জাতীয় যুব শক্তির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম বলেছেন, ফ্যাসিবাদের প্রধান সহযোগী হওয়ার পরও জাতীয় পার্টির বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্ব আছে, তার একমাত্র কারণ বিএনপি ও জামায়াত। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে তাদের কোনো ধরনের তৎপরতা দেখা যায়নি।
রোববার বিকাল ৪টায় জাতীয় যুব শক্তির সপ্তাহব্যাপী সদস্য সংগ্রহ উপলক্ষ্যে বাংলা মোটর রূপায়ণ টাওয়ারের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সময়ে এসেও ফ্যাসিবাদের প্রধান সহযোগী জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কোনো তৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছে না। ফ্যাসিবাদকে টিকিয়ে রাখতে যারা এলিমেন্ট ছিল তারা কিন্তু প্রতিটা সেক্টরে এখন পর্যন্ত সক্রিয় রয়েছে।
তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ক্ষমতায় আছেন। কারণ শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদ কায়েম করার জন্য যাদেরকে নিযুক্ত করেছিল, সেই দল দাসরা প্রশাসনিক ডিসিরা এখনো ক্ষমতায় আছে। যারা পুলিশে, শৃঙ্খলায় বা সেনাসদস্য বা রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বাহিনীতে ছিল, তারা প্রত্যেকে এখন তাদের নিজস্ব জায়গায় আছে। বাংলাদেশে যদি শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাই তাহলে হাসিনাকে যারা ফ্যাসিবাদী হতে সহযোগিতা করেছে সেই কাঠামোকে ভাঙতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ছাত্র নয় এমন ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সীরা জাতীয় যুব শক্তিতে যুক্ত হতে পারবেন। ফ্যাসিবাদীদের দোসর এবং তাদের সহযোগীরা কোনোভাবেই যুব শক্তির সদস্য হতে পারবে না। আমরা মনে করি যে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে যেভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, ঠিক তেমনি তাদের সহযোগী ১৪ দলীয় জোটের দলগুলো বিশেষ করে প্রধান সহযোগী জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করতে হবে। জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আমরা কথা বলছি। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, রাষ্ট্রীয় বাহিনী দিয়ে এই জাতীয় পার্টিকে সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় যুব শক্তির বিভিন্ন পর্যায়ের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আ.লীগের মতো জাতীয় পার্টিকেও নিষিদ্ধ চায় জামায়াত
রোজার আগে নির্বাচনে কোনো দ্বিমত নেই জামায়াতের: ডা.তাহের