ইসমাঈল সিদ্দিকী
সারাদেশে কিশোর গ্যাং কালচার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দেশজুড়ে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, জমি দখল, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, ধর্ষণ এবং খুনখারাবি ইত্যাদি অপরাধের ঘটনা অহরহ ঘটছে। উঠতি বয়সের স্কুল-কলেজগামী কিশোরদের একটি অংশ লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে এসব কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তির প্রসারে সহজেই তাদের মনোজগতে সন্ত্রাসবাদীরা হানা দিচ্ছে। আধিপত্য বিস্তার, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব, প্রেমের বিরোধ, মাদকসহ নানা অপরাধে কিশোররা খুনোখুনিতে জড়িয়ে পড়ছে। এলাকার বড় ভাইদের মদতে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাদের অপরাধগুলোর রূপ বদলাচ্ছে, হিংস্র হচ্ছে ও নৃশংস হয়ে দেখা দিচ্ছে। প্রকাশ্য দিবালোকে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এদের মধ্যে ছিন্নমূল পরিবারের বিপথগামী সন্তান থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থীও রয়েছেন। বিভিন্ন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার প্রয়োজনে কিশোর বন্ধুরা মিলে প্রথমে একটি গ্রুপ তৈরি করে। পরে একসঙ্গে শক্তিমত্তা প্রদর্শনের প্রয়োজনে অস্ত্র বহন ও ফাঁকা ফায়ারিং করে এবং গ্রুপ করে মোটরসাইকেল নিয়ে দেওয়া হয় মহড়া। এভাবে নানা অপরাধে জড়িয়ে কিশোররা ক্রমেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে।
কিশোরদের পথভ্রষ্ট হওয়ার এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, ধর্মীয় মূল্যবোধের অবক্ষয় আর দ্বীন শিক্ষায় অবহেলা প্রদর্শন। ইসলামি জীবনবোধ ও জীবনব্যবস্থা অনুসরণের অভাবই আমাদের নানা সমস্যায় পর্যুদস্ত করে রেখেছে। এসব সমস্যা থেকে মুক্তির যথার্থ ও স্থায়ী উপায় হচ্ছে, সমাজের সর্বস্তরে ইসলামি জীবনবোধের বিস্তার ও ইসলামি জীবনব্যবস্থার অনুসরণ। একজন ধর্মপ্রিয় শিক্ষার্থী, ধর্মীয় অনুরাগ আর অনুসরণ নিয়ে বেড়ে ওঠা ছাত্রছাত্রী কখনোই বিপথে যেতে পারে না। কখনোই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে পারে না। কারণ সন্ত্রাসের ব্যাপারে ইসলাম ধর্মে রয়েছে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আর হুঁশিয়ারি বার্তা। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যে কেউ কোনো মুমিনকে ইচ্ছাকৃত হত্যা করল, তার শাস্তি জাহান্নাম। তথায় সে থাকবে দীর্ঘকাল। আল্লাহ তার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন, তাকে অভিসম্পাত করেছেন এবং তার জন্য প্রস্তুত রেখেছেন ভয়ংকর শাস্তি।’ (নিসা : ৯৩)
জীবনের অতি মূল্যবান অংশের নাম তারুণ্য। স্বপ্ন ও সম্ভাবনার, উদ্যম ও গঠনের এ এক সতেজ অধ্যায়। আর তাই সমাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে তরুণসমাজ। এরাই তো নতুন সূর্যÑসমাজের স্বপ্ন ও সম্ভাবনার। এই সূর্য ক্ষয় ও অবক্ষয়ের কালো মেঘে ঢাকা পড়ে যাওয়ার মানে, সমাজের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাওয়া। কাজেই আমাদের কিশোর-তরুণদের অবক্ষয়ের রাহুগ্রাসে পতিত হওয়া থেকে অবশ্যই ফেরাতে হবে। এ জন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ সৃষ্টির পাশাপাশি সব পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্যসূচিতে সন্ত্রাসবাদের কুফল সম্পর্কে ইসলামের অবস্থান এবং সতর্ক আলোচনা অন্তর্ভুক্ত করলে উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা সন্ত্রাসের ধরন, প্রকৃতি এবং এ ছাড়া সন্ত্রাসে সম্পৃক্ত হওয়ার লাভক্ষতি সম্পর্কে অবহিত হতে পারবে এবং আত্মসংশোধনে উদ্বুদ্ধ হবে। ফলে সন্ত্রাসের মতো জীবনবিনাশী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সহজেই সম্পৃক্ত হতে উৎসাহী হবে না।
শিক্ষালয়ের পাশাপাশি পরিবারকেও এ ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা পালন করতে হবে। সামাজিক নেটওয়ার্কে বুঁদ হয়ে থাকা ছেলেমেয়েদের দিকে না তাকালে মা-বাবাকেও একসময় তাদের সন্তানদের অপকর্মের খবর পেয়ে ভীষণ মনঃকষ্টে পড়তে হয়। পুরো পরিবারটি তখন বিষণ্ণতায় ডুবে মরে। তাই সমাজের অংশ হিসেবে পরিবারকেও তার সজাগ কল্যাণী ভূমিকা পালন করতে হবে। সন্ত্রাসবাদ নিরসন বা নিয়ন্ত্রণে সবাই মিলে কাঁধে কাঁধ রেখে আন্তরিক ও নির্মোহভাবে কাজ করে যেতে হবে। অবৈধ অস্ত্র কেনাবেচা যেভাবেই হোক, বন্ধ করতে হবে। অস্ত্রের সরঞ্জাম রাষ্ট্রীয় প্রয়োজন ছাড়া আমদানি-রপ্তানি নিষিদ্ধ করতে হবে। দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সন্ত্রাসবাদের ভয় ও হুমকি-ধমকি থেকে মানুষকে রেহাই দিতে রাষ্ট্রের ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ও পুলিশ বাহিনীকে অত্যন্ত শক্তিশালী, যুগোপযোগী এবং উজ্জীবিত রাখতে হবে।
সারাদেশে কিশোর গ্যাং কালচার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দেশজুড়ে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, জমি দখল, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, ধর্ষণ এবং খুনখারাবি ইত্যাদি অপরাধের ঘটনা অহরহ ঘটছে। উঠতি বয়সের স্কুল-কলেজগামী কিশোরদের একটি অংশ লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে এসব কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তির প্রসারে সহজেই তাদের মনোজগতে সন্ত্রাসবাদীরা হানা দিচ্ছে। আধিপত্য বিস্তার, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব, প্রেমের বিরোধ, মাদকসহ নানা অপরাধে কিশোররা খুনোখুনিতে জড়িয়ে পড়ছে। এলাকার বড় ভাইদের মদতে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাদের অপরাধগুলোর রূপ বদলাচ্ছে, হিংস্র হচ্ছে ও নৃশংস হয়ে দেখা দিচ্ছে। প্রকাশ্য দিবালোকে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এদের মধ্যে ছিন্নমূল পরিবারের বিপথগামী সন্তান থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থীও রয়েছেন। বিভিন্ন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার প্রয়োজনে কিশোর বন্ধুরা মিলে প্রথমে একটি গ্রুপ তৈরি করে। পরে একসঙ্গে শক্তিমত্তা প্রদর্শনের প্রয়োজনে অস্ত্র বহন ও ফাঁকা ফায়ারিং করে এবং গ্রুপ করে মোটরসাইকেল নিয়ে দেওয়া হয় মহড়া। এভাবে নানা অপরাধে জড়িয়ে কিশোররা ক্রমেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে।
কিশোরদের পথভ্রষ্ট হওয়ার এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, ধর্মীয় মূল্যবোধের অবক্ষয় আর দ্বীন শিক্ষায় অবহেলা প্রদর্শন। ইসলামি জীবনবোধ ও জীবনব্যবস্থা অনুসরণের অভাবই আমাদের নানা সমস্যায় পর্যুদস্ত করে রেখেছে। এসব সমস্যা থেকে মুক্তির যথার্থ ও স্থায়ী উপায় হচ্ছে, সমাজের সর্বস্তরে ইসলামি জীবনবোধের বিস্তার ও ইসলামি জীবনব্যবস্থার অনুসরণ। একজন ধর্মপ্রিয় শিক্ষার্থী, ধর্মীয় অনুরাগ আর অনুসরণ নিয়ে বেড়ে ওঠা ছাত্রছাত্রী কখনোই বিপথে যেতে পারে না। কখনোই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে পারে না। কারণ সন্ত্রাসের ব্যাপারে ইসলাম ধর্মে রয়েছে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আর হুঁশিয়ারি বার্তা। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যে কেউ কোনো মুমিনকে ইচ্ছাকৃত হত্যা করল, তার শাস্তি জাহান্নাম। তথায় সে থাকবে দীর্ঘকাল। আল্লাহ তার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন, তাকে অভিসম্পাত করেছেন এবং তার জন্য প্রস্তুত রেখেছেন ভয়ংকর শাস্তি।’ (নিসা : ৯৩)
জীবনের অতি মূল্যবান অংশের নাম তারুণ্য। স্বপ্ন ও সম্ভাবনার, উদ্যম ও গঠনের এ এক সতেজ অধ্যায়। আর তাই সমাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে তরুণসমাজ। এরাই তো নতুন সূর্যÑসমাজের স্বপ্ন ও সম্ভাবনার। এই সূর্য ক্ষয় ও অবক্ষয়ের কালো মেঘে ঢাকা পড়ে যাওয়ার মানে, সমাজের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাওয়া। কাজেই আমাদের কিশোর-তরুণদের অবক্ষয়ের রাহুগ্রাসে পতিত হওয়া থেকে অবশ্যই ফেরাতে হবে। এ জন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ সৃষ্টির পাশাপাশি সব পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্যসূচিতে সন্ত্রাসবাদের কুফল সম্পর্কে ইসলামের অবস্থান এবং সতর্ক আলোচনা অন্তর্ভুক্ত করলে উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা সন্ত্রাসের ধরন, প্রকৃতি এবং এ ছাড়া সন্ত্রাসে সম্পৃক্ত হওয়ার লাভক্ষতি সম্পর্কে অবহিত হতে পারবে এবং আত্মসংশোধনে উদ্বুদ্ধ হবে। ফলে সন্ত্রাসের মতো জীবনবিনাশী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সহজেই সম্পৃক্ত হতে উৎসাহী হবে না।
শিক্ষালয়ের পাশাপাশি পরিবারকেও এ ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা পালন করতে হবে। সামাজিক নেটওয়ার্কে বুঁদ হয়ে থাকা ছেলেমেয়েদের দিকে না তাকালে মা-বাবাকেও একসময় তাদের সন্তানদের অপকর্মের খবর পেয়ে ভীষণ মনঃকষ্টে পড়তে হয়। পুরো পরিবারটি তখন বিষণ্ণতায় ডুবে মরে। তাই সমাজের অংশ হিসেবে পরিবারকেও তার সজাগ কল্যাণী ভূমিকা পালন করতে হবে। সন্ত্রাসবাদ নিরসন বা নিয়ন্ত্রণে সবাই মিলে কাঁধে কাঁধ রেখে আন্তরিক ও নির্মোহভাবে কাজ করে যেতে হবে। অবৈধ অস্ত্র কেনাবেচা যেভাবেই হোক, বন্ধ করতে হবে। অস্ত্রের সরঞ্জাম রাষ্ট্রীয় প্রয়োজন ছাড়া আমদানি-রপ্তানি নিষিদ্ধ করতে হবে। দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সন্ত্রাসবাদের ভয় ও হুমকি-ধমকি থেকে মানুষকে রেহাই দিতে রাষ্ট্রের ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ও পুলিশ বাহিনীকে অত্যন্ত শক্তিশালী, যুগোপযোগী এবং উজ্জীবিত রাখতে হবে।
মক্কার মসজিদুল হারামের অন্যতম পবিত্র স্থান হাতিম। কাবার মূল কাঠামোর অংশ হিসেবে বিবেচিত এ স্থানটি মুসল্লিদের জন্য অত্যন্ত সম্মানিত ও নামাজ আদায়ের আকাঙ্ক্ষিত জায়গা। এখানে শৃঙ্খলাপূর্ণ উপায়ে ইবাদত নিশ্চিত করতে পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
২১ ঘণ্টা আগেখাদ্যগ্রহণ যেমন ক্ষুধা মেটানোর জন্য অপরিহার্য, প্রাত্যহিক জীবনের অংশ হিসেবে খাদ্যগ্রহণের ক্ষেত্রে উত্তম সংস্কৃতি ও শিষ্টাচার অনুসরণ করাও গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ যা খায়, যেভাবে খায়—তা তার চরিত্র, নীতি ও রুচির পরিচয় বহন করে। তাই ইসলাম আমাদের খাওয়ার উত্তম সংস্কৃতি ও শিষ্টাচার শিখিয়েছে।
২ দিন আগেসম্প্রতি ইসলামি আলোচক আমীর হামজা আল্লাহর রাসুল (সা.)–কে ‘সাংবাদিক’ বলেছেন। তিনি যুক্তি দিয়েছেন, যেহেতু নবী (সা.) ছিলেন আল্লাহর বার্তাবাহক, তাই রূপক অর্থে তাঁকে সাংবাদিক বলা যেতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এই তুলনা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বিভ্রান্তিকর এবং রাসুলের মর্যাদার পরিপন্থী।
৫ দিন আগেআমাদের সমাজে বেশ পরিচিত দুটি শব্দ হলো অলি-আওলিয়া। বাঙালি মুসলমান সমাজে সাধারণত মুসলমানদের একটি বিশেষ শ্রেণিকে অলি-আওলিয়া মনে করা হয়। অলি-আওলিয়াদের বিশেষ মর্যাদা ও ক্ষমতা আছে এমন বিশ্বাসও সাধারণ মুসলমানদের রয়েছে।
৫ দিন আগে