থেমে যাওয়ার এখনই সময় : আন্দ্রে রাসেল

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৫, ০২: ০০
বিদায়ী সংবর্ধনা পেয়েছেন আন্দ্রে রাসেল

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায়ের সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন। আন্দ্রে রাসেল যেমনটা বলেছিলেন, তেমনটাই করলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিটা তুলে রাখলেন। মেরুন জার্সিতে ক্যারিবীয় এ লিজেন্ডের যে কতটা ভালোবাসা আর আবেগ জড়িত, তার প্রমাণ মিলল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে।

বিজ্ঞাপন

প্রিয় দলকে শেষবারের মতো প্রতিনিধিত্ব করছেন- এটা মনে হতেই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন রাসেল। তার কণ্ঠটা ভারী হয়ে আসছিল। কঠিন মানসিকতার রাসেল শেষে নিজেকে সামলে নিতে নিজের ছোট্ট ছেলেকে জড়িয়ে ধরেন। তবে বিদায়টা রাঙাতে পারেনি খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া উইন্ডিজ। নিজের জন্মশহর কিংস্টনের সাবিনা পার্কে অজিদের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে তারা ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে।


তবে জিততে না পারলেও অখুশি নন রাসেল। বিদায়বেলায়ও হারকে দেখছেন খেলার অংশ হিসেবে। এ নিয়ে ৩৭ বছরের এই ক্রিকেট মেগাস্টার বলেন, ‘ম্যাচের ফল আমাদের পক্ষে আসেনি। কিন্তু এটাই ক্রিকেট। দিন শেষে আমি খুশি। গত দুই ম্যাচে দর্শকরা ছিলেন অসাধারণ। আমরাও নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’


সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। চাইলে বৈশ্বিক আসরে খেলতে পারতেন। ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজও রাসেলের মতো তারকাদেরই চাইছে মনে মনে। তাহলে কেন আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেন? রাসেলের ব্যাখ্যা, ‘এখনই থেমে যাওয়ার সময় এবং এখান থেকেই ছেলেরা (ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটকে) এগিয়ে নেবে। দলে কয়েকজন ভালো খেলোয়াড় আছে। শেফার্ড বেশ আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলছে। রাদারফোর্ড, আলজারি ও হোল্ডারের মতো খেলোয়াড়ও দলে আছে।’


হোম গ্রাউন্ডে খেলে ক্যারিয়ার শেষ করতে পেরেছেন। এজন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রাসেল বলেন, ‘সাবিনা পার্কে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ করতে পেরেছি। স্থানীয় দর্শক, পরিবার ও বন্ধুদের সামনে খেলেছি। এ সুযোগ করে দেওয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ। আপনাদের সমর্থন পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ। আশা করি দলের এগিয়ে যাওয়ার জন্য আপনারা এভাবেই সমর্থন দিয়ে যাবেন।’

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত