ফারুক আহমেদের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুল। আইসিসির চাকরি ছেড়ে বিসিবি প্রধানের দায়িত্ব পালনের প্রায় দুই মাস পার করার পর তিনি জানান, চ্যালেঞ্জ থাকলেও এ দায়িত্ব তিনি উপভোগ করছেন। এমনকি অস্ট্রেলিয়ায় নিজেদের নিরাপদ জীবন ও আইসিসির চাকরি ছেড়ে আসায় কোনো অনুশোচনা নেই তার। বরং বিসিবি সভাপতি হিসেবে দেশকে কিছু দিতে পারছেনÑএতেই গর্বিত তিনি। পাশাপাশি জানান, এ মেয়াদের পর বিসিবি সভাপতি থাকবেন না। এমনকি নির্বাচন করবেন না বলেও জানিয়ে দেন।
বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে ট্রিপল সেঞ্চুরি প্রজেক্ট ঘোষণা করেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। কেন ট্রিপল সেঞ্চুরি প্রজেক্ট ঘোষণা করেছেন তার ব্যাখ্যাও দেন। মূলত ফেসবুক কিংবা অন্য কোনো জায়গায় দেখা সিদ্ধান্তে প্রভাবিত না হওয়ার জন্য এমন সিদ্ধান্ত বলেও জানান। এ ছাড়া দেশের ক্রিকেটের উন্নতির জন্যই এমন সিদ্ধান্ত জানান। তিনি বলেন, ‘এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ব্যাডলি নিডেড।’
এ ছাড়া আগের সভাপতি ফারুক আহমেদের অভিযোগ ছিল তিনি অন্য বোর্ড পরিচালকদের কাছ থেকে পাননি পূর্ণ সহযোগিতা। তবে সে ধরনের কোনো অভিযোগ নেই বুলবুলের। তার কথায় ‘আমি খুব ভাগ্যবান যে আমাদের যে টিম আছে- প্লেয়িং ফর ইচ আদার। সেটা আমি দেখতে পাচ্ছি। আমি কিছু ভুল করলে আরেকজন করে দিচ্ছে, আরেকজন ভুল করলে আমরা করে দিচ্ছি। এ মুহূর্তে আমি দেখতে পাচ্ছি, একটা টিম ভালোমতো কাজ করছে বলে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।’
বিসিবিতে যিনিই বোর্ড সভাপতি হিসেবে আসুক না কেন, ক্রিকেট সংস্কৃতি নিয়ে হয় অনেক কথা। বুলবুলের সময়ও উঠেছে একই প্রশ্ন। আইসিসির হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করায় ক্রিকেট সংস্কৃতি নিয়ে তার কাছে চাওয়াও বেশি। ব্যাপারটি নিয়ে বুলবুল বলেন, ‘আপনি ক্রিকেট কালচার তখনই বলবেন, এখন বাংলাদেশের সবাই ফ্যান, যখন সবাই বলবে, আমি পার্ট অব দ্য অরগানাইজিং টিম, আমি পার্ট অব দ্য ক্রিকেট ফ্যামিলি। তখনই বলবেন ক্রিকেট কালচার।’
বিসিবিতে যিনিই বোর্ড সভাপতি হিসেবে আসুক না কেন, ক্রিকেট সংস্কৃতি নিয়ে হয় অনেক কথা। বুলবুলের সময়ও উঠেছে একই প্রশ্ন। আইসিসির হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করায় ক্রিকেট সংস্কৃতি নিয়ে তার কাছে চাওয়াও বেশি। ব্যাপারটি নিয়ে বুলবুল বলেন, ‘আপনি ক্রিকেট কালচার তখনই বলবেন, এখন বাংলাদেশের সবাই ফ্যান, যখন সবাই বলবে, আমি পার্ট অব দ্য অরগানাইজিং টিম, আমি পার্ট অব দ্য ক্রিকেট ফ্যামিলি। তখনই বলবেন ক্রিকেট কালচার।’
ব্যাপারটি নিয়ে বুলবুল বলেন, ‘আপনি ক্রিকেট কালচার তখনই বলবেন, এখন বাংলাদেশের সবাই ফ্যান, যখন সবাই বলবে, আমি পার্ট অব দ্য অরগানাইজিং টিম, আমি পার্ট অব দ্য ক্রিকেট ফ্যামিলি। তখনই বলবেন ক্রিকেট কালচার।’ ব্যাপারটি নিয়ে বুলবুল বলেন, ‘আপনি ক্রিকেট কালচার তখনই বলবেন, এখন বাংলাদেশের সবাই ফ্যান, যখন সবাই বলবে, আমি পার্ট অব দ্য অরগানাইজিং টিম, আমি পার্ট অব দ্য ক্রিকেট ফ্যামিলি। তখনই বলবেন ক্রিকেট কালচার।’
এ ছাড়া কোচ, ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়ারদের জন্য বিভিন্ন কোর্স নিয়মিতই আয়োজন করে। বিভিন্ন বিভাগ এর সঙ্গে জড়িত থাকায় বিভিন্ন সময়ই থাকে ধারাবাহিকতার অভাব। তবে একটি নতুন বিভাগের অধীনে কোচ, ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়ারদের কোচিং ও এডুকেশনকে নেওয়া হবে জানিয়ে বুলবুল বলেন, ‘আমাদের ক্রিকেট বোর্ড কিন্তু একটা ইন্টিগ্রেটেড সার্ভিস। এখানে কিউরেটর কোচিং কোর্স আছে, আম্পায়ার কোচিং কোর্স আছে, ম্যাচ রেফারি কোর্স আছে এবং কোচেস কোর্স আছে। আমরা চেষ্টা করছি, সব ছাড়াছাড়িভাবে করছি। যত লেভেল আছে, আমাদের পরিকল্পনা আছে সব জায়গায় আমরা লেভেল-১, লেভেল-২, লেভেল-৩ কোচিং কোর্সগুলো করাব। এসব একটা ছাতার নিচে এনে ট্রেনিং অ্যান্ড এডুকেশন বা ক্রিকেট এডুকেশন ডিপার্টমেন্টের আন্ডারে আনব।’
পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেট ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পার্থক্যের প্রশ্নে বুলবুল বলেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পার্থক্য কী আছে। হাই ইন্টেনসিটি ম্যাচ আয়োজন না করতে পারলে এটা হতেই থাকবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে খেলতে ম্যাচিউর করতে হবে।’

