আলী হাসান তৈয়ব
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, এক জুমা থেকে আরেক জুমা এবং এক রমজান থেকে আরেক রমজান, এগুলো এর মধ্যকার (সংঘটিত সগিরা) গুনাহ মুছে ফেলে; যদি কবিরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা যায়।’ (মুসলিম : ৪৪৫)
রমজান বছরের শ্রেষ্ঠ মাস। আর জুমা বার সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। ফলে রমজানের মর্যাদাময় প্রতিটি দিনের মধ্যে জুমার দিনগুলো সবিশেষ মর্যাদাপূর্ণ। রমজানের জুমা মানে ওপরের হাদিসে বর্ণিত ক্ষমা লাভ এবং গুনাহের কাফফারার দ্বিগুণ সুযোগ। আর রমজানের শেষ জুমা হলো শেষ সুযোগ। তাই এদিনটি ঈমানদাররা আরো বেশি ইবাদত এবং আগ্রহ-উদ্দীপনা নিয়ে কাটানোর চেষ্টা করেন। আমরাও আজ সে চেষ্টাই করব। এর বাইরে শরিয়তে এই জুমাকে বিশেষায়িত করে কোনো নাম দেওয়া হয়নি। কোনো ইবাদত বা ফজিলত বর্ণিত হয়নি।
প্রসঙ্গত, অনেকে রমজানের শেষ জুমাকে জুমাতুল বিদা নামে অভিহিত করা হয়। আদতে শরিয়তে এ নামে স্বতন্ত্র কোনো জুমা নেই। বিদা মানে সমাপ্তি। রমজানের সমাপ্তির জুমা বলে হয়তো জুমাতুল বিদা নামে প্রচলন শুরু। কিন্তু এই নামে নতুন কিছুর প্রচলন বা শরিয়তে সংযোজন একেবারে কাম্য নয়। সেটা করলে তা এক পর্যায়ে ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ বিদআতে পর্যবসিত হবে। রমজানের গুনাহমুক্ত জীবন গড়া ট্রেনিংয়ের মাসে যা একেবারে অনভিপ্রেত। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন : ‘যে ব্যক্তি আমাদের এ দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছুর সংযোজন করবে, যা এতে নেই তা পরিত্যাজ্য।’ (আবু দাউদ : ৪৫৫১)
আমরা আজকের দিনটিকে বিশেষভাবে সজ্ঞায়িত না করে বার্ষিক ও সাপ্তাহিক গুরুত্বপূর্ণ দিবস হিসেবে যথাসাধ্য বেশি পরিমাণে ইবাদতে সচেষ্ট থাকব। জুমার দিনের প্রতিটি সুন্নত গুরুত্ব দিয়ে পালন করব। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেন : ‘সূর্য উদয়ের দিবসগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমার দিবস। সেদিন আদমকে সৃষ্টি করা হয়। তাকে ওইদিন জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়। তাকে তা থেকে ওইদিন বের করা হয়। আর কিয়ামতও হবে জুমার দিবসেই।’ (মুসলিম : ১৮৫০)
রমজানের একেকটি দিন চলে যাওয়া মানে পরকালীন প্রভূত কল্যাণ ও ক্ষমা লাভের একেকটি সুযোগ নিঃশ্বেষ হয়ে যাওয়া। সেই প্রেক্ষাপটে রমজানের শেষ দিনগুলো শেষ সুযোগ হিসেবে ঈমানদারের জন্য বেশি মূল্যবান। কারণ রমজানের মতো ক্ষমা ও মাগফিরাত লাভের সুযোগ পেয়েও যারা কাজে লাগাতে পারে না তাদের চেয়ে পোড়া কপালবিশিষ্ট আর কেউ নেই। দয়ার নবী (সা.) এমন ব্যক্তিদের ভর্ৎসনা করেছেন। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘ওই ব্যক্তির নাক ধুলো ধূসরিত হোক, যে রমজান পেল এবং তার গুনাহ মাফ করার আগেই তা বিদায় নিল।’ (তিরমিজি : ৩৫৪৫)
