ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান তিনি। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
হাদিকে দেখার আগে শুরুতে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যান মির্জা ফখরুল। এ সময় বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেনও ছিলেন বলে জানান শায়রুল।
এর আগে, শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বিজয় নগর কালভার্ট রোড এলাকায় প্রচারণা চালানোর সময় দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে আহত হন শরিফ ওসমান হাদি। দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে হাদিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। পরে রাত ৮টার দিকে হাদিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মাথায় গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা মারাত্মক, মস্তিষ্ক প্রচন্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা অতি সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য) অধ্যাপক ডা. সায়োদুর রহমান।
তিনি বলেন, গুলি বাম কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ায় হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেনস্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা চিকিৎসাশাস্ত্রে ‘ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি’ হিসেবে বিবেচিত। তার মতে, আগামী ৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, আর এ অবস্থায় কোনো ধরনের নতুন ইন্টারভেনশন করা হবে না।
বিশেস সহকারী বলেন, হাদি এখন ‘খুবই ক্রিটিক্যাল’ অবস্থায় আছেন এবং আগামী ৭২ ঘণ্টাই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। তাকে আপাতত কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসে রাখা হয়েছে, যদিও চিকিৎসকেরা এখনো আশার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না।

