দ্য গার্ডিয়ান ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের যৌথ তদন্তে উঠে এসেছে- ঢাকা কর্তৃপক্ষের তদন্তাধীন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি অভ্যত্থাণ শুরুর পর থেকে বৃটেনের সম্পত্তি বিক্রি, হস্তান্তর বা পুনঃঋণায়ন করেছে।
ভারতে বাংলাভাষী হওয়ায় লোকজনকে ধরে নির্যাতন ও সীমান্ত পার করে দেওয়ার সমালোচনা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
‘জুলাই-আগস্ট বিপ্লব’-এর বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঘোষিত মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বাণিজ্যিক ভারসাম্যে বাংলাদেশ বড় ধরনের ঘাটতিতে থাকা সত্ত্বেও আমদানি-রপ্তানিতে ভারতীয় মুদ্রা রুপির প্রচলন করেছিল স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকার। তীব্র সংকট ও দরবৃদ্ধির কারণে ডলারের ওপর থেকে চাপ কমানোর উপায় হিসেবে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেনে ২০২৩ সালে রুপিকে মুদ্রা হিসেবে গ্রহণ করা হয়
রাষ্ট্রের বিভিন্ন সেক্টরে এখনো ফ্যাসিবাদীরা বসে আছে— এই অভিযোগ বিভিন্ন মহলের। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ রাষ্ট্রীয় সংস্থা আবহাওয়া দপ্তর। জুলাই বিপ্লবের এক বছর পরও সংস্থাটির ওয়েবসাইটে বিগত স্বৈরাচার পলাতক শেখ হাসিনার দুটি ছবি ঝুলছে। ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত হচ্ছে পলাতক শেখ হাসিনার নানা গুণগানের কথা।
সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে যেখানে দেখা যায়, পুলিশের গাড়িতে এক ব্যক্তির লাশ তোলা হচ্ছে। ভিডিওটি পোস্ট করে হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেন, সেটি গোপালগঞ্জের এবং ওই ব্যক্তি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
এই তথ্যে শুধু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জন্যও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে—আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে আশপাশের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো, কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে যখন ক্ষমতালিপ্সু সরকারগুলো এমন সহিংসতা চালায়।
জুলাই গণহত্যায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালে বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে। অপরদিকে সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন নিজের অপরাধের দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রসহ ৫১জনকে মাথায় গুলি করে পরিকল্পিতভাবে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছিল। ফ্যাসিস্ট হাসিনার নির্দেশে হেডশটের করে নির্মম এই হত্যাকান্ড চালায় ছাত্রলীগ ও তার দলদাস পুলিশবাহিনীর কিছু সদস্য। জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলন দমনে আইনগত কোনো নীতিমালাই মানেনি সরকার।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপযুক্ত বিচার অবশ্যই বাংলাদেশে হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। বুধবার ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ কথা বলেন আসিফ নজরুল।
জুলাই-আগস্টে গণহত্যায় মানবতাবিরোধী মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে রাষ্ট্র ও আসামি উভয়পক্ষের শুনানি শেষ হয়েছে।
‘অনুশোচনা’ শব্দটিকে ‘লোডেড টার্ম’ হিসেবে বর্ণনা করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘কে কতটুকু অনুতপ্ত, তা আমি জানি না। তবে আমরা বিষয়টিকে এভাবেই দেখছি যে, প্রয়োজনে বিষয়টি নিয়ে আবারও উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
আদালত অবমাননা মামলায় শেখ হাসিনাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের শাকিল আকন্দ বুলবুলকে দুই মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী মামুন। একইসঙ্গে এই মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শেখ হাসিনার গত সরকারের আমলে গুম করে নির্যাতন,কারাগারে নির্যাতনের ঘটনার ব্যাপক বৃদ্ধি ঘটে। এই সময় র্যাব, পুলিশ এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করে নির্যাতন, গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনাও ঘটে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক বলেছেন, বাংলাদেশে যে মব সৃষ্টি হচ্ছে সেই মবের রানি হচ্ছেন শেখ হাসিনা, সুশীল সমাজের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই— এই মব কে সৃষ্টি করেছে? মবের পক্ষে আমরা না।