বিপিএলের সেরা একাদশে দেশি ক্রিকেটারদের দাপট

স্পোর্টস রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩: ০০
চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বরিশাল

বিপিএলের ১১তম আসর শেষ হয়েছে। টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিপিএল শিরোপা জিতল ফরচুন বরিশাল। টুর্নামেন্টজুড়ে অংশ নেওয়া ৭ দলের ক্রিকেটাররা ব্যাটিং-বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে আলো ছড়ান। অসাধারণ পারফর্ম করা খেলোয়াড়দের নিয়ে ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো একটি সেরা একাদশ গঠন করেছে। এই একাদশে মাত্র ৪ বিদেশি খেলোয়াড় জায়গা পেয়েছেন। বাকি ৭ জনই হলেন বাংলাদেশের। দেখে নেওয়া যাক কেন, কী কারণে, কারা এই একাদশে সুযোগ পেলেন।

১. মোহাম্মদ নাঈম, ৫১১ রান, ১৪৩.৯৪ স্ট্রাইক রেট, একটি ১০০, তিনটি ৫০

বিজ্ঞাপন

নিঃসন্দেহে এ মৌসুমে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সেরা ইনফর্ম ব্যাটারের নাম মোহাম্মদ নাঈম। জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ৩১৬ রান তুলেছিলেন। বিপিএলেও পাওয়ার প্লেতে তার ব্যাটিংশক্তি দেখা গেছে। সব বোলারের বিরুদ্ধে ব্যাটিংয়ে বেশ সাবলীল ছিলেন। বিপিএলে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে পাঁচ শতাধিক রান সংগ্রহের রেকর্ড গড়েছেন নাঈম। এর আগে ২০২২-২৩ মৌসুমে শান্তর সংগ্রহ ছিল ৫১৬ রান।

২. তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), ৪১৩ রান, ১২৯.০৬ স্ট্রাইক রেট, চারটি ৫০

বরিশালের তৃতীয় ম্যাচে ৮৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। এবারের বিপিএলে চারটি ফিফটির মধ্যে তার প্রথম ফিফটি এটি। তবে গত আসরের তুলনায় এবার কম ঝুঁকি নিয়ে ব্যাটিং করেছেন তামিম। ব্যাটিংয়ে শুরুটা দারুণ করেন। বিপিএলের ফাইনালে বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নামা বরিশালের জয়ের সমীকরণ সহজ করে দেন এই ওপেনার। খেলেন ২৪ বলে ফিফটির ইনিংস। এ নিয়ে ষষ্ঠবার ইএসপিএনক্রিকইনফোর বিপিএলের সেরা একাদশে জায়গা পেলেন তামিম।

৩. জাকির হাসান, ৩৮৯ রান, ১৪০.৪৩ স্ট্রাইক রেট, তিনটি ৫০

সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে ব্যাটিংয়ে যে ঝলক দেখান জাকির, তাতেই বিপিএলের সেরা একাদশে জায়গা হয়ে গেল তার। রংপুরের বিপক্ষে সিলেটের দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৮ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এরপর খুলনার বিপক্ষেও ফিফটির ইনিংস খেলেন। খুলনার বিপক্ষে তার অপরাজিত ৭৫ রনের ইনিংসে ৬টি দর্শনীয় ছক্কার মার ছিল। তবে বিপিএলের ফিনিশিংটা ভালো হয়নি জাকিরের।

৪. গ্রাহাম ক্লার্ক, ৪৩১ রান, ১৫৩.৩৮ স্ট্রাইক রেট, একটি ১০০, একটি ৫০

কিছুটা দেরিতে চিটাগং কিংসে যোগ দেন ক্লার্ক। শুরুর দিকেই ব্যাটিংয়ে উজ্জ্বল ছিলেন এই ইংলিশ ব্যাটার। প্রথম দুই ইনিংসে তার রান ছিল ৪০ ও ৩৯। এরপর ঢাকার বিপক্ষে ৬০ ও খুলনার বিপক্ষে ১০১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন। ৫০ বলে ৭টি চার ও ৬টি ছক্কায় টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন। অবশ্য এরপর তার ব্যাটে আর ফিফটি দেখা যায়নি। ফাইনালে ২৩ বলে ৪৪ রান করে বিপিএল শেষ করেন ক্লার্ক।

৫. খুশদিল শাহ, ২৯৮ রান ও ১৭ উইকেট

বিপিএলের লিগ পর্বে রংপুর রাইডার্সের মূল ভরসার নাম ছিলেন খুশদিল। দুটি ফিফটির ইনিংস খেলার পাশাপাশি ১৭ উইকেট নেন। এবারের বিপিএলের কোনো স্পিনারের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড এটি। ঢাকার বিপক্ষে ২৩ বলে অপরাজিত ৪৬ রান দিয়ে বিপিএল মিশন শুরু করেন খুশদিল। এরপর খুলনার বিপক্ষে ৭৩ রানে অপরাজিত থাকেন। চিটাগংয়ের বিপক্ষে ২৮ বলে তার ৫৯ রানের ইনিংসে ৭টি ছক্কার মার ছিল। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখানোয় তিন বছর পর পাকিস্তান দলেও ফিরেছেন এই অলরাউন্ডার।

৬. মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (উইকেটরক্ষক), ৩১৬ রান ও ৭টি ডিসমিসাল

নিচের দিকে ব্যাটিং করলে সুযোগ কম পাওয়া যায়। তবে সুযোগ পেয়ে তা যথার্থভাবে কাজে লাগান অঙ্কন। খুলনার প্রথম ম্যাচে চিটাগংয়ের বিপক্ষে ২২ বলে অপরাজিত ৫৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস উপহার দেন। ৬টি ছক্কা হাঁকিয়ে নজর কাড়েন সবার। ২০০’র বেশি স্ট্রাইক রেট তাকে টুর্নামেন্টে আলাদা করে রাখে।

৭. ফাহিম আশরাফ, ২০ উইকেট, সেরা ৫/৭

বিপিএলে দুর্দান্ত খেলা ফাহিম আশরাফ পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে আছেন। ২০ উইকেট শিকারের পথে ইনিংসে ৫ উইকেট শিকারের কীর্তি রয়েছে তার। এছাড়া দুই ম্যাচে তিনটি করে উইকেট নেন। অবশ্য প্রতি ওভারে ৭ রানের বেশি দেওয়ার হতাশাও রয়েছে তার। যে কারণে বিপিএলের শেষদিকে ফাহিমের প্রতি আস্থা রাখতে পারেনি বরিশাল।

৮. আলিস আল ইসলাম, ১৫ উইকেট, সেরা ৩/১৭

বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে রহস্যময় বোলার হলেন আলিস। বিপিএল সেরা ফর্মে ছিলেন তিনি। টুর্নামেন্টজুড়ে ওভারপ্রতি ৬.৩২ রান খরচ করে ১৫ উইকেট শিকার করেন। চিটাগংয়ের প্রথম জয়ে ১৭ রানে ৩ উইকেট শিকার করে অবদান রাখেন আলিস। পাওয়ার প্লেতে ধারাবাহিক ভালো বোলিং করেছেন। ইনজুরির কারণে ফাইনাল ম্যাচে খেলতে পারেননি আলিস।

৯. তাসকিন আহমেদ, ২৫ উইকেট, সেরা ৭/১৯

এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার হলেন তাসকিন। বিপিএলের এক আসরে সাকিব আল হাসানের রেকর্ড ভেঙে দেন এই ডানহাতি পেসার। ২০১৮-১৯ মৌসুমে ২৩ উইকেট শিকার করেছিলেন সাকিব। ইনিংসে ৭ উইকেট শিকার করে বিপিএলে রেকর্ড গড়ে মিশন শুরু করেন তাসকিন। দুটি ম্যাচ ছাড়া দুর্বার রাজশাহীর হয়ে বাকি সব ম্যাচেই উইকেট নেন। দলকে অসাধারণ নেতৃত্বও দিয়েছেন এই বোলার।

১০. খালেদ আহমেদ, ২০ উইকেট, সেরা ৪/৩১

এবার বিপিএলে চিটাগংয়ের অন্যতম সেরা বোলার ছিলেন খালেদ। ২০ উইকেট শিকার করে আকিফ জাভেদ ও ফাহিম আশরাফের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেছেন। তার শুরুটা ভালো ছিল না। তবে কোচ শন ট্রেইটের পরামর্শে বোলিংয়ে জ্বলে ওঠেন। ঢাকার বিপক্ষে ২১ রানে ৩ উইকেট শিকার করার পর সিলেটের বিপক্ষেও বাজিমাত করেন পেসার খালেদ। তবে ফাইনালে উইকেটের দেখা পাননি।

১১. আকিফ জাভেদ, ২০ উইকেট, সেরা ৪/৩২

এ নিয়ে দ্বিতীয় বিপিএল আসরে খেলতে নেমেই লাইমলাইটে উঠে আসলেন আকিফ। এই বাঁহাতি পেসার টানা তিন ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান। খুলনা, চিটাগং ও রাজশাহীর বিপক্ষে রংপুরের এই বোলারের বোলিং ফিগার ছিল ৩/২৯, ৪/৩২, ৩/২৩।

কক্সবাজার থেকে ইয়াবা এনে ঢাকায় বিক্রি, ৩ নারী গ্রেপ্তার

সাব-জেলে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তারা, সরকারের কাছে যে আহ্বান জানালেন ব্যারিস্টার আরমান

অসদাচারণের দায়ে টঙ্গী পাইলট স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে শোকজ

জরুরি অবস্থা জারি করলেন পেরুর প্রেসিডেন্ট

গুম-খুনে জড়িত ১৫ সেনা কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত। ট্রাইব্যুনালে হাজির। সাবজেলে প্রেরণ

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত