ক্রিকেটের ভাষায় যাকে বলে ওয়ানসাইডেড ম্যাচ; ক্রিকেটার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বা কোয়াবের নির্বাচনে ঠিক তাই হলো। বিশাল ব্যবধানে হারলেন সাবেক ক্রিকেটার সেলিম শাহেদ। প্রায় একতরফা ভঙ্গিতে জিতলেন মোহাম্মদ মিঠুন। সভাপতি পদে এই ভোটের ব্যবধান বিশাল। মিঠুনের বাক্সে জমা হলো ১৫৪ ভোট। সেলিম পেলেন মাত্র ৩৪ ভোট। নবগঠিত কোয়াবের এবারের ভোটে ভোটার ছিল মাত্র ২১৫ জন। এর মধ্যে ভোট দেন ১৮৮ জন। কোয়াবের নির্বাচনে অন্য ১০টি পদে নির্বাচনের প্রয়োজনই পড়েনি। সভাপতি ছাড়া বাকি সব পদে বিনা প্রতিদ্বদ্বিতায় নির্বাচিত হয় নির্বাহী কমিটি।
বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর দুপুর দেড়টায় কোয়াবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আর দুপুর তিনটায় ভোটাভুটি। বিকেল ৫টার মধ্যেই ফল ঘোষণা।
দুপুরে বিসিবির ক্রিকেট একাডেমির সদর দরজার সামনে কিছুটা চিন্তিত দেখাল সাবেক ক্রিকেটার সেলিম শাহেদ। ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন অনেক আগেই। তবে এদিন তার টেনশন ছিল অন্য বিষয়ে। নির্বাচন নিয়ে টেনশন। দুপুরের চিন্তাটা বিকেলেও রয়েই গেল সেলিম শাহেদের। ভোটের ‘ম্যাচে’ তার সিনিয়র সেলিম শাহেদকে হারিয়ে দিলেন মোহাম্মদ মিঠুন।
৪ সেপ্টেম্বর কোয়াবের এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মিরপুরে হোম অব ক্রিকেট ক্রিকেটারদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল। বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাবেক অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এবং বিসিবির আগামী মাসের নির্বাচনে সম্ভাব্য সভাপতি প্রার্থী তামিম ইকবালসহ মুখচেনা প্রায় সব ক্রিকেটার এই নির্বাচনের ভোট উৎসবে অংশ নেন। এবারই প্রথমবারের মতো নারী ক্রিকেটাররাও কোয়াবের এই ভোটে অংশ নেন। নতুনভাবে কোয়াবের সদস্যপদ পুরুণ করে সদস্য না হওয়ায় সাবেক দুই অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি বিন মর্তুজা এই ভোটে অংশ নেয়ার সুযোগ পাননি।

