প্রস্তাব অনুযায়ী

গাজার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হবেন ট্রাম্প

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩: ৩৪

ফিলিস্তিনের গাজায় সংসিহতা বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনায় রাজি হয়েছেন দখলদার ইসরাইল। তবে এ প্রস্তাবে এখনও সম্মতি জানায়নি হামাস। প্রস্তাব অনুযায়ী, গাজায় আমেরিকান, ইউরোপ ও আরব দেশগুলো নিয়ে একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন বা সরকার গঠন করা হবে। এই অস্থায়ী সরকারের মূল দায়িত্বে থাকবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এ প্রশাসন বা সরকারের অধীনে গাজার মানুষ গাজাতেই থাকবেন। তাদের অন্য কোনো দেশে জোরপূর্বক পাঠানোর চেষ্টা করা হবে না। ইসরায়েল উপত্যকাটি দখল করবে না। গাজা পুনর্নির্মাণ করা হবে। হামাস ও ইসরায়েল উভয় পক্ষ এ প্রস্তাব মেনে চলে যুদ্ধবিরতির দিকে যাবে, অবিলম্বে যুদ্ধ শেষ হবে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার হোয়াইট হাউসে দুজনের বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, গাজা যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের পরিকল্পনায় আমি রাজি। তবে যদি হামাস এই প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করে অথবা গ্রহণ করে পরে পিছু হটে তাহলে ইসরাইল একাই কাজটা শেষ করে দেবে।

তিনি বলেন, সহজ অথবা কঠিন যেকোনো পথেই এটি করা হবে। প্রথমত সহজ পথকে অগ্রাধিকার দেবো, কিন্তু এটাই করবো।

এদিকে হামাসকে এই প্রস্তাবে রাজি করাতে আরব ও মুসলিম বিশ্বের নেতারা কাজ করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন ট্রাম্প।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের ঘোষিত গাজায় ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ বন্ধের জন্য ২০ দফা পরিকল্পনা প্রকাশ করে হোয়াইট হাউস। এটি প্রকাশের কয়েক মিনিট পরই হোয়াইট হাউসে পরিকল্পনা নিয়ে ভাষণ দেন ট্রাম্প। সঙ্গে ছিলেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীও।

এ সময় ট্রাম্প জানান, ইসরাইলসহ অন্যান্য দেশ তার উপস্থাপিত কাঠামো গ্রহণ করেছে। তবে এখনও এ প্রস্তাবে সম্মতি জানায়নি হামাস। স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি এ প্রস্তাব না মানলে ইসরাইলের যেকোন পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন থাকবে বলেও ঘোষণা দেন ট্রাম্প।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানায়, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব অনুযায়ী হামাস সম্মতি জানালে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জীবিত ও মৃত সব জিম্মি মুক্তি পাবেন। অপরদিকে, হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেবে। সেখানে আমেরিকান, ইউরোপ ও আরব দেশগুলো নিয়ে একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠন করা হবে, যেটির মূল দায়িত্বে থাকবেন ট্রাম্প। এছাড়া, গাজার মানুষ গাজাতেই থাকবেন। তাদের অন্য কোনো দেশে জোরপূর্বক পাঠানোর চেষ্টা করা হবে না।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত