আলী হাসান তৈয়ব
সিয়াম সাধনা শেষে আল্লাহতায়ালার এক মহৎ বিধান হলো ফিতরা আদায়। প্রথমত, ফিতরা দ্বারা দরিদ্র ব্যক্তির প্রতি সদয় ব্যবহার করা হয়, যেন ঈদের মতো আনন্দের দিনে হাত না পাততে হয়। আর ধনীদের সঙ্গে ঈদের আনন্দে শরিক হতে পারে।
এতে ঈদ হয় সর্বজনীন। দ্বিতীয়ত, রোজাদারের রোজায় যে ত্রুটি ও গোনাহ হয়েছে, এর মাধ্যমে তা থেকে পবিত্র হওয়া যায়। তৃতীয়ত, ফিতরা দ্বারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা হয়। কারণ, তিনি নিজ দয়ায় বান্দাকে পূর্ণ এক মাস রোজা, তারাবি, কোরআন খতম, দান-সদকাসহ নানা সৎকাজের সুযোগ দিয়েছেন।
আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) জাকাতুল ফিতর তথা ফিতরা আবশ্যক করেছেন অনর্থক ও অশ্লীল কথাবার্তা দ্বারা সিয়ামের যে ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েছে, তা থেকে পবিত্র করা এবং মিসকিনদের খাদ্য দেওয়ার জন্য। ঈদের সালাতের আগে ফিতরা আদায় করলে তা জাকাতুল ফিতর হিসেবে গণ্য হবে। আর ঈদের সালাতের পর আদায় করলে তা অন্য সাধারণ দানের মতো একটি দান হবে।’ (আবু দাউদ : ১৬০৯)।
ফিতরা মুসলিম নারী-পুরুষ, ছোট-বড়, স্বাধীন-পরাধীন সবার পক্ষে আদায় করতে হয়। ইবন উমর (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) রমজান মাসে স্বাধীন, গোলাম, নারী, পুরুষ, ছোট-বড় সব মুসলিমের ওপর এক সা’ খেজুর, বা এক সা’ যব জাকাতুল ফিতর ফরজ করেছেন।’ (বোখারি : ১৫০৩; মুসলিম : ৯৮৪)।
তবে গর্ভের বাচ্চার পক্ষ থেকে জাকাতুল ফিতর দেওয়া ওয়াজিব নয়। কিন্তু কেউ যদি আদায় করে, তাহলে কোনো সমস্যা নেই। উসমান (রা.) পেটের বাচ্চার পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করতেন। ফিতরা নিজের ও স্ত্রী-সন্তানসহ নিজের পোষ্যদের পক্ষ থেকে আদায় করা আবশ্যক। তারা সামর্থ্যবান হলে নিজেদের ফিতরা নিজেরা আদায় করা উত্তম। সংশ্লিষ্ট দিনে জাকাতের নিসাব পরিমাণ সম্পদের অধিকারীর জন্য ফিতরা আদায় ওয়াজিব। ঈদের দিন ও রাতের খরচ সম্পাদনের পর অতিরিক্ত ফিতরাযোগ্য সম্পদ থাকলে তা আদায় করা সুন্নত।
আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহর (সা.) যুগে আমরা জাকাতুল ফিতর আদায় করতাম এক সা’ খাদ্য দ্বারা। তখন আমাদের খাদ্য ছিল বার্লি, কিশমিশ, পনির ও খেজুর।’ (বোখারি : ১৫০৮; মুসলিম : ৯৮৫)।
অন্য বর্ণনায় খেজুর ও আটার কথা এসেছে। ইরাকি মাপে এক সা’ হলো সাড়ে তিন কেজি আর হিজাজি মাপে আড়াই কেজি। সুতরাং এসব খাদ্যের যে কোনো একটির এক সা’ পরিমাণ খাদ্য বা তার মূল্য ফিতরা দিতে হবে। কেবল গমের ক্ষেত্রে অর্ধ সা’ অবকাশ রয়েছে। সবাই সর্বনিম্ন অর্ধ সা’ আটার মূল্যে ফিতরা না দিয়ে উল্লিখিত খাদ্যগুলোর মধ্যে নিজ নিজ আর্থিক সংগতি অনুসারে ফিতরা দেওয়াটা কাম্য।
ঈদের চাঁদ ওঠা বা ৩০ রোজা পূরণ হওয়ার পর থেকে ঈদের নামাজের আগ পর্যন্ত সময়ে ফিতরা দেওয়া ফজিলতপূর্ণ। ইবন উমর (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) মানুষকে ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে ফিতরা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।’ (বোখারি : ১৫০৩; মুসলিম : ৯৮৬)
ঈদের এক-দুদিন আগেও ফিতরা আদায়ের অনুমতি রয়েছে। নাফে (রহ.) বর্ণনা করেন, ইবন উমর (রা.) ঈদের এক দিন বা দুদিন আগে জাকাতুল ফিতর দিতেন। (বোখারি : ১৫১১)। ফকির-মিসকিনসহ যে আট শ্রেণিকে জাকাত দিতে কোরআনে বলা হয়েছে, তাদের ফিতরা দিতে হবে। কাছের বা দূরের যে কোনো হকদারকে ফিতরা দেওয়া যাবে।
সিয়াম সাধনা শেষে আল্লাহতায়ালার এক মহৎ বিধান হলো ফিতরা আদায়। প্রথমত, ফিতরা দ্বারা দরিদ্র ব্যক্তির প্রতি সদয় ব্যবহার করা হয়, যেন ঈদের মতো আনন্দের দিনে হাত না পাততে হয়। আর ধনীদের সঙ্গে ঈদের আনন্দে শরিক হতে পারে।
এতে ঈদ হয় সর্বজনীন। দ্বিতীয়ত, রোজাদারের রোজায় যে ত্রুটি ও গোনাহ হয়েছে, এর মাধ্যমে তা থেকে পবিত্র হওয়া যায়। তৃতীয়ত, ফিতরা দ্বারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা হয়। কারণ, তিনি নিজ দয়ায় বান্দাকে পূর্ণ এক মাস রোজা, তারাবি, কোরআন খতম, দান-সদকাসহ নানা সৎকাজের সুযোগ দিয়েছেন।
আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) জাকাতুল ফিতর তথা ফিতরা আবশ্যক করেছেন অনর্থক ও অশ্লীল কথাবার্তা দ্বারা সিয়ামের যে ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েছে, তা থেকে পবিত্র করা এবং মিসকিনদের খাদ্য দেওয়ার জন্য। ঈদের সালাতের আগে ফিতরা আদায় করলে তা জাকাতুল ফিতর হিসেবে গণ্য হবে। আর ঈদের সালাতের পর আদায় করলে তা অন্য সাধারণ দানের মতো একটি দান হবে।’ (আবু দাউদ : ১৬০৯)।
ফিতরা মুসলিম নারী-পুরুষ, ছোট-বড়, স্বাধীন-পরাধীন সবার পক্ষে আদায় করতে হয়। ইবন উমর (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) রমজান মাসে স্বাধীন, গোলাম, নারী, পুরুষ, ছোট-বড় সব মুসলিমের ওপর এক সা’ খেজুর, বা এক সা’ যব জাকাতুল ফিতর ফরজ করেছেন।’ (বোখারি : ১৫০৩; মুসলিম : ৯৮৪)।
তবে গর্ভের বাচ্চার পক্ষ থেকে জাকাতুল ফিতর দেওয়া ওয়াজিব নয়। কিন্তু কেউ যদি আদায় করে, তাহলে কোনো সমস্যা নেই। উসমান (রা.) পেটের বাচ্চার পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করতেন। ফিতরা নিজের ও স্ত্রী-সন্তানসহ নিজের পোষ্যদের পক্ষ থেকে আদায় করা আবশ্যক। তারা সামর্থ্যবান হলে নিজেদের ফিতরা নিজেরা আদায় করা উত্তম। সংশ্লিষ্ট দিনে জাকাতের নিসাব পরিমাণ সম্পদের অধিকারীর জন্য ফিতরা আদায় ওয়াজিব। ঈদের দিন ও রাতের খরচ সম্পাদনের পর অতিরিক্ত ফিতরাযোগ্য সম্পদ থাকলে তা আদায় করা সুন্নত।
আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহর (সা.) যুগে আমরা জাকাতুল ফিতর আদায় করতাম এক সা’ খাদ্য দ্বারা। তখন আমাদের খাদ্য ছিল বার্লি, কিশমিশ, পনির ও খেজুর।’ (বোখারি : ১৫০৮; মুসলিম : ৯৮৫)।
অন্য বর্ণনায় খেজুর ও আটার কথা এসেছে। ইরাকি মাপে এক সা’ হলো সাড়ে তিন কেজি আর হিজাজি মাপে আড়াই কেজি। সুতরাং এসব খাদ্যের যে কোনো একটির এক সা’ পরিমাণ খাদ্য বা তার মূল্য ফিতরা দিতে হবে। কেবল গমের ক্ষেত্রে অর্ধ সা’ অবকাশ রয়েছে। সবাই সর্বনিম্ন অর্ধ সা’ আটার মূল্যে ফিতরা না দিয়ে উল্লিখিত খাদ্যগুলোর মধ্যে নিজ নিজ আর্থিক সংগতি অনুসারে ফিতরা দেওয়াটা কাম্য।
ঈদের চাঁদ ওঠা বা ৩০ রোজা পূরণ হওয়ার পর থেকে ঈদের নামাজের আগ পর্যন্ত সময়ে ফিতরা দেওয়া ফজিলতপূর্ণ। ইবন উমর (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) মানুষকে ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে ফিতরা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।’ (বোখারি : ১৫০৩; মুসলিম : ৯৮৬)
ঈদের এক-দুদিন আগেও ফিতরা আদায়ের অনুমতি রয়েছে। নাফে (রহ.) বর্ণনা করেন, ইবন উমর (রা.) ঈদের এক দিন বা দুদিন আগে জাকাতুল ফিতর দিতেন। (বোখারি : ১৫১১)। ফকির-মিসকিনসহ যে আট শ্রেণিকে জাকাত দিতে কোরআনে বলা হয়েছে, তাদের ফিতরা দিতে হবে। কাছের বা দূরের যে কোনো হকদারকে ফিতরা দেওয়া যাবে।
মক্কার মসজিদুল হারামের অন্যতম পবিত্র স্থান হাতিম। কাবার মূল কাঠামোর অংশ হিসেবে বিবেচিত এ স্থানটি মুসল্লিদের জন্য অত্যন্ত সম্মানিত ও নামাজ আদায়ের আকাঙ্ক্ষিত জায়গা। এখানে শৃঙ্খলাপূর্ণ উপায়ে ইবাদত নিশ্চিত করতে পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
১ দিন আগেখাদ্যগ্রহণ যেমন ক্ষুধা মেটানোর জন্য অপরিহার্য, প্রাত্যহিক জীবনের অংশ হিসেবে খাদ্যগ্রহণের ক্ষেত্রে উত্তম সংস্কৃতি ও শিষ্টাচার অনুসরণ করাও গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ যা খায়, যেভাবে খায়—তা তার চরিত্র, নীতি ও রুচির পরিচয় বহন করে। তাই ইসলাম আমাদের খাওয়ার উত্তম সংস্কৃতি ও শিষ্টাচার শিখিয়েছে।
২ দিন আগেসম্প্রতি ইসলামি আলোচক আমীর হামজা আল্লাহর রাসুল (সা.)–কে ‘সাংবাদিক’ বলেছেন। তিনি যুক্তি দিয়েছেন, যেহেতু নবী (সা.) ছিলেন আল্লাহর বার্তাবাহক, তাই রূপক অর্থে তাঁকে সাংবাদিক বলা যেতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এই তুলনা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বিভ্রান্তিকর এবং রাসুলের মর্যাদার পরিপন্থী।
৫ দিন আগেআমাদের সমাজে বেশ পরিচিত দুটি শব্দ হলো অলি-আওলিয়া। বাঙালি মুসলমান সমাজে সাধারণত মুসলমানদের একটি বিশেষ শ্রেণিকে অলি-আওলিয়া মনে করা হয়। অলি-আওলিয়াদের বিশেষ মর্যাদা ও ক্ষমতা আছে এমন বিশ্বাসও সাধারণ মুসলমানদের রয়েছে।
৫ দিন আগে