উমর ফারুক নোমানী
কোরবানি মুসলিমদের উৎসবমুখর পবিত্র আমল। পাড়া-মহল্লা তখন মুখরিত থাকে ঈদের পবিত্র আমেজে। বান্দা লাভ করে আল্লাহতায়ালার একান্ত নৈকট্য। আমলনামায় যুক্ত হয় অজস্র সওয়াব। কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো, এত সুন্দর এবং মহৎ কাজও অনেক সময় অসতর্কতার ফলে মানুষের কষ্ট এবং গোনাহের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পশুর নাপাক রক্ত, অন্যান্য বর্জ্য পরিষ্কার না করে ফেলে রাখা হয় যত্রতত্র। প্রচুর পরিমাণে জীবাণু সৃষ্টি হয় এতে। প্রাণীর, রক্ত, নাড়িভুঁড়ি পচে উৎকট দুর্গন্ধ ছড়ায়। পরিবেশ নোংরা এবং দূষিত হয়। রোগব্যাধি সৃষ্টি হয়। তখন নাক চেপে চলাফেরা করাও কঠিন হয়ে যায়। এই কঠিন অবস্থা এক সপ্তাহের অধিক সময় পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে।
বান্দার এত সুন্দর এবং পবিত্র আমল দিনশেষে মানুষের কষ্ট এবং অসুস্থতার কারণ হয়। অথচ ইসলাম অন্য মুসলিমকে কষ্ট দেওয়া হারাম করেছে এবং ঈমানের অপূর্ণতা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে আল্লাহ এবং আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়।’ (বোখারি : ৫৬৭২) অন্যত্র তিনি বলেন, ‘যার ক্ষতি থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয়, সে মুমিন নয়।’ (বোখারি : ৬০১৬)
এ ছাড়া অন্যান্য সহিহ হাদিস থেকে জানা যায়, ‘যার ক্ষতি থেকে প্রতিবেশী নিরাপদ নয়, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালা তাওবাকারী এবং পবিত্রতা অর্জনকারীকে ভালোবাসেন।’ (সুরা বাকারা : ২২) এ ধরনের অনেকগুলো আয়াতে আল্লাহতায়ালা পবিত্রতার ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়েছেন। পবিত্রতা শুধু নিজের শরীরের না, বরং নিজের আসবাব, আঙিনা, রাস্তাঘাট ইত্যাদিও যথাসম্ভব পরিষ্কার রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক।’ (মুসলিম : ২২৩) তিনি বলেন, ‘তোমরা দুই অভিশাপ থেকে বেঁচে থাকো, মানুষ যে পথে চলাচল করে কিংবা ছায়ায় যেখানে মানুষ বিশ্রাম করে, সেখানে পেশাব, পায়খানা করা।’ (মুসলিম : ২৬৯)
তাই মুসলিম হিসেবে আমাদের করণীয় হচ্ছে সব সময় পবিত্র এবং পরিচ্ছন্ন থাকা। ঈদের দিন সম্ভব হলে কয়েকজন মিলে এক জায়গায় জবাই করা। বর্জ্য সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে পুঁতে ফেলা। কোরবানির বর্জ্য মাটির নিচে থাকলে এতে এক বছরে জৈবসারে পরিণত হয়, যা জমিনের জন্য খুবই উপকার। কোরবানির জায়গায় পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলা। ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দেওয়া। কোরবানির কোনো হাড়, চর্বি, ভুঁড়ি যেন কোনো প্রাণী এদিক-সেদিক নিয়ে ফেলে রাখতে না পারে, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখা।
শহরে যারা থাকেন, তারা সম্ভব হলে সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত জায়গায় জবাই করা। সিটি করপোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত জায়গায় বর্জ্য ফেলা। সঙ্গে সঙ্গেই পানি দিয়ে ধুয়ে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দেওয়া। যদিও সিটি করপোরেশন এই কাজগুলো করবে, তারপরও তাদের জন্য ফেলে না রেখে নিজেই যথাসম্ভব করে ফেলা। এতে পরিবেশ স্বাস্থ্যকর এবং দূষণমুক্ত থাকবে। রোগ প্রতিরোধ হবে। পরিবেশ সুন্দর এবং পরিচ্ছন্ন থাকবে। গ্রামের ক্ষেত্রে এই অবহেলা ব্যাপকভাবে দেখা যায়। নিজের জায়গায় হওয়ার ফলে অথবা শরিকি কোরবানি হওয়ায় একজন অন্যজনের জন্য কাজ ফেলে রাখে। কারো জন্য ফেলে না রেখে নিজেই করে ফেলা উচিত। তাই আসুন কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কারে সচেতন হই, পরিবেশদূষণ এবং রোগমুক্ত রাখি। নিজে সুস্থ থাকি, অন্যকে সুস্থ রাখি।
কোরবানি মুসলিমদের উৎসবমুখর পবিত্র আমল। পাড়া-মহল্লা তখন মুখরিত থাকে ঈদের পবিত্র আমেজে। বান্দা লাভ করে আল্লাহতায়ালার একান্ত নৈকট্য। আমলনামায় যুক্ত হয় অজস্র সওয়াব। কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো, এত সুন্দর এবং মহৎ কাজও অনেক সময় অসতর্কতার ফলে মানুষের কষ্ট এবং গোনাহের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পশুর নাপাক রক্ত, অন্যান্য বর্জ্য পরিষ্কার না করে ফেলে রাখা হয় যত্রতত্র। প্রচুর পরিমাণে জীবাণু সৃষ্টি হয় এতে। প্রাণীর, রক্ত, নাড়িভুঁড়ি পচে উৎকট দুর্গন্ধ ছড়ায়। পরিবেশ নোংরা এবং দূষিত হয়। রোগব্যাধি সৃষ্টি হয়। তখন নাক চেপে চলাফেরা করাও কঠিন হয়ে যায়। এই কঠিন অবস্থা এক সপ্তাহের অধিক সময় পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে।
বান্দার এত সুন্দর এবং পবিত্র আমল দিনশেষে মানুষের কষ্ট এবং অসুস্থতার কারণ হয়। অথচ ইসলাম অন্য মুসলিমকে কষ্ট দেওয়া হারাম করেছে এবং ঈমানের অপূর্ণতা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে আল্লাহ এবং আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়।’ (বোখারি : ৫৬৭২) অন্যত্র তিনি বলেন, ‘যার ক্ষতি থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয়, সে মুমিন নয়।’ (বোখারি : ৬০১৬)
এ ছাড়া অন্যান্য সহিহ হাদিস থেকে জানা যায়, ‘যার ক্ষতি থেকে প্রতিবেশী নিরাপদ নয়, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালা তাওবাকারী এবং পবিত্রতা অর্জনকারীকে ভালোবাসেন।’ (সুরা বাকারা : ২২) এ ধরনের অনেকগুলো আয়াতে আল্লাহতায়ালা পবিত্রতার ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়েছেন। পবিত্রতা শুধু নিজের শরীরের না, বরং নিজের আসবাব, আঙিনা, রাস্তাঘাট ইত্যাদিও যথাসম্ভব পরিষ্কার রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক।’ (মুসলিম : ২২৩) তিনি বলেন, ‘তোমরা দুই অভিশাপ থেকে বেঁচে থাকো, মানুষ যে পথে চলাচল করে কিংবা ছায়ায় যেখানে মানুষ বিশ্রাম করে, সেখানে পেশাব, পায়খানা করা।’ (মুসলিম : ২৬৯)
তাই মুসলিম হিসেবে আমাদের করণীয় হচ্ছে সব সময় পবিত্র এবং পরিচ্ছন্ন থাকা। ঈদের দিন সম্ভব হলে কয়েকজন মিলে এক জায়গায় জবাই করা। বর্জ্য সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে পুঁতে ফেলা। কোরবানির বর্জ্য মাটির নিচে থাকলে এতে এক বছরে জৈবসারে পরিণত হয়, যা জমিনের জন্য খুবই উপকার। কোরবানির জায়গায় পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলা। ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দেওয়া। কোরবানির কোনো হাড়, চর্বি, ভুঁড়ি যেন কোনো প্রাণী এদিক-সেদিক নিয়ে ফেলে রাখতে না পারে, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখা।
শহরে যারা থাকেন, তারা সম্ভব হলে সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত জায়গায় জবাই করা। সিটি করপোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত জায়গায় বর্জ্য ফেলা। সঙ্গে সঙ্গেই পানি দিয়ে ধুয়ে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দেওয়া। যদিও সিটি করপোরেশন এই কাজগুলো করবে, তারপরও তাদের জন্য ফেলে না রেখে নিজেই যথাসম্ভব করে ফেলা। এতে পরিবেশ স্বাস্থ্যকর এবং দূষণমুক্ত থাকবে। রোগ প্রতিরোধ হবে। পরিবেশ সুন্দর এবং পরিচ্ছন্ন থাকবে। গ্রামের ক্ষেত্রে এই অবহেলা ব্যাপকভাবে দেখা যায়। নিজের জায়গায় হওয়ার ফলে অথবা শরিকি কোরবানি হওয়ায় একজন অন্যজনের জন্য কাজ ফেলে রাখে। কারো জন্য ফেলে না রেখে নিজেই করে ফেলা উচিত। তাই আসুন কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কারে সচেতন হই, পরিবেশদূষণ এবং রোগমুক্ত রাখি। নিজে সুস্থ থাকি, অন্যকে সুস্থ রাখি।
মক্কার মসজিদুল হারামের অন্যতম পবিত্র স্থান হাতিম। কাবার মূল কাঠামোর অংশ হিসেবে বিবেচিত এ স্থানটি মুসল্লিদের জন্য অত্যন্ত সম্মানিত ও নামাজ আদায়ের আকাঙ্ক্ষিত জায়গা। এখানে শৃঙ্খলাপূর্ণ উপায়ে ইবাদত নিশ্চিত করতে পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
১ দিন আগেখাদ্যগ্রহণ যেমন ক্ষুধা মেটানোর জন্য অপরিহার্য, প্রাত্যহিক জীবনের অংশ হিসেবে খাদ্যগ্রহণের ক্ষেত্রে উত্তম সংস্কৃতি ও শিষ্টাচার অনুসরণ করাও গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ যা খায়, যেভাবে খায়—তা তার চরিত্র, নীতি ও রুচির পরিচয় বহন করে। তাই ইসলাম আমাদের খাওয়ার উত্তম সংস্কৃতি ও শিষ্টাচার শিখিয়েছে।
২ দিন আগেসম্প্রতি ইসলামি আলোচক আমীর হামজা আল্লাহর রাসুল (সা.)–কে ‘সাংবাদিক’ বলেছেন। তিনি যুক্তি দিয়েছেন, যেহেতু নবী (সা.) ছিলেন আল্লাহর বার্তাবাহক, তাই রূপক অর্থে তাঁকে সাংবাদিক বলা যেতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এই তুলনা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বিভ্রান্তিকর এবং রাসুলের মর্যাদার পরিপন্থী।
৫ দিন আগেআমাদের সমাজে বেশ পরিচিত দুটি শব্দ হলো অলি-আওলিয়া। বাঙালি মুসলমান সমাজে সাধারণত মুসলমানদের একটি বিশেষ শ্রেণিকে অলি-আওলিয়া মনে করা হয়। অলি-আওলিয়াদের বিশেষ মর্যাদা ও ক্ষমতা আছে এমন বিশ্বাসও সাধারণ মুসলমানদের রয়েছে।
৫ দিন আগে