ন্যায়-ইনসাফের ভিত্তিতে দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে নারী সমাজকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও এখনও রাষ্ট্র মানুষের মৌলিক অধিকারের নিশ্চিয়তা দিতে পারেনি। তাই আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে একটি পরিবর্তনের শুভসূচনা করতে সবাইকে ময়দানে আপসহীন ভূমিকা পালন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মিরপুরে পিএসসি কনভেনশন হলে ঢাকা-১৫ সংসদীয় আসনের উদ্যোগে উদ্ভাসিত যুব নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশে নির্বাচন অত্যাসন্ন। জনগণ ভোট দিয়ে যাদের নির্বাচিত করবে তারাই ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু নতুন সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা কী? আমি আপনাদের মতামত ও প্রশ্ন থেকে যা অবগত হয়েছি, তাতে মনে হয়েছে আপনারা নিরাপত্তা ও সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে চান। রাষ্ট্র যেন আপনাদের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়। আপনারা চান নিরাপদ মাতৃত্ব। সন্তান জন্মের পর তারা যাতে অপুষ্টিতে না ভোগে; একই সঙ্গে যেন সামাজিক নিরাপত্তা পায়। সুচিকিৎসার সুযোগ থেকে যেন বঞ্চিত না হয়। পরিণত বয়সে সুশিক্ষা পেয়ে উন্নত নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হয়ে গড়ে ওঠে। বিয়ে-সাদিতে যাতে কোনো সমস্যা না হয়। যোগ্যতা অনুযায়ী রাষ্ট্র যেন তাদের কর্মের ব্যবস্থা করে। কিন্তু স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও কোনো সরকারই জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। তাই এখন একটি পরিবর্তনের আবশ্যকতা দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচন দেশ ও জাতির জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট। দীর্ঘদিন চাষাবাদের পর ফসল ঘরে তোলার সময়। তাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের পক্ষে সময় নষ্ট করার কোনো সুযোগ নেই বরং সর্বোচ্চ কোরবানির মাধ্যমে দ্বীন বিজয়ের প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এ বিষয়ে দেশে যেন গণজোয়ারের আভাস পাওয়া যাচ্ছে, ঠিক তেমনিভাবে প্রবাসী ভাই-বোনদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে নতুন উচ্ছ্বাস। তারা প্রত্যাশার চেয়েও বেশিকিছু করতে প্রস্তুত রয়েছেন। দেশে ইসলামী আন্দোলনের জন্য যেমন নতুন আশাবাদের সৃষ্টি হয়েছে, ঠিক তেমনিভাবে চ্যালেঞ্জও কম নয়। তাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে অতি সন্তর্পনেই অগ্রসর হতে হবে। তিনি আগামী নির্বাচনে সারাদেশে জামায়াত প্রার্থীদের বিজয়ী করতে সবাইকে ময়দানে সর্বশক্তি নিয়োগ করার আহ্বান জানান।

