সানাউল্লাহ নাজির আহমদ
ধূমপান এমন এক বদভ্যাস যার ক্ষতি ইহকালে বয়ে বেড়াতে হয়। কষ্টের টাকা দিয়ে মানুষ ধূমপান করে বিষ গলাধঃকরণ করে। ধূমপায়ী ব্যক্তির হৃদয়, রক্ত, শ্বাস-প্রশ্বাস ও পেট বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। ‘তামাক প্রতিরোধ দিবস’ নামে একটি দিন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। বাংলাদেশেও রয়েছে ধূমপানবিরোধী আইন, যদিও তার প্রয়োগ চোখে পড়ে না। বিভিন্ন সংস্থা বিলবোর্ড, বিজ্ঞাপন ও পোস্টারিং করে জনগণের সামনে ধূমপানের কুফল তুলে ধরছে। খোদ ধূমপায়ীরাও সিগারেটের গায়ে লিখতে বাধ্য—‘ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’, ‘ধূমপানের কারণে ফুসফুসে ক্যানসার হয়’ প্রভৃতি।
তথাপি একটি মহল স্রেফ শখ, কৌতূহল, কিংবা সাময়িক তৃপ্তির জন্য ধূমপানের নামে বিষপান করছে। আরেকটি মহল শুধু অর্থের লোভ ও মুনাফার জন্য তামাকদ্রব্য উৎপাদন, বাজারজাত ও বিক্রয় করার মতো হারাম ব্যবসায় লিপ্ত রয়েছে। আর এক শ্রেণির লোক না জেনে সেগুলো বিক্রি করছেন ও তাতে অভ্যস্ত রয়েছেন। তাই সবাইকে ধূমপানের অনিষ্ট সম্পর্কে সাবধান করা জরুরি।
ধূমপানের বহুমুখী ক্ষতি
১. বিশেষজ্ঞরা বলেন, ধূমপায়ীর মধ্যে ক্যানসারের প্রকোপ অপেক্ষাকৃত বেশি। ২. ফুসফুসে বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার হয়, যার মধ্যে একজাতীয় ক্যানসার হয় শুধু ধূমপানের কারণে। ৩. কিছু গবেষণা প্রমাণ করেছে, কণ্ঠ ও মূত্রাশয়ের ক্যানসারের অন্যতম কারণ ধূমপান। ৪. একাধিক গবেষণা থেকে প্রমাণিত যে, গর্ভবতী ধূমপায়ী নারী অকাল গর্ভপাত ও ভ্রূণ বিনষ্টের সম্মুখীন হয়, অনেক সময় মৃত সন্তান জন্ম দেয়, কিংবা প্রসবের প্রথম সপ্তাহে তাদের সন্তান মারা যায়।
উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েদের ধূমপায়ী হওয়ার কারণ
আজকাল বিরাটসংখ্যক উঠতি বয়সী ছেলেমেয়ে ধূমপায়ী হয়, তবে সবার কারণ এক নয়। যেমন কারো ধূমপানের পেছনে রয়েছে—ক. বাবা-মায়ের অবহেলা; খ. ধূমপানের প্রতি কৌতূহল; গ. বন্ধুদের অনুসরণ; ঘ. সিগারেটের ব্যাপক প্রসার প্রভৃতি। অতএব ধূমপানমুক্ত পরিবেশের জন্য অভিভাবক, দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও সরকার সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে।
ধূমপান ত্যাগ করার উপায়
আপনি যদি ধূমপায়ী হন, তাহলে এখন থেকে ধূমপান ত্যাগ করুন। এটাই হবে আপনার সাহসী উদ্যোগ ও সঠিক সিদ্ধান্ত। অন্যথায় ধাপে ধাপে ত্যাগ করার দ্রুত প্রস্তুতি অবশ্যই গ্রহণ করুন। যেমন—
ক. ধূমপান ত্যাগ করার জন্য নিকটতম একটি সময় নির্ধারণ করুন এবং ওই সময়ের মধ্যেই ধূমপান ত্যাগ করুন।
খ. ধূমপানের ক্ষতি ও তার অশুভ পরিণাম চোখের সামনে রাখুন।
গ. ধূমপায়ী বন্ধুদের ত্যাগ করুন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মানুষ তার বন্ধুর স্বভাব গ্রহণ করে, অতএব তোমাদের প্রত্যেকের দেখা উচিত কাকে বন্ধু বানাবে।’ (তিরমিজি : ২৩৭৮)।
ঘ. ধূমপান ত্যাগ করার ফলে সাময়িকভাবে আপনি কিছু সমস্যার সম্মুখীন হবেন, ঘুমে ব্যাঘাত ঘটবে, অথবা ক্লান্তি অনুভব হবে, অথবা শরীরে টানটান ভাব হবে, কিংবা শরীর নেতিয়ে পড়বে, অথবা ঠোঁট শুকিয়ে আসবে প্রভৃতি। এসব অবস্থা খুবই স্বাভাবিক, কারণ আপনার শরীর এখনো সিগারেটের বিষাক্ত নিকোটিনে অভ্যস্ত। তাই শারীরিক ব্যায়াম ও মানসিক স্বস্তি আনয়নকারী কিছু গ্রহণ করুন, প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আর প্রত্যেক মুহূর্তে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করুন।
প্রিয় পাঠক! যেভাবেই হোক ধূমপান ত্যাগ করুন। যদি ফুসফুসের ক্যানসার, হৃদরোগের আশঙ্কা ও দ্রুত মৃত্যুর কারণগুলো ধূমপান ত্যাগ করার পক্ষে সহায়ক না হয়, তা হলে অন্তত স্বাস্থ্য ও সম্পদ রক্ষার কথা চিন্তা করে ধূমপান ত্যাগ করুন। ধূমপান একটি ব্যয়বহুল বদভ্যাস। যত দ্রুত ধূমপান ত্যাগ করবেন, আপনার শরীর ও অর্থের জন্য তত ভালো।
ইসলামে ধূমপানের বিধান
ইসলামের দৃষ্টিতে ধূমপান হারাম। কারণ ধূমপান কোরআনে বর্ণিত খবিশ বা অপবিত্র বস্তুর অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন—‘এবং তিনি তাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করেন আর অপবিত্র বস্তু হারাম করেন।’ (সুরা আরাফ : ১৫৬)। অপর আয়াতে তিনি ইরশাদ করেন—‘আর তোমরা নিজেরা নিজেদের হত্যা কোরো না।’ (সুরা নিসা : ২৯)। ধূমপানকারী প্রকৃতপক্ষে নিজেকে হত্যাকারী, কারণ ধূমপান নীরব ঘাতক।
কোরআনুল কারিমে সব হারাম বস্তুর উল্লেখ নেই, ধূমপানেরও উল্লেখ নেই। তবে কোরআনুল কারিমের একটি সাধারণ নীতির কারণে ধূমপান হারাম, যেমন তাতে রয়েছে খবিশ বা নাপাক বস্তু, যা হারাম। অনুরূপভাবে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ও অন্তর বিনষ্টকারী বস্তুও হারাম। অনুরূপভাবে অর্থের অপচয় করাও হারাম। আর ধূমপানের মাঝে এ কারণগুলো বিদ্যমান, তাই মুসলিম উম্মাহ ধূমপান নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে একমত।
ধূমপান এমন এক বদভ্যাস যার ক্ষতি ইহকালে বয়ে বেড়াতে হয়। কষ্টের টাকা দিয়ে মানুষ ধূমপান করে বিষ গলাধঃকরণ করে। ধূমপায়ী ব্যক্তির হৃদয়, রক্ত, শ্বাস-প্রশ্বাস ও পেট বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। ‘তামাক প্রতিরোধ দিবস’ নামে একটি দিন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। বাংলাদেশেও রয়েছে ধূমপানবিরোধী আইন, যদিও তার প্রয়োগ চোখে পড়ে না। বিভিন্ন সংস্থা বিলবোর্ড, বিজ্ঞাপন ও পোস্টারিং করে জনগণের সামনে ধূমপানের কুফল তুলে ধরছে। খোদ ধূমপায়ীরাও সিগারেটের গায়ে লিখতে বাধ্য—‘ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’, ‘ধূমপানের কারণে ফুসফুসে ক্যানসার হয়’ প্রভৃতি।
তথাপি একটি মহল স্রেফ শখ, কৌতূহল, কিংবা সাময়িক তৃপ্তির জন্য ধূমপানের নামে বিষপান করছে। আরেকটি মহল শুধু অর্থের লোভ ও মুনাফার জন্য তামাকদ্রব্য উৎপাদন, বাজারজাত ও বিক্রয় করার মতো হারাম ব্যবসায় লিপ্ত রয়েছে। আর এক শ্রেণির লোক না জেনে সেগুলো বিক্রি করছেন ও তাতে অভ্যস্ত রয়েছেন। তাই সবাইকে ধূমপানের অনিষ্ট সম্পর্কে সাবধান করা জরুরি।
ধূমপানের বহুমুখী ক্ষতি
১. বিশেষজ্ঞরা বলেন, ধূমপায়ীর মধ্যে ক্যানসারের প্রকোপ অপেক্ষাকৃত বেশি। ২. ফুসফুসে বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার হয়, যার মধ্যে একজাতীয় ক্যানসার হয় শুধু ধূমপানের কারণে। ৩. কিছু গবেষণা প্রমাণ করেছে, কণ্ঠ ও মূত্রাশয়ের ক্যানসারের অন্যতম কারণ ধূমপান। ৪. একাধিক গবেষণা থেকে প্রমাণিত যে, গর্ভবতী ধূমপায়ী নারী অকাল গর্ভপাত ও ভ্রূণ বিনষ্টের সম্মুখীন হয়, অনেক সময় মৃত সন্তান জন্ম দেয়, কিংবা প্রসবের প্রথম সপ্তাহে তাদের সন্তান মারা যায়।
উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েদের ধূমপায়ী হওয়ার কারণ
আজকাল বিরাটসংখ্যক উঠতি বয়সী ছেলেমেয়ে ধূমপায়ী হয়, তবে সবার কারণ এক নয়। যেমন কারো ধূমপানের পেছনে রয়েছে—ক. বাবা-মায়ের অবহেলা; খ. ধূমপানের প্রতি কৌতূহল; গ. বন্ধুদের অনুসরণ; ঘ. সিগারেটের ব্যাপক প্রসার প্রভৃতি। অতএব ধূমপানমুক্ত পরিবেশের জন্য অভিভাবক, দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও সরকার সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে।
ধূমপান ত্যাগ করার উপায়
আপনি যদি ধূমপায়ী হন, তাহলে এখন থেকে ধূমপান ত্যাগ করুন। এটাই হবে আপনার সাহসী উদ্যোগ ও সঠিক সিদ্ধান্ত। অন্যথায় ধাপে ধাপে ত্যাগ করার দ্রুত প্রস্তুতি অবশ্যই গ্রহণ করুন। যেমন—
ক. ধূমপান ত্যাগ করার জন্য নিকটতম একটি সময় নির্ধারণ করুন এবং ওই সময়ের মধ্যেই ধূমপান ত্যাগ করুন।
খ. ধূমপানের ক্ষতি ও তার অশুভ পরিণাম চোখের সামনে রাখুন।
গ. ধূমপায়ী বন্ধুদের ত্যাগ করুন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মানুষ তার বন্ধুর স্বভাব গ্রহণ করে, অতএব তোমাদের প্রত্যেকের দেখা উচিত কাকে বন্ধু বানাবে।’ (তিরমিজি : ২৩৭৮)।
ঘ. ধূমপান ত্যাগ করার ফলে সাময়িকভাবে আপনি কিছু সমস্যার সম্মুখীন হবেন, ঘুমে ব্যাঘাত ঘটবে, অথবা ক্লান্তি অনুভব হবে, অথবা শরীরে টানটান ভাব হবে, কিংবা শরীর নেতিয়ে পড়বে, অথবা ঠোঁট শুকিয়ে আসবে প্রভৃতি। এসব অবস্থা খুবই স্বাভাবিক, কারণ আপনার শরীর এখনো সিগারেটের বিষাক্ত নিকোটিনে অভ্যস্ত। তাই শারীরিক ব্যায়াম ও মানসিক স্বস্তি আনয়নকারী কিছু গ্রহণ করুন, প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আর প্রত্যেক মুহূর্তে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করুন।
প্রিয় পাঠক! যেভাবেই হোক ধূমপান ত্যাগ করুন। যদি ফুসফুসের ক্যানসার, হৃদরোগের আশঙ্কা ও দ্রুত মৃত্যুর কারণগুলো ধূমপান ত্যাগ করার পক্ষে সহায়ক না হয়, তা হলে অন্তত স্বাস্থ্য ও সম্পদ রক্ষার কথা চিন্তা করে ধূমপান ত্যাগ করুন। ধূমপান একটি ব্যয়বহুল বদভ্যাস। যত দ্রুত ধূমপান ত্যাগ করবেন, আপনার শরীর ও অর্থের জন্য তত ভালো।
ইসলামে ধূমপানের বিধান
ইসলামের দৃষ্টিতে ধূমপান হারাম। কারণ ধূমপান কোরআনে বর্ণিত খবিশ বা অপবিত্র বস্তুর অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন—‘এবং তিনি তাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করেন আর অপবিত্র বস্তু হারাম করেন।’ (সুরা আরাফ : ১৫৬)। অপর আয়াতে তিনি ইরশাদ করেন—‘আর তোমরা নিজেরা নিজেদের হত্যা কোরো না।’ (সুরা নিসা : ২৯)। ধূমপানকারী প্রকৃতপক্ষে নিজেকে হত্যাকারী, কারণ ধূমপান নীরব ঘাতক।
কোরআনুল কারিমে সব হারাম বস্তুর উল্লেখ নেই, ধূমপানেরও উল্লেখ নেই। তবে কোরআনুল কারিমের একটি সাধারণ নীতির কারণে ধূমপান হারাম, যেমন তাতে রয়েছে খবিশ বা নাপাক বস্তু, যা হারাম। অনুরূপভাবে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ও অন্তর বিনষ্টকারী বস্তুও হারাম। অনুরূপভাবে অর্থের অপচয় করাও হারাম। আর ধূমপানের মাঝে এ কারণগুলো বিদ্যমান, তাই মুসলিম উম্মাহ ধূমপান নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে একমত।
মক্কার মসজিদুল হারামের অন্যতম পবিত্র স্থান হাতিম। কাবার মূল কাঠামোর অংশ হিসেবে বিবেচিত এ স্থানটি মুসল্লিদের জন্য অত্যন্ত সম্মানিত ও নামাজ আদায়ের আকাঙ্ক্ষিত জায়গা। এখানে শৃঙ্খলাপূর্ণ উপায়ে ইবাদত নিশ্চিত করতে পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
১ দিন আগেখাদ্যগ্রহণ যেমন ক্ষুধা মেটানোর জন্য অপরিহার্য, প্রাত্যহিক জীবনের অংশ হিসেবে খাদ্যগ্রহণের ক্ষেত্রে উত্তম সংস্কৃতি ও শিষ্টাচার অনুসরণ করাও গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ যা খায়, যেভাবে খায়—তা তার চরিত্র, নীতি ও রুচির পরিচয় বহন করে। তাই ইসলাম আমাদের খাওয়ার উত্তম সংস্কৃতি ও শিষ্টাচার শিখিয়েছে।
২ দিন আগেসম্প্রতি ইসলামি আলোচক আমীর হামজা আল্লাহর রাসুল (সা.)–কে ‘সাংবাদিক’ বলেছেন। তিনি যুক্তি দিয়েছেন, যেহেতু নবী (সা.) ছিলেন আল্লাহর বার্তাবাহক, তাই রূপক অর্থে তাঁকে সাংবাদিক বলা যেতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এই তুলনা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বিভ্রান্তিকর এবং রাসুলের মর্যাদার পরিপন্থী।
৬ দিন আগেআমাদের সমাজে বেশ পরিচিত দুটি শব্দ হলো অলি-আওলিয়া। বাঙালি মুসলমান সমাজে সাধারণত মুসলমানদের একটি বিশেষ শ্রেণিকে অলি-আওলিয়া মনে করা হয়। অলি-আওলিয়াদের বিশেষ মর্যাদা ও ক্ষমতা আছে এমন বিশ্বাসও সাধারণ মুসলমানদের রয়েছে।
৬ দিন আগে