আরেকটি হাদিসে এসেছেÑ আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘একদা নবী (সা.) মিম্বারে উঠলেন এবং বললেন : আমিন, আমিন, আমিন। বলা হলো, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি মিম্বারে উঠছিলেন এবং বলছিলেন, আমিন, আমিন, আমিন। তিনি বললেন, জিবরাইল আমার কাছে এসেছিল। সে বলল, (১) যে রমজান পেল অথচ তাকে ক্ষমা করা হলো না, সে জাহান্নামে যাবে এবং আল্লাহ তাকে দূরে সরিয়ে দেবেন, বলুন আমিন। আমি বললাম, আমিন। (২) যে তার মা-বাবা উভয়কে পেল অথবা তাদের একজনকে পেল, অথচ তাদের মাধ্যমে সে পুণ্যের অধিকারী হতে পারল না এবং সে মারা গেল, সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে এবং আল্লাহ তাকে দূরে সরিয়ে দেবেন, বলুন আমিন। আমি বললাম : আমিন। (৩) যার কাছে আপনার নাম উচ্চারিত হলো অথচ সে আপনার প্রতি দরুদ পাঠ করল না এবং মারা গেল, সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে এবং আল্লাহ তাকে দূরে সরিয়ে দেবেন, বলুন আমিন। আমি বললাম আমিন।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান : ১৮৮)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, এক জুমা থেকে আরেক জুমা এবং এক রমজান থেকে আরেক রমজান, এগুলো এর মধ্যকার (সংঘটিত সগিরা) গুনাহ মুছে ফেলে; যদি কবিরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা যায়।’ (মুসলিম : ৪৪৫)
রমজান বছরের শ্রেষ্ঠ মাস। আর জুমা বার সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। ফলে রমজানের মর্যাদাময় প্রতিটি দিনের মধ্যে জুমার দিনগুলো সবিশেষ মর্যাদাপূর্ণ। রমজানের জুমা মানে ওপরের হাদিসে বর্ণিত ক্ষমা লাভ এবং গুনাহের কাফফারার দ্বিগুণ সুযোগ। আর রমজানের শেষ জুমা হলো শেষ সুযোগ। তাই এদিনটি ঈমানদাররা আরো বেশি ইবাদত এবং আগ্রহ-উদ্দীপনা নিয়ে কাটানোর চেষ্টা করেন। আমরাও আজ সে চেষ্টাই করব। এর বাইরে শরিয়তে এই জুমাকে বিশেষায়িত করে কোনো নাম দেওয়া হয়নি। কোনো ইবাদত বা ফজিলত বর্ণিত হয়নি।
প্রসঙ্গত, অনেকে রমজানের শেষ জুমাকে জুমাতুল বিদা নামে অভিহিত করা হয়। আদতে শরিয়তে এ নামে স্বতন্ত্র কোনো জুমা নেই। বিদা মানে সমাপ্তি। রমজানের সমাপ্তির জুমা বলে হয়তো জুমাতুল বিদা নামে প্রচলন শুরু। কিন্তু এই নামে নতুন কিছুর প্রচলন বা শরিয়তে সংযোজন একেবারে কাম্য নয়। সেটা করলে তা এক পর্যায়ে ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ বিদআতে পর্যবসিত হবে। রমজানের গুনাহমুক্ত জীবন গড়া ট্রেনিংয়ের মাসে যা একেবারে অনভিপ্রেত। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন : ‘যে ব্যক্তি আমাদের এ দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছুর সংযোজন করবে, যা এতে নেই তা পরিত্যাজ্য।’ (আবু দাউদ : ৪৫৫১)
আমরা আজকের দিনটিকে বিশেষভাবে সজ্ঞায়িত না করে বার্ষিক ও সাপ্তাহিক গুরুত্বপূর্ণ দিবস হিসেবে যথাসাধ্য বেশি পরিমাণে ইবাদতে সচেষ্ট থাকব। জুমার দিনের প্রতিটি সুন্নত গুরুত্ব দিয়ে পালন করব। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেন : ‘সূর্য উদয়ের দিবসগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমার দিবস। সেদিন আদমকে সৃষ্টি করা হয়। তাকে ওইদিন জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়। তাকে তা থেকে ওইদিন বের করা হয়। আর কিয়ামতও হবে জুমার দিবসেই।’ (মুসলিম : ১৮৫০)
রমজানের একেকটি দিন চলে যাওয়া মানে পরকালীন প্রভূত কল্যাণ ও ক্ষমা লাভের একেকটি সুযোগ নিঃশ্বেষ হয়ে যাওয়া। সেই প্রেক্ষাপটে রমজানের শেষ দিনগুলো শেষ সুযোগ হিসেবে ঈমানদারের জন্য বেশি মূল্যবান। কারণ রমজানের মতো ক্ষমা ও মাগফিরাত লাভের সুযোগ পেয়েও যারা কাজে লাগাতে পারে না তাদের চেয়ে পোড়া কপালবিশিষ্ট আর কেউ নেই। দয়ার নবী (সা.) এমন ব্যক্তিদের ভর্ৎসনা করেছেন। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘ওই ব্যক্তির নাক ধুলো ধূসরিত হোক, যে রমজান পেল এবং তার গুনাহ মাফ করার আগেই তা বিদায় নিল।’ (তিরমিজি : ৩৫৪৫)
আরেকটি হাদিসে এসেছেÑ আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘একদা নবী (সা.) মিম্বারে উঠলেন এবং বললেন : আমিন, আমিন, আমিন। বলা হলো, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি মিম্বারে উঠছিলেন এবং বলছিলেন, আমিন, আমিন, আমিন। তিনি বললেন, জিবরাইল আমার কাছে এসেছিল। সে বলল, (১) যে রমজান পেল অথচ তাকে ক্ষমা করা হলো না, সে জাহান্নামে যাবে এবং আল্লাহ তাকে দূরে সরিয়ে দেবেন, বলুন আমিন। আমি বললাম, আমিন। (২) যে তার মা-বাবা উভয়কে পেল অথবা তাদের একজনকে পেল, অথচ তাদের মাধ্যমে সে পুণ্যের অধিকারী হতে পারল না এবং সে মারা গেল, সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে এবং আল্লাহ তাকে দূরে সরিয়ে দেবেন, বলুন আমিন। আমি বললাম : আমিন। (৩) যার কাছে আপনার নাম উচ্চারিত হলো অথচ সে আপনার প্রতি দরুদ পাঠ করল না এবং মারা গেল, সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে এবং আল্লাহ তাকে দূরে সরিয়ে দেবেন, বলুন আমিন। আমি বললাম আমিন।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান : ১৮৮)
মক্কার মসজিদুল হারামের অন্যতম পবিত্র স্থান হাতিম। কাবার মূল কাঠামোর অংশ হিসেবে বিবেচিত এ স্থানটি মুসল্লিদের জন্য অত্যন্ত সম্মানিত ও নামাজ আদায়ের আকাঙ্ক্ষিত জায়গা। এখানে শৃঙ্খলাপূর্ণ উপায়ে ইবাদত নিশ্চিত করতে পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
১ দিন আগেখাদ্যগ্রহণ যেমন ক্ষুধা মেটানোর জন্য অপরিহার্য, প্রাত্যহিক জীবনের অংশ হিসেবে খাদ্যগ্রহণের ক্ষেত্রে উত্তম সংস্কৃতি ও শিষ্টাচার অনুসরণ করাও গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ যা খায়, যেভাবে খায়—তা তার চরিত্র, নীতি ও রুচির পরিচয় বহন করে। তাই ইসলাম আমাদের খাওয়ার উত্তম সংস্কৃতি ও শিষ্টাচার শিখিয়েছে।
২ দিন আগেসম্প্রতি ইসলামি আলোচক আমীর হামজা আল্লাহর রাসুল (সা.)–কে ‘সাংবাদিক’ বলেছেন। তিনি যুক্তি দিয়েছেন, যেহেতু নবী (সা.) ছিলেন আল্লাহর বার্তাবাহক, তাই রূপক অর্থে তাঁকে সাংবাদিক বলা যেতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এই তুলনা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বিভ্রান্তিকর এবং রাসুলের মর্যাদার পরিপন্থী।
৫ দিন আগেআমাদের সমাজে বেশ পরিচিত দুটি শব্দ হলো অলি-আওলিয়া। বাঙালি মুসলমান সমাজে সাধারণত মুসলমানদের একটি বিশেষ শ্রেণিকে অলি-আওলিয়া মনে করা হয়। অলি-আওলিয়াদের বিশেষ মর্যাদা ও ক্ষমতা আছে এমন বিশ্বাসও সাধারণ মুসলমানদের রয়েছে।
৫ দিন আগে