ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তা তত্ত্বীয়ভাবে সুন্দর। বাংলাদেশের অধিকাংশ আইন-বিধিই তত্ত্বীয় দৃষ্টিতে ভালো। কিন্তু সমস্যা হয় এর প্রয়োগ নিয়ে। আরপিও সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর সঙ্গে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি সংযুক্ত হলে দেশে নির্বাচনি অরাজকতা দূর হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলনের নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ বলেন, বুধবার আগস্ট ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করবে। সেখানে আরপিও নিয়ে বিস্তারিত মতামত তুলে ধরা হবে।
তিনি বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, যারা আইন প্রয়োগ করে তারা হয় দলান্ধ। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে দলান্ধ ব্যক্তি নিয়োগের পথ বন্ধ করার যে প্রস্তাব ঐকমত্য কমিশনে উঠেছিল, তাতে বিএনপি একমত হয়নি। এর অর্থ হলো প্রতিষ্ঠানগুলোয় দলান্ধ ব্যক্তিদের নিয়োগের পথ খোলা থাকছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, আরপিও সংশোধনীর ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ বিধানই আগের আরপিওতে ছিল কিন্তু আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সময় বাদ দেওয়া হয়। এতে স্পষ্ট যে, আরপিওতে যত সুন্দর বিধানই থাকুক না কেন, নির্বাচনে জেতার পর রাজনৈতিক সরকার কর্তৃক সেগুলোকে কাটছাঁট করে ভোট ডাকাতির পথ উন্মুক্ত করার প্রবণতা থাকে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এ প্রবণতা দূর এবং সংসদকে অন্তর্ভুক্তিমূলক করার জন্য সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। পিআর হলে কোনো দল ৪০ ভাগ ভোট নিয়ে শতভাগ ক্ষমতার অধিকারী হবে না। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আইন ইচ্ছামতো সংশোধন করতে পারবে না।

