ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিন্ন হচ্ছে কেভিন ডি ব্রুইনের। চলতি মৌসুম শেষেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ ক্লাবটি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন এই তারকা মিডফিল্ডার। ম্যানসিটি অধ্যায় শেষে কোথায় যাবেন সেটা নিয়ে এখনও কিছু জানাননি ডি ব্রুইনে।
গত গ্রীষ্মেই বিভিন্ন গণমাধ্যমের কল্যাণে শোনা যায়, ম্যানসিটি ছেড়ে সৌদি আরবের কোনো ক্লাবে যোগ দেবেন ডি ব্রুইনে। সেটা আলোর মুখ দেখেনি। সময়ের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডারের পরবর্তী গন্তব্য হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকার (এমএলএস), এমন গুঞ্জনও ছিল ফুটবলপাড়ায়। এর কোনোটাই বাস্তবে রূপ নেয়নি। আরও একটা মৌসুম ম্যানসিটিতেই থেকে যান ডি ব্রুইনে। এবার দেখার বিষয়, ম্যানসিটি ছেড়ে পরবর্তী ঠিকানা হিসেবে কোন ক্লাবকে বেছে নেন তিনি।

জার্মান ক্লাব উলফসবার্গ ছেড়ে ২০১৫ সালে ম্যানসিটিতে যোগ দেন ডি ব্রুইনে। তার সঙ্গে সিটিজেনদের চুক্তি আছে আগামী গ্রীষ্ম পর্যন্ত। বিভিন্ন সময় দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি নবায়নের গুঞ্জন উঠলেও সেটা বাস্তবে রূপ নেয়নি। এবার বিদায়ের ঘোষণা দিয়ে সব সম্ভাবনা শেষ করে দিলেন বেলজিয়ান তারকা।
যোগ দেওয়ার পর কম সময়ের মধ্যেই ম্যানসিটির একাদশের প্রথম পছন্দ বনে যান ডি ব্রুইনে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ক্লাবটির হয়ে খেলেছেন ৪১৩ ম্যাচ। জালের দেখা পেয়েছেন ১০৬ বার। সব মিলিয়ে জিতেছেন ১৬টি শিরোপা। এর মধ্যে একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ, ছয়টি প্রিমিয়ার লিগ, পাঁচটি লিগ কাপ ও দুটি এফএ কাপ উল্লেখযোগ্য। চোটের কারণে গত দুই মৌসুম ধরে দলে অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন ডি ব্রুইনে।

বিদায়ী বার্তায় ডি ব্রুইনে লিখেছেন, ‘আপনারা হয়তো বুঝতে পারছেন আমি কি বলতে চাচ্ছি। আমি সোজাসাপ্টা বলে দিচ্ছি, সামনের মাসগুলো ম্যানসিটিতে আমার শেষ হতে যাচ্ছে। এই বিদায় জানানোটা আমার জন্য মোটেও সহজ নয়। কিন্তু আমি জানি, একজন ফুটবলার হিসেবে এমন দিন আসবেই। আমি এখন সেই দিনের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। এই ঘোষণা দেওয়া আমার জন্য সহজ ছিল না। এই শহর, ক্লাব, মানুষজন আমাকে সবকিছু দিয়েছে।’
ডি ব্রুইনে আরও লিখেছেন, ‘ম্যানসিটির হয়ে আমরা একসঙ্গে সবকিছু জিতেছি। ইচ্ছায় হোক কিংবা অনিচ্ছায়, বিদায় বলার সময় এসেছে। ম্যানচেস্টার শহরটি কেবলমাত্র আমার সন্তারদের পাসপোর্টেই থাকবে না, এটা আমাদের হৃদয়ে থেকে যাবে আজীবন। এটা আমাদের সারাজীবনের বাড়ি। এখানে আমার ১০ বছরের যাত্রাটি ছিল অসাধারণ। তবে সব গল্পেরেই একটা শেষ থাকে। ম্যানসিটির এই অধ্যায়টা আমার জীবনের সেরা।’

