ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির হত্যাচেষ্টাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসাবে অভিহিত করায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে অপসারণ চেয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ন্যাশনাল লইয়ার্স এলায়েন্স। একই সাথে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অযোগ্য অভিহিত করে আর পদত্যাগ দাবি করেছে আইনজীবীদের সংগঠনটি।
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে এনসিপির আইন সম্পাদক এডভোকেট জহিরুল ইসলাম মুসা বলেন, আমরা জান দেব, জুলাই দেব না। তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যের প্রধান বিচারপতির নিকট সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের আহ্বান জানান।
সমাবেশে এনইসি যুগ্ম সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নাজমুস সাকিব বলেন, হাদিকে গুলি করে খুলি উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টার মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট আমলের অপশক্তি বাংলার বিপ্লবীদের দমানোর অপচেষ্টা করছে, বাংলার মানচিত্র শকুনের মত খামচে ধরতে চাইছে।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তার ফেসবুক পেজে হাদির বক্তব্য প্রকাশ করে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা না করে অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং কোন পক্ষ দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, শরিফ ওসমান হাদির আসল হন্তারক গ্রেপ্তার না হওয়ার পিছনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ কেউ জড়িত থাকতে পারেন, কোন কোন পক্ষের ইন্ধন থাকতে পারে।
নাজমুস সাকিব আশঙ্কা প্রকাশ করেন, যে নির্বাচন কমিশন একটা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করে নাই তারা ৩০০ আসনের জাতীয় নির্বাচন কিভাবে করবে।
সভাপতির বক্তব্যে লইয়ার্স এলায়েন্সের আহবায়ক এস এম আজমল হোসেন বাচ্চু বলেন, যখনি দেশ একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে তখনই প্রধান নির্বাচন কমিশনার উদ্ধত, দালালীর বক্তব্য দিয়েছেন, আমরা জানি আপনারা সাহস কোথা থেকে পান। তিনি বলেন বিপ্লব চলমান, এখনো বিপ্লব শেষ হয় নি।
সমাবেশের আরও বক্তব্য রাখেন লইয়ার্স এলায়েন্সের সদস্য সচিব এরশাদুল বারি খন্দকার, যুগ্ম আহ্বায়ক মুস্তাফা আজগর শরিফী, লাবাবুল বাশার, আমিনা আক্তার, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক জাবেদ আরাফাত, মেরি আক্তার, সিনিয়র এডভোকেট ওমর ফারুক প্রমুখ।

