জাতীয় স্টেডিয়াম চত্বরে ক্রীড়া পরিষদের অভিযান

স্পোর্টস রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৫, ০৪: ০০

আগামী ১০ জুন জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে চায় বাংলাদেশ। এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের এ ম্যাচকে সামনে রেখে জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ জোরেশোরে চলছে। এখন বাকি শুধু ফিনিশিং টাচ। সংস্কারের ফলে নতুনরূপে সেজেছে জাতীয় স্টেডিয়াম। কিন্তু স্টেডিয়ামের বাইরের পরিবেশ ক্রীড়াবান্ধব নয়।

বিজ্ঞাপন

এ নিয়ে গত ৭ মে আমার দেশ-এর খেলা পাতায় ‘অপরিচ্ছন্ন, মাদকের স্বর্গ, ক্রীড়াবান্ধবহীন পরিবেশ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে তুলে ধরা হয় বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের প্রাণ কেন্দ্র জাতীয় স্টেডিয়াম চত্বরে ভবঘুরে, মাদকসেবীদের নিরাপদ স্থান, হকারদের উৎপাত, স্টেডিয়াম চত্বরে অবৈধ পার্কিং, যানজন, জনজট, নোংরা-দুর্গন্ধময় পরিবেশ, আবর্জনার স্তূপসহ নানা অনিয়মের কথা। এ প্রতিবেদনটি দৃষ্টিগোচর হয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি)।

এরই মধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে দেশের ক্রীড়া স্থাপনা সুরক্ষা, রক্ষণাবেক্ষণ, সংস্কার ও উন্নয়নের অভিভাবক সংস্থা ক্রীড়া পরিষদ। গতকাল জাতীয় স্টেডিয়াম চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, হকারদের দৌরাত্ম্য, মাদকমুক্তসহ স্টেডিয়ামে ক্রীড়া পরিবেশ ফেরাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে এনএসসি। এই মোবাইল কোর্টের নেতৃত্ব দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোসাম্মৎ ইসরাত। এ সময় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, এনডিসি উপস্থিত ছিলেন। সব মিলিয়ে এই অভিযানে ক্রীড়া পরিষদের কর্তাসহ প্রায় ১০০ জনের টিম ছিল। তারা জাতীয় স্টেডিয়াম, হকি, ভলিবল, কাবাডিসহ পুরো স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।

তবে প্রথমবারের মতো স্টেডিয়ামে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করায় এদিন কোনো জরিমানা করা হয়নি। সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। স্টেডিয়ামের দোকানিরা যাতে নির্ধারিত জায়গার বাইরে যেন মালামাল না রাখেন, সে ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে একই ঘটনা ঘটলে মালামাল ক্রোক ও জরিমানা করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। মোবাইল কোর্টের নেতৃত্ব দেওয়া ইসরাত জানান, প্রথম অভিযানটি সবাইকে সচেতন করার জন্যই তারা চালিয়েছেন।

এই অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতে নিয়ম ও আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। ইসরাত বলেন, ‘স্টেডিয়াম এলাকা দর্শক এবং ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা যেন সুন্দর পরিবেশে যাতায়াত করতে পারেন সেটা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া।’ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কারো এই সংক্রান্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্টতা থাকলে বা প্রমাণিত হলে ক্রীড়া পরিষদের চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে।’

বিষয়:

এনএসসি
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত