ফারাক্কা দিবসে ফখরুলের বিবৃতি

আ. লীগের সিদ্ধান্তে আজও পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত বাংলাদেশ

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৫, ২১: ১৫

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জীববৈচিত্র ও পরিবেশগত মানকে বিবেচনা না করে এবং প্রাকৃতিক ও মানবিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনাকে উপেক্ষা করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের মতামতকে অগ্রাহ্য করে ভারতকে কয়েক দিনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালুর অনুমতি দেয়। কিন্তু সেই বাঁধ অব্যাহতভাবে এখনও পর্যন্ত চালু থাকায় সেটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। তৎকালীন আওয়ামী সরকারের কারণে এ দেশের জনগণ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত।

বৃহস্পতিবার বিকেলে আগামীকাল ১৬ মে ’ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস’ উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ১৯৭৬ সালের ১৬ মে মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর ডাকে লাখো জনতা রাজশাহী থেকে ফারাক্কা অভিমুখে লংমার্চে অংশ নিয়েছিলেন। এর মূল লক্ষ্য ছিল ভারত নির্মিত ফারাক্কা বাঁধের প্রতিবাদ ও আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশের পানির সঠিক হিস্যা নিশ্চিত করা।

ফখরুল বলেন, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার জনমতের তোয়াক্কা না করে পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালুর অনুমতি দেয়। আজ সেই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জন্য এক ভয়াবহ জলবিপর্যয়ের রূপ নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভারত একতরফাভাবে ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি প্রত্যাহার করছে। এই কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল মরুকরণের পথে। নষ্ট হচ্ছে কৃষি জমি। একই সঙ্গে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে।

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, ভারত আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তি উপেক্ষা করে পানি প্রত্যাহার করছে, যা বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য হুমকি। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের এই সংকট নিয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

ফখরুল তার বিবৃতিতে বলেন, ১৬ মে শুধু একটি স্মরণীয় দিন নয় এটি একটি প্রতিরোধের প্রতীক। ফারাক্কা দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়—ন্যায্য অধিকার কখনো অনুনয়ে পাওয়া যায় না, সংগ্রামের মাধ্যমে আদায় করতে হয়।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত