আগামীর বাংলাদেশ হবে জামায়াতের বাংলাদেশ: মতিউর রহমান

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৫, ১৯: ১৬
আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২৫, ২০: ৩১

পিআর পদ্ধতি ছাড়া অন্যকোন পদ্ধতি জনগণ মানবে না বলে হুঁশিয়ারি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ। তিনি বলেন, আগামীর দেশে জামায়াতের পক্ষে যে অভুতপূর্ব গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তাতে আগামীর বাংলাদেশ হবে জামায়াতের বাংলাদেশ।

রোববার অডিটোরিয়ামে উত্তরা পশ্চিম থানার উদ্যোগে ১৯ জুলাই জাতীয় মহাসমাবেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইউনিট দায়িত্বশীলদের সম্মেলন প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

থানা আমির মাজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি ফিরোজ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দারসুল কোরআন পেশ করেন মুফাসসির বিভাগের সহ-সভাপতি ড.কামরুল হাসান শাহিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উত্তরা পশ্চিম জোন সহকারী পরিচালক মাহবুব আলম, ঢাকা-১৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ আশরাফুল হক এবং ৫১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হাজী আরব আলী।

উপস্থিত ছিলেন থানা অফিস সম্পাদক জিএম আসলাম, বাইতুলমাল সম্পাদক মশিউর রহমান, থানা কর্মপরিষদ সদস্য শহিদুল ইসলাম, মাহমুদুর রহমান, জাহাঙ্গীর শিকদার, ওয়ার্ড সভাপতি হাফেজ ইব্রাহিম খলিল প্রমূখ।

মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, আওয়ামী বাকশালীরা দেশকে ফ্যাসীবাদী ও মাফিয়াতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলো।

পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছিলো দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে। বাকশালীরা জামায়াতকে তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ মনে করে কথিত বিচারের নামে প্রহসন মাধ্যমে শীর্ষনেতাদের একের পর হত্যা করে দেশকে রীতিমত বধ্যভূমিতে পরিণত করেছিলো। কিন্তু ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়েও আমাদের শহীদ নেতারা অন্যায় ও অসত্যের কাছে মাথানত করেন নি বরং দেশ, জাতি ও ইসলামের কল্যাণে হাসিমুখে শাহাদাতকে বরণ করে নিয়েছেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা দ্বিতীয় বারের মত স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এ দ্বিতীয় স্বাধীনতা পরবর্তী ৭ দফা দাবিকে সামনে রেখে আমরা ঐতিহাসিক জাতীয় সম্মেলন ডাক দিয়েছি। যা আগামী দিনে ইসলামী শক্তিকে রাষ্টীয় ক্ষমতায় নেওয়া এবং প্রতিবেশীদের জন্য সতর্ক বার্তা।

মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, আমরা ৭ দফার মধ্যে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন দাবি করেছি। দেশে পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে জাতীয় সংসদে সকল শ্রেণির মানুষের প্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। দেশে নতুন করে ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটবে না।

সম্মেলনে আশুরা গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়েও আলোচনা এবং জুলাই আগষ্টের শহীদদের জন্য দোয়া করা হয়। সম্মেলন শেষে বিশাল প্রচার মিছিল উত্তরার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত