জেলি ফিশের ওপর দিয়ে রোমাঞ্চকর সুইমিং

নাজমুল হক হিমেল
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৫, ০৯: ০০
নাজমুল হক হিমেল

আটলান্টিক মহাসাগরে সাঁতার কাটতে নামার আগে ইউটিউব, অনলাইনের মাধ্যমে রিসার্চ করেছিলাম। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা- ঠান্ডা পানি, জেলিফিশ আর সি সিকনেস (বোট হেলে-দুলার কারণে মাথাব্যথা ও বমি বমি ভাব)। ওয়েবসাইটে দেখি- বেশির ভাগ মানুষ সি সিকনেসে ভুগে। আমি জেলিফিশ সাধারণ সমুদ্রে, অ্যাকুরিয়ামে কিংবা অন্য জায়াগায় দেখেছি। তবে এই ফিশের সঙ্গে কখনো সংস্পর্শে আসা হয়নি। আটলান্টিক মহাসাগরে ঢেউ আর সি সিকনেস আমাকে বেশি ভোগায়। এটি আমার সবচেয়ে বেশি মনে থাকবে। আর জেলিফিশের ব্যাপারে বলব- আমি যখন সুইমিং করি, খুব এটা বেশি দেখিনি। যা দেখেছি কিংবা আমার আশপাশে ছিল, তাতে কিছুটা ভয় লেগেছিল। আমার কাছেই একটা ভাসছিল। একটা ঢেউ এসে দুজনকে দিকে নিয়ে যায়। জেলিফিশ সাঁতার কাটতে পারে না। পানিতে ভেসে থাকে। আমার সংস্পর্শে থাকলে চামড়ার সঙ্গে লেগে যেত। ভয় লাগছিল যে, জেলিফিশ যদি না আমার শরীরে পেঁচিয়ে থাকে। কারণ এ রকম হয়েই থাকে। জেলিফিশের ওপর দিয়ে সুইমিং করব- এটা কখনো ভাবিনি। এটি খুবই রোমাঞ্চকর এক অভিজ্ঞতা।

বিজ্ঞাপন


আমাদের লাস্ট ফিনিশিং ম্যান ছিল মাহফিজুর রহমান সাগর। যখন ও হাত তুলল সে পানিতে নেই, ফিনিশিং লাইনে পানি স্পর্শহীন, তখন বোট থেকে হুইসেল দিল যে, সে ক্লিয়ার। আমাদের মধ্যে তখন যে কী উল্লাস, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।


আমার বাবা আশির দশকের একজন সাঁতারু। আমার দুই ভাই, তারাও সাঁতারু। তাদের সন্তানও সাঁতারু। পারিবারিকভাবে আমরা যেহেতু সবাই সাঁতারু, আমাদের ইচ্ছা থাকে বড় কিছু করার। আমাদের কেউই অলিম্পিকে যায়নি। এটা আমার মনে আক্ষেপ ছিল। তাই পরিকল্পনা ছিল, বড় একটা ইভেন্টে অংশ নেব। ২০২২ সালে মাহফিজুর রহমান সাঁতারু বলছিল, এই রকম একটা পরিকল্পনার কথা। ও আমাকে অনেক উৎসাহ দিয়েছে। পরে ধাপে ধাপে আমরা এগিয়েছি। যে সাফল্য দেশের মুখ উজ্জ্বল করা যায়, সেটি অর্জন করতে কার না ভালো লাগে। ভবিষ্যতে যদি স্পন্সর পাই তাহলে আবার ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার ইচ্ছা আছে।

* নাজমুল হক হিমেল, ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়া সাঁতারু

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত