ইংল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফুটবলার স্পেন্স

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩: ২১
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩: ২৮
জেড স্পেন্স

কোচ টমাস টুখেলের সঙ্গে আগে কখনো সাক্ষাৎই হয়নি। তাই ইংল্যান্ডের জাতীয় দলে ডাক পাওয়া জেড স্পেন্সের কাছে ছিল অনেকটা আকাশকুসুম চিন্তার সমান। কিন্তু বাস্তবে তেমন অবিশ্বাস্য কিছুই ঘটে গেছে তার ক্যারিয়ারে। ইংল্যান্ডের জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়ে যারপরনাই বিস্মিত ২৫ বছরের এ ডিফেন্ডার।

বিজ্ঞাপন

প্রথম প্রকাশ্য মুসলিম হিসেবে ইংল্যান্ড টিমে জায়গা করে নিয়ে ইতিহাস লিখে ফেলেছেন স্পেন্স।
ইংল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দলে অবশ্য আগেই নাম লিখেছেন স্পেন্স। ২০২২ সালে খেলেন অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে। এবার জাতীয় দলে ডাক পেলেন টটেনহাম হটস্পারের এ ফুল-ব্যাক। অ্যান্ডোরা ও সার্বিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচের জন্য ঘোষিত ইংল্যান্ড দলে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।


জন্ম থেকে স্পেন্স বেড়ে উঠেছেন লন্ডনের মাটিতে। কিন্তু তার মা কেনিয়ান আর বাবা জ্যামাইকান বংশোদ্ভূত। বড় বোন কার্লা-সিমোন স্পেন্স জনপ্রিয় অভিনেত্রী।
ইংল্যান্ডের প্রথম প্রকাশ্য মুসলিম ফুটবলার হতে পেরে স্পেন্স বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ভাসছেন, ‘খবরটি দেখেছি আমি। এটা একটা আশীর্বাদ। এটা অসাধারণ ব্যাপার। আমি জানার পর খুবই অবাক হয়েছি। আমিই প্রথম! দারুণ ব্যাপার। ভাষা হারিয়ে ফেলেছি সত্যি বলতে।’


ইসলামের প্রতি নিজের অনুরাগটা তুলে ধরে স্পেন্স বলেন, ‘প্রথম ব্যাপার হলো, আল্লাহই সর্বশক্তিমান। আমি অনেক প্রার্থনা করি, আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়ে, সবচেয়ে অন্ধকার সময়ে, সব সময় বিশ্বাস করেছি আল্লাহ আমার পাশে আছেন। যখন আমি জিতে চলেছি, খুব ভালো সময়ে আছি, তখনো আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকি, কারণ তিনি সব সময় আমার পাশে থাকেন। আমার বিশ্বাস আমার কাছে অনেক বড় ব্যাপার।’


প্রথম মুসলিম ফুটবলার হিসেবে চাপ নিচ্ছেন কি না, স্পেন্সের ধোঁয়াশাপূর্ণ উত্তর, ‘হয়তো, হয়তো নয়!’ তবে স্পেন্স যোগ করেন, হাসিখুশি থাকাই তার জীবনের নীতি, ‘এমনিতে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ে আমি চাপ অনুভব করি না। স্রেফ মুখে এক টুকরো হাসি নিয়ে ফুটবল খেলি, খুশি থাকি। বাকিটুকু নিজস্ব গতিতেই চলে।’

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত