কিছু সদস্য ও নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা গিয়েছিলাম একটি নার্সারিতে। সেখান থেকে জলপাই ও পেয়ারা গাছের চারা সংগ্রহ করেছি।
চারা কিনতে গিয়েই শিক্ষার্থীদের চোখে-মুখে ছিল একধরনের কৌতূহল ও উচ্ছ্বাস। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরাবি জানায়, ‘ভাইয়া, গাছ কিনতে হলে ফলদ গাছ নিন—ফলও পাব, ছায়াও পাব।’
আগের দিন গাছগুলো কিনে রাখা হয়েছিল। পরের দিন হযরত শাহজালাল (র.) একাডেমি বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শুরু হয় মূল কর্মসূচি। সূচনায় পাঠকমেলার সদস্য ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরিবেশ সংরক্ষণে শপথ পাঠ করানো হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা চারা রোপণ করেছি।
চারা রোপণে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করেন হযরত শাহজালাল (র.) একাডেমির সহকারী শিক্ষক রাসেল মাহমুদ, জসিষ্ট মোহন, মোর্শেদ আলম ও আরো অনেকেই। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের পক্ষ থেকে ছিলেন ইব্রাহিম খলিল, তিনি সপ্তম শ্রেণিপড়ুয়া শিক্ষার্থী জুনাইদ আল হাবিবের বাবা।
বৃক্ষরোপণের পরপরই একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়, যেখানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আমি বলি, ‘এই গাছগুলো শুধু ফল দেবে না—দেবে ছায়া, দেবে অক্সিজেন, ঠেকাবে মাটির ক্ষয়। একটি দেশের মোট ভূমির ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা দরকার, সেখানে আমাদের দেশে আছে মাত্র ১৫-১৭ শতাংশ। এই ঘাটতি পূরণ করতে হলে প্রচুর গাছ লাগাতে হবে। এই পরিবেশ আমাদের এবং এর সংরক্ষণের দায়িত্বও আমাদের।’
আলোচনায় এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ফজলুল করিম বলেন, ‘হাদিস অনুযায়ী গাছ লাগানো সদকায়ে জারিয়া। মৃত্যুর পরেও কবরে শুয়ে এর সওয়াব পাওয়া যাবে। সুতরাং তোমরা বেশি বেশি গাছ লাগাও, আর এই সওয়াবের অংশীদার হও।’ সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. রবিন বলেন, ‘শুধু পরীক্ষায় ভালো ফল করলেই হবে না, প্রকৃতি ও পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। আজ তোমরা যা করছ, তা তোমাদের ভবিষ্যতের জন্য উপকার বয়ে আনবে।’ সহকারী শিক্ষক রাসেল মাহমুদ বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় গাছ গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সুতরাং আমাদের গাছ লাগানো উচিত।’ এ ছাড়া সহকারী শিক্ষক জসিষ্ট মোহন বলেন, ‘বৈশ্বিক উষ্ণতা কমানোর জন্য আমাদের গাছ লাগানো দরকার।’
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিদ্রাতুল মুনতাহা পরিবেশ বিষয়ে তার মতামত প্রকাশ করে বলে, ‘পরিবেশ দূষণ, বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বৃক্ষরোপণ একটি শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ।’ নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মমিন বলে, ‘শুধু কর্মসূচির দিন নয়, প্রতিদিন গাছের যত্ন নেওয়াই আমাদের আসল দায়িত্ব।’ সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী জুনাইদ আল হাবিব জানায়, ‘এই প্রথম গাছ লাগালাম। খুব ভালো লাগছে। আমি প্রতিদিন পানি দেব, যত্ন নেব। বড় হলে এ গাছগুলো ফল দেবে।’ এ ছাড়া নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নৌশিন বলেন, ‘যদি আমরা সবাই মিলে একটি করে গাছ লাগাই এবং তার যত্ন নিই, তবে আমাদের চারপাশ অনেক সুন্দর হয়ে উঠবে।’
কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে পরিবেশ রক্ষার গুরুত্বের বিষয়ে কিছু সচেতনতামূলক বক্তব্য দেওয়া হয়। পাশাপাশি গাছগুলোর পরিচর্যার দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের মাঝে ভাগ করে দেওয়া হয়। প্রতিটি সদস্যকেও নিজ উদ্যোগে অন্তত একটি করে গাছ লাগানোর আহ্বান জানানো হয়।
এই কর্মসূচি একটি বার্তাই পৌঁছে দেয়—গাছ মানে শুধু একটি চারা নয়, বরং একটি জীবনের প্রতীক। ‘আমার দেশ পাঠকমেলা, শেরপুর জেলা শাখা’ পরিবেশবান্ধব সমাজ গঠনের লক্ষ্যে এমন উদ্যোগের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে একটি সবুজ ও সচেতন ভবিষ্যতের দিকে।
‘আমার দেশ পাঠকমেলা’ শেরপুর জেলা শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো এক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। সকালবেলা পাঠকমেলার কিছু সদস্য ও নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা গিয়েছিলাম একটি নার্সারিতে। সেখান থেকে জলপাই ও পেয়ারা গাছের চারা সংগ্রহ করেছি।
চারা কিনতে গিয়েই শিক্ষার্থীদের চোখে-মুখে ছিল একধরনের কৌতূহল ও উচ্ছ্বাস। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরাবি জানায়, ‘ভাইয়া, গাছ কিনতে হলে ফলদ গাছ নিন—ফলও পাব, ছায়াও পাব।’
আগের দিন গাছগুলো কিনে রাখা হয়েছিল। পরের দিন হযরত শাহজালাল (র.) একাডেমি বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শুরু হয় মূল কর্মসূচি। সূচনায় পাঠকমেলার সদস্য ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরিবেশ সংরক্ষণে শপথ পাঠ করানো হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা চারা রোপণ করেছি।
চারা রোপণে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করেন হযরত শাহজালাল (র.) একাডেমির সহকারী শিক্ষক রাসেল মাহমুদ, জসিষ্ট মোহন, মোর্শেদ আলম ও আরো অনেকেই। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের পক্ষ থেকে ছিলেন ইব্রাহিম খলিল, তিনি সপ্তম শ্রেণিপড়ুয়া শিক্ষার্থী জুনাইদ আল হাবিবের বাবা।
বৃক্ষরোপণের পরপরই একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়, যেখানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আমি বলি, ‘এই গাছগুলো শুধু ফল দেবে না—দেবে ছায়া, দেবে অক্সিজেন, ঠেকাবে মাটির ক্ষয়। একটি দেশের মোট ভূমির ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা দরকার, সেখানে আমাদের দেশে আছে মাত্র ১৫-১৭ শতাংশ। এই ঘাটতি পূরণ করতে হলে প্রচুর গাছ লাগাতে হবে। এই পরিবেশ আমাদের এবং এর সংরক্ষণের দায়িত্বও আমাদের।’
আলোচনায় এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ফজলুল করিম বলেন, ‘হাদিস অনুযায়ী গাছ লাগানো সদকায়ে জারিয়া। মৃত্যুর পরেও কবরে শুয়ে এর সওয়াব পাওয়া যাবে। সুতরাং তোমরা বেশি বেশি গাছ লাগাও, আর এই সওয়াবের অংশীদার হও।’ সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. রবিন বলেন, ‘শুধু পরীক্ষায় ভালো ফল করলেই হবে না, প্রকৃতি ও পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। আজ তোমরা যা করছ, তা তোমাদের ভবিষ্যতের জন্য উপকার বয়ে আনবে।’ সহকারী শিক্ষক রাসেল মাহমুদ বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় গাছ গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সুতরাং আমাদের গাছ লাগানো উচিত।’ এ ছাড়া সহকারী শিক্ষক জসিষ্ট মোহন বলেন, ‘বৈশ্বিক উষ্ণতা কমানোর জন্য আমাদের গাছ লাগানো দরকার।’
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিদ্রাতুল মুনতাহা পরিবেশ বিষয়ে তার মতামত প্রকাশ করে বলে, ‘পরিবেশ দূষণ, বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বৃক্ষরোপণ একটি শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ।’ নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মমিন বলে, ‘শুধু কর্মসূচির দিন নয়, প্রতিদিন গাছের যত্ন নেওয়াই আমাদের আসল দায়িত্ব।’ সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী জুনাইদ আল হাবিব জানায়, ‘এই প্রথম গাছ লাগালাম। খুব ভালো লাগছে। আমি প্রতিদিন পানি দেব, যত্ন নেব। বড় হলে এ গাছগুলো ফল দেবে।’ এ ছাড়া নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নৌশিন বলেন, ‘যদি আমরা সবাই মিলে একটি করে গাছ লাগাই এবং তার যত্ন নিই, তবে আমাদের চারপাশ অনেক সুন্দর হয়ে উঠবে।’
কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে পরিবেশ রক্ষার গুরুত্বের বিষয়ে কিছু সচেতনতামূলক বক্তব্য দেওয়া হয়। পাশাপাশি গাছগুলোর পরিচর্যার দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের মাঝে ভাগ করে দেওয়া হয়। প্রতিটি সদস্যকেও নিজ উদ্যোগে অন্তত একটি করে গাছ লাগানোর আহ্বান জানানো হয়।
এই কর্মসূচি একটি বার্তাই পৌঁছে দেয়—গাছ মানে শুধু একটি চারা নয়, বরং একটি জীবনের প্রতীক। ‘আমার দেশ পাঠকমেলা, শেরপুর জেলা শাখা’ পরিবেশবান্ধব সমাজ গঠনের লক্ষ্যে এমন উদ্যোগের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে একটি সবুজ ও সচেতন ভবিষ্যতের দিকে।
‘সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানের চর্চায় তরুণরাই সমাজের আলোকবর্তিকা’ এই বিশ্বাসে আমার দেশ পাঠকমেলা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো কার্যনির্বাহী সদস্যদের আলোচনা ও রাকসু নির্বাচনকে ঘিরে এক মতবিনিময় সভা।
৫ দিন আগেঢাকার প্রাণকেন্দ্র জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে চলছে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক ইসলামি বইমেলা। বিভিন্ন দেশের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান এবং বইপ্রেমী মানুষের আগমনে মুখর বইমেলা পরিদর্শনে যান আমার দেশ পাঠকমেলা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা।
১২ দিন আগেবন্দর ব্যবস্থাপনা ও সরবরাহ বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাদুল ইসলামের সঞ্চালনায় পাঠচক্রে আলোচ্য বিষয় ছিল ‘বাংলাদেশে পাশ্চাত্য মূল্যবোধের প্রভাব’। এই পাঠচক্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ও বিভিন্ন সেশনের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থেকে নির্ধারিত বিষয়ের ওপর তাদের সুচিন্তিত মন্তব্য তুলে ধরেন।
১২ দিন আগেআন্তর্জাতিক ইসলামী বইমেলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হলো মুসলিম উম্মাহর ইতিহাসবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
১৯ দিন আগে