গাজায় ত্রাণবাহী নৌবহর সুমুদ ফ্লোটিলায় যোগ দেয়া জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গের সাথে ইসরাইলি বাহিনী দুর্ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সুমুদ ফ্লোটিলায় থাকা অধিকার কর্মীরা একথা জানিয়েছেন। খবর আল জাজিরার।
ইসরাইলের হাতে আটক হওয়া অধিকার কর্মীদের মধ্যে শনিবার ১৩৭ জনকে ইস্তাম্বুলে পাঠানো হয়েছে। এদেরমধ্যে তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, মালয়েশিয়া, কুয়েত, সুইজারল্যান্ড, তিউনিসিয়া, লিবিয়া, জর্ডান এবং অন্যান্য দেশের কর্মীরা রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তুর্কি কর্মকর্তারা।
তুর্কি সাংবাদিক এবং গাজা সুমুদ ফ্লোটিলার অংশগ্রহণকারী এরসিন সেলিক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তিনি গ্রেটা থুনবার্গকে নির্যাতন করতে দেখেছেন। তিনি বলেন, থুনবার্গকে মাটিতে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ইসরাইলি পতাকা চুম্বন করতে বাধ্য করা হয়।
মালয়েশিয়ার কর্মী হাজওয়ানি হেলমি এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে অংশ নেয়া উইন্ডফিল্ড বিভার ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে একই রকম বর্ণনা দিয়েছেন। তারা অভিযোগ করেছেন, থুনবার্গকে ধাক্কা দিয়ে ইসরাইলি পতাকা দিয়ে প্যারেড করানো হয়েছিল।
হেলমি বলেন, ‘এটি একটি বিপর্যয় ছিল। তারা আমাদের সাথে পশুর মতো আচরণ করেছিল। বন্দিদের খাবার, পরিষ্কার পানি এবং ওষুধ দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়।’
নৌবহরে থাকা ইতালীয় সাংবাদিক লরেঞ্জো আগোস্তিনোও থুনবার্গের সঙ্গে বাজে আচরণের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি আনাদোলুকে বলেন, ‘গ্রেটা থুনবার্গ একজন সাহসী নারী, যার বয়স মাত্র ২২ বছর। তাকে অপমানিত করা হয় এবং ইসরাইলি পতাকায় মুড়িয়ে ট্রফির মতো প্রদর্শন করা হয়।’
অন্যরাও গুরুতর দুর্ব্যবহারের বর্ণনা দিয়েছেন। তুর্কি টিভি উপস্থাপক ইকবাল গুরপিনার বলেন, ‘তারা আমাদের সঙ্গে কুকুরের মতো আচরণ করে। তারা আমাদের তিন দিন ধরে ক্ষুধার্তও রেখেছিল। তারা আমাদের পানি দেয়নি। টয়লেট থেকে আমাদের পানি পান করতে হয়েছে। এটি ছিল একটি ভয়াবহ গরম দিন এবং আমরা সবাই পুড়ে যাচ্ছিলাম তিনি জানান, এই অগ্নিপরীক্ষা তাকে গাজা সম্পর্কে আরো ভালো ধারণা দিয়েছে।
এর আগে গাজায় ত্রাণ সরবরাহের উদ্দেশে ফ্লোটিলা অভিযানের জন্য যাওয়া ৪০ নৌকা এবং ৪৫০ জনেরও বেশি বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত আন্তর্জাতিক কর্মীকে আটক করে ইসরাইল। এরপরই বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।
আরএ


ট্রাম্পের নির্দেশ উপেক্ষা করে গাজায় ইসরাইলি হামলা, নিহত ৭০