স্টাফ রিপোর্টার
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ছাত্র-জনতার রাষ্ট্র সংস্কারের দাবি এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর কোনো কারণ নেই। অর্থবহ সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে স্বৈরাচার ফেরানোর পথ প্রশস্ত হবে। সংস্কার ও জুলাই হত্যার বিচার ছাড়া দেশে নির্বাচন কোনো নয়। আগে সংস্কার হতে হবে, নির্বাচনের পর নয়। কেউই আগের অবস্থায় ফিরে যেতে চায় না, সেজন্য সবাইকে ঐক্যমতে পৌঁছাতে হবে।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সংস্কার সমন্বয় কমিটি ‘গণতান্ত্রিক রূপান্তর: মৌলিক সংস্কার ও নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। এ আলোচনা সভায় দলটির পক্ষ থেকে মৌলিক সংস্কারের রূপরেখার প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
এতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, সংস্কার ও জুলাই হত্যার বিচার ছাড়া দেশে নির্বাচন কোনো নয়। এই হত্যার বিচার শেষ না করে নির্বাচন হলে দেশ আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। আমরা কেউই আগের অবস্থায় ফিরে যেতে চাই না, সেজন্য সবাইকে ঐক্যমতে পৌঁছাতে হবে। সংস্কার হতেই হবে। তারপর নির্বাচন। একইসঙ্গে বিডিআর হত্যা ও শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর কোনো প্রয়োজন নেই। নির্বাচন আবশ্যক, তবে সেটা সংস্কার বাদ দিয়ে নয়। অর্থবহ সংস্কার ছাড়া নির্বাচন করা হলে স্বৈরাচার ফেরানোর পথ প্রশস্ত হবে। বিদ্যমান সংবিধানে একজন প্রধানমন্ত্রীকে যে পরিমাণ কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে, তাতেই একজন প্রধানমন্ত্রী সাংবিধানিকভাবে স্বৈরাচার হয়ে উঠতে পারে। তাই ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে সংস্কারের বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, নির্বাচিত সরকারের ওপর সংস্কার প্রক্রিয়ার দায়িত্ব দিয়ে সংস্কারকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। কোনো রাজনৈতিক দল যদি ক্ষমতায় আসার পর জুলাই সনদের ব্যত্যয় ঘটায়, তাহলে জনগণ সেই দলকে প্রত্যাখ্যান করবে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংস্কারের ভিত্তিতে হতে হবে উল্লেখ করে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, এ জন্য নির্বাচনের আগেই সংস্কার হতে হবে, নির্বাচনের পর নয়। যে সময়সূচির মধ্যে আপনারা নির্বাচন চাচ্ছেন, সেটি তখনই করেন, কিন্তু সংস্কারটা আগেই হতে হবে।
সংস্কার এনসিপির কোনো এজেন্ডা নয়, এটা জাতীয় বিষয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, সংস্কার চাইলে এক–এগারোর ভয় দেখানো হচ্ছে। এক-এগারো ঘটেছে রাজনৈতিক দলগুলোর মিমাংসার অভাবে। অতীতে সংবিধানে যে বড় বড় সংশোধন করা হয়েছে, তা এক ব্যক্তির ইচ্ছায় হয়েছে। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে সংসদ সদস্যরা দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারেন না, এটা আটকাতে হবে। এ জন্যই আমরা বলছি, গণতান্ত্রিক সংস্কারটা এখনই হতে হবে।
সেনাপ্রধান ডিসেম্বরে নির্বাচন হতে হবে বলেছেন উল্লেখ করে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, এই কথা বলার এখতিয়ার তার নেই। সেনাবাহিনী ক্যান্টনমেন্টেই থাকুক। মিলিটারিকে পলিটিক্স থেকে সেপারেশন করতে হবে। বাংলাদেশে যে আর্ম ফোর্সেস রয়েছে, সেখানে তাদেরকে একটি সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ইসলামী আন্দোলনের আশরাফ আলী আকন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য শরীফ ভূঁইয়া, বিআইজিডির জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো মির্জা এম হাসান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা সৈয়দ হাসিব উদ্দিন হোসেন।
মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা
প্রস্তাবনায় বলা হয়, মৌলিক সংস্কার স্রেফ নির্বাচনী সংস্কার নয়; মৌলিক সংস্কার আসন-ভিত্তিক সংসদীয় দুই-তৃতীয়াংশের জোরে করা সংবিধান সংশোধনীও নয়। মৌলিক সংস্কারের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সাংবিধানিক ব্যবস্থার ক্ষমতার ভারসাম্য, জবাবদিহি ও বিকেন্দ্রীকরণ নিশ্চিত হবে। শাসনব্যবস্থার ফ্যাসিবাদী বা স্বৈরাচারী প্রবণতার উপকরণ চিহ্নিত করে তা বিলুপ্ত করা। গণতান্ত্রিক রীতি ও প্রক্রিয়ার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা, যেখানে জনগণের ভোট, মতামত ও অংশগ্রহণই হবে নীতিনির্ধারণের মূল ভিত্তি। ক্ষমতার ভারসাম্য ও বিকেন্দ্রীকরণ নিশ্চিত করা, যাতে কোনো এক ব্যক্তি, দল বা প্রতিষ্ঠান শাসনব্যবস্থার ওপর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে না পারে। স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গঠন করা, বিশেষ করে নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন সংস্থা, মহা হিসাব নিরীক্ষক প্রভৃতি। সাংবিধানিক সুরক্ষা ও সংশোধন প্রক্রিয়ায় জন অংশগ্রহণ সংযুক্ত করা, যাতে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার শাসন ব্যবস্থা রক্ষিত থাকে এবং জনগণের অনুমতি ছাড়া তা পরিবর্তন করা না যায়। মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবে সাংবিধানিক ব্যবস্থা, নির্বাহী ক্ষমতার ভারসাম্য, স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন, সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোটের বিধান, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, সাংবিধানিক পদে নিয়োগ, নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার, দুদক সংস্কার, স্থানীয় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার এবং জনপ্রশাসন সংস্কার। কারণ বাংলাদেশের সংবিধান এবং রাষ্ট্রকাঠামোর মৌলিক সংস্কারের জন্য প্রয়োজন, যার মাধ্যমে ক্ষমতার ভারসাম্য, জবাবদিহি, নাগরিক অধিকারের নিশ্চয়তা তথা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা যায়।
এটিএম আজহার ন্যায়বিচারের অধিকার পেয়েছেন
জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তির মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচারের অধিকার পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপি সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে কাউকে বিচারের প্রহসনের মাধ্যমে যেন জীবন দিতে না হয়, সেটি রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে। আবার জামায়াতে ইসলামীর ঐতিহাসিক দায় রয়েছে- সেটা যেন জনগণের মাঝে স্পষ্ট করে।
দেশের বিচার ব্যবস্থাকে দলীয়করণের কথা উল্লেখ করে আখতার হোসেন বলেন, জামায়াত নেতা আজহারকে আপিল বিভাগের খালাস দিয়ে দেওয়া মতামতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, বিচারকে মিসক্যারেজ করা হয়েছে। আজহারকে যে আপিল ডিভিশন মুক্তি দিয়েছে, সেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে—একজন মানুষ এবং ব্যক্তি তাকে জুডিশিয়ালি লায়াবল করতে হলে যে ধরনের স্ট্যান্ডার্ডের মধ্য দিয়ে যেতে হয়, সেটা হয়নি।
পতিত শেখ হাসিনার আমলের তৈরি আদালত বিরোধী মতের মানুষদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সন্দেহাতীতভাবে অপরাধকে উত্থাপন করতে গিয়ে, বিচারের নামে প্রহসন করে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের দিকে ধাবিত করেছেন। এরকম বাংলাদেশে যেন আর না হয়। এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যে বিচার কার্যক্রম চলছে, তা হাসিনার আমলের মতো নয় বরং সত্যিকারার্থে আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করতে হবে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ছাত্র-জনতার রাষ্ট্র সংস্কারের দাবি এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর কোনো কারণ নেই। অর্থবহ সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে স্বৈরাচার ফেরানোর পথ প্রশস্ত হবে। সংস্কার ও জুলাই হত্যার বিচার ছাড়া দেশে নির্বাচন কোনো নয়। আগে সংস্কার হতে হবে, নির্বাচনের পর নয়। কেউই আগের অবস্থায় ফিরে যেতে চায় না, সেজন্য সবাইকে ঐক্যমতে পৌঁছাতে হবে।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সংস্কার সমন্বয় কমিটি ‘গণতান্ত্রিক রূপান্তর: মৌলিক সংস্কার ও নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। এ আলোচনা সভায় দলটির পক্ষ থেকে মৌলিক সংস্কারের রূপরেখার প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
এতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, সংস্কার ও জুলাই হত্যার বিচার ছাড়া দেশে নির্বাচন কোনো নয়। এই হত্যার বিচার শেষ না করে নির্বাচন হলে দেশ আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। আমরা কেউই আগের অবস্থায় ফিরে যেতে চাই না, সেজন্য সবাইকে ঐক্যমতে পৌঁছাতে হবে। সংস্কার হতেই হবে। তারপর নির্বাচন। একইসঙ্গে বিডিআর হত্যা ও শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর কোনো প্রয়োজন নেই। নির্বাচন আবশ্যক, তবে সেটা সংস্কার বাদ দিয়ে নয়। অর্থবহ সংস্কার ছাড়া নির্বাচন করা হলে স্বৈরাচার ফেরানোর পথ প্রশস্ত হবে। বিদ্যমান সংবিধানে একজন প্রধানমন্ত্রীকে যে পরিমাণ কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে, তাতেই একজন প্রধানমন্ত্রী সাংবিধানিকভাবে স্বৈরাচার হয়ে উঠতে পারে। তাই ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে সংস্কারের বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, নির্বাচিত সরকারের ওপর সংস্কার প্রক্রিয়ার দায়িত্ব দিয়ে সংস্কারকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। কোনো রাজনৈতিক দল যদি ক্ষমতায় আসার পর জুলাই সনদের ব্যত্যয় ঘটায়, তাহলে জনগণ সেই দলকে প্রত্যাখ্যান করবে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংস্কারের ভিত্তিতে হতে হবে উল্লেখ করে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, এ জন্য নির্বাচনের আগেই সংস্কার হতে হবে, নির্বাচনের পর নয়। যে সময়সূচির মধ্যে আপনারা নির্বাচন চাচ্ছেন, সেটি তখনই করেন, কিন্তু সংস্কারটা আগেই হতে হবে।
সংস্কার এনসিপির কোনো এজেন্ডা নয়, এটা জাতীয় বিষয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, সংস্কার চাইলে এক–এগারোর ভয় দেখানো হচ্ছে। এক-এগারো ঘটেছে রাজনৈতিক দলগুলোর মিমাংসার অভাবে। অতীতে সংবিধানে যে বড় বড় সংশোধন করা হয়েছে, তা এক ব্যক্তির ইচ্ছায় হয়েছে। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে সংসদ সদস্যরা দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারেন না, এটা আটকাতে হবে। এ জন্যই আমরা বলছি, গণতান্ত্রিক সংস্কারটা এখনই হতে হবে।
সেনাপ্রধান ডিসেম্বরে নির্বাচন হতে হবে বলেছেন উল্লেখ করে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, এই কথা বলার এখতিয়ার তার নেই। সেনাবাহিনী ক্যান্টনমেন্টেই থাকুক। মিলিটারিকে পলিটিক্স থেকে সেপারেশন করতে হবে। বাংলাদেশে যে আর্ম ফোর্সেস রয়েছে, সেখানে তাদেরকে একটি সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ইসলামী আন্দোলনের আশরাফ আলী আকন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য শরীফ ভূঁইয়া, বিআইজিডির জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো মির্জা এম হাসান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা সৈয়দ হাসিব উদ্দিন হোসেন।
মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা
প্রস্তাবনায় বলা হয়, মৌলিক সংস্কার স্রেফ নির্বাচনী সংস্কার নয়; মৌলিক সংস্কার আসন-ভিত্তিক সংসদীয় দুই-তৃতীয়াংশের জোরে করা সংবিধান সংশোধনীও নয়। মৌলিক সংস্কারের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সাংবিধানিক ব্যবস্থার ক্ষমতার ভারসাম্য, জবাবদিহি ও বিকেন্দ্রীকরণ নিশ্চিত হবে। শাসনব্যবস্থার ফ্যাসিবাদী বা স্বৈরাচারী প্রবণতার উপকরণ চিহ্নিত করে তা বিলুপ্ত করা। গণতান্ত্রিক রীতি ও প্রক্রিয়ার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা, যেখানে জনগণের ভোট, মতামত ও অংশগ্রহণই হবে নীতিনির্ধারণের মূল ভিত্তি। ক্ষমতার ভারসাম্য ও বিকেন্দ্রীকরণ নিশ্চিত করা, যাতে কোনো এক ব্যক্তি, দল বা প্রতিষ্ঠান শাসনব্যবস্থার ওপর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে না পারে। স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গঠন করা, বিশেষ করে নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন সংস্থা, মহা হিসাব নিরীক্ষক প্রভৃতি। সাংবিধানিক সুরক্ষা ও সংশোধন প্রক্রিয়ায় জন অংশগ্রহণ সংযুক্ত করা, যাতে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার শাসন ব্যবস্থা রক্ষিত থাকে এবং জনগণের অনুমতি ছাড়া তা পরিবর্তন করা না যায়। মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবে সাংবিধানিক ব্যবস্থা, নির্বাহী ক্ষমতার ভারসাম্য, স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন, সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোটের বিধান, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, সাংবিধানিক পদে নিয়োগ, নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার, দুদক সংস্কার, স্থানীয় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার এবং জনপ্রশাসন সংস্কার। কারণ বাংলাদেশের সংবিধান এবং রাষ্ট্রকাঠামোর মৌলিক সংস্কারের জন্য প্রয়োজন, যার মাধ্যমে ক্ষমতার ভারসাম্য, জবাবদিহি, নাগরিক অধিকারের নিশ্চয়তা তথা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা যায়।
এটিএম আজহার ন্যায়বিচারের অধিকার পেয়েছেন
জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তির মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচারের অধিকার পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপি সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে কাউকে বিচারের প্রহসনের মাধ্যমে যেন জীবন দিতে না হয়, সেটি রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে। আবার জামায়াতে ইসলামীর ঐতিহাসিক দায় রয়েছে- সেটা যেন জনগণের মাঝে স্পষ্ট করে।
দেশের বিচার ব্যবস্থাকে দলীয়করণের কথা উল্লেখ করে আখতার হোসেন বলেন, জামায়াত নেতা আজহারকে আপিল বিভাগের খালাস দিয়ে দেওয়া মতামতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, বিচারকে মিসক্যারেজ করা হয়েছে। আজহারকে যে আপিল ডিভিশন মুক্তি দিয়েছে, সেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে—একজন মানুষ এবং ব্যক্তি তাকে জুডিশিয়ালি লায়াবল করতে হলে যে ধরনের স্ট্যান্ডার্ডের মধ্য দিয়ে যেতে হয়, সেটা হয়নি।
পতিত শেখ হাসিনার আমলের তৈরি আদালত বিরোধী মতের মানুষদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সন্দেহাতীতভাবে অপরাধকে উত্থাপন করতে গিয়ে, বিচারের নামে প্রহসন করে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের দিকে ধাবিত করেছেন। এরকম বাংলাদেশে যেন আর না হয়। এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যে বিচার কার্যক্রম চলছে, তা হাসিনার আমলের মতো নয় বরং সত্যিকারার্থে আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করতে হবে।
পরে অন্য সিনিয়র রিপোর্টারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এ্যানি। এ সময় আমার দেশ-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, ভারপ্রাপ্ত চিফ রিপোর্টার বাছির জামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২৪ মিনিট আগেসৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, একটি আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদের সাংবিধানিক মর্যাদা দিতে হবে। এটি সংবিধান নয়, একটা এক্সট্রা কনস্টিটিউশনাল অ্যারেঞ্জমেন্ট যেটা কোনো সরকার এরকম পরিস্থিতিতে পড়লে দেওয়ার এখতিয়ার রাখে।
২ ঘণ্টা আগেনাহিদ ইসলাম বলেন, “বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে যারা পরিচিত তারা নিজেদের মধ্যে প্রশাসন, এসপি-ডিসি এগুলো ভাগ বাটোয়ারা করছে এবং নির্বাচনে জন্য তারা যে তালিকা করছে, সরকারকে সেগুলো দিচ্ছে এবং উপদেষ্টা পরিষদের ভেতর থেকেও সেই দলগুলোর সাথে সেভাবে সহায়তা করছে”।
২ ঘণ্টা আগেরাশেদ খান তার পোস্টে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনভাবেই নিরপেক্ষতার পরিচয় দিতে পারেনি। কোন কোন দলকে সুবিধা দিয়ে ম্যানেজ করে চলেছে। স্বজনপ্রীতিবাজ এসব উপদেষ্টারা কতোটুকু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে পারবে, সেটি নিয়ে সংশয় ও সন্দেহ আছে।
২ ঘণ্টা আগে