
আমার দেশ অনলাইন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে ভিসা আবেদনকারীদের দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি আরও গভীরভাবে যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। কেএফএফ হেলথ নিউজ-এর প্রতিবেদন এ সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রকাশ করেছে।
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে— আবেদনকারীর যদি এমন কোনো শারীরিক অবস্থা থাকে যার কারণে ভবিষ্যতে খরচসাপেক্ষ চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে তাহলে ভিসা প্রত্যাখ্যান করা যেতে পারে।
এই নির্দেশনা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের পুরনো “পাবলিক চার্জ” নীতির সম্প্রসারণ। পূর্বে এই নীতি কেবল সেইসব আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল যারা সরকারি সহায়তার ওপর নির্ভর করতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হতো।
কিন্তু নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী এখন অসংক্রামক রোগ যেমন—ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, স্থূলতা, মেটাবলিক বা বিপাকজনিত সমস্যা, নির্দিষ্ট ক্যানসার, স্নায়বিক ব্যাধি, মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা— এসবকেও ভিসা প্রত্যাখ্যানের কারণ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে, এসব অবস্থা “ব্যয়বহুল ও দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার প্রয়োজন” তৈরি করতে পারে এবং তাই তা ভিসা না দেওয়ার যৌক্তিকতা হিসেবে গণ্য করা হবে।
ফক্স নিউজ-এর সঙ্গে আলাপকালে এক পররাষ্ট্র দপ্তর কর্মকর্তা বলেন, “বাইডেন প্রশাসনের ব্যