আত্মীয়তা রক্ষায় জীবনে আসে সচ্ছলতা, বাড়ে আয়ু

ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৫, ১২: ১৬
প্রতীকী ছবি

‘আত্মীয়’ শব্দের অর্থ হচ্ছে স্বজন, জ্ঞাতি, কুটুম্ব। এর আরবি প্রতিশব্দ হচ্ছে আর-রাহিমু বা যুর রাহিমে। আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার অর্থ ও তাৎপর্য হচ্ছে স্বজন ও আপনজনের সার্বিক খোঁজখবর রাখা ও তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করা। ইবনুল আছীর বলেন, এটা হচ্ছে বংশীয় ও বৈবাহিক সম্পর্কীয় আত্মীয়দের প্রতি অনুগ্রহ-অনুকম্পা প্রদর্শন করা, তাদের প্রতি সদয় ও সহানুভূতিশীল হওয়া, তাদের অবস্থার প্রতি খেয়াল রাখা, যদিও তারা দূরে চলে যায় এবং খারাপ আচরণ করে।

বিজ্ঞাপন

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তিনটি গুণ যার ভেতরে থাকবে, পরকালে তার হিসাব-নিকাশ সহজ হবে এবং আল্লাহ নিজ দয়ায় তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল, গুণগুলো কেমন?

রাসুল (সা.) বলেন, গুণগুলো হলো— ১. যে তোমাকে বঞ্চিত করে, তুমি তাকে দান করো। ২. যে তোমার প্রতি জুলুম করে, তুমি তাকে ক্ষমা করো। ৩. যে তোমার সঙ্গে আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করতে চায়, তুমি তার সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখো।

সাহাবায়ে কেরাম বললেন, এই গুণগুলো থাকলে আমি কী পাব? রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, বিচার দিবসে হিসাব সহজ করা হবে এবং আল্লাহ তাআলা নিজ দয়ায় তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’ (মুসতাদরাকে হাকেম: ৩৯১২)

হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখলে মন ভালো থাকে, আর্থিক সচ্ছলতা আসে এবং আয়ু বাড়ে। আনাস ইবনে মালিক (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যাকে এ বিষয়টি আনন্দিত করে যে- তার রিজিক (জীবিকায়) সচ্ছলতা দেয়া হোক এবং তার অবদান আলোচিত হোক (দীর্ঘায়ু দেয়া হোক) সে যেন তার আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখে। (সহিহ্ বুখারি: ৫৯৮৫, সহিহ্ মুসলিম: ৬২৯২)

আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করা একটি মারাত্মক অপরাধ। আল্লাহ তা‘আলা কোরআন মাজিদে আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারীদের নিন্দা করেন এবং তাদেরকে লা’নত ও অভিশাপ দেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পারলে সম্ভবত তোমরা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবে। আল্লাহ তা‘আলা এদেরকেই করেন অভিশপ্ত, বধির ও দৃষ্টিশক্তিহীন’। [সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত: ২২-২৩]

বিষয়:

আত্মীয়তা
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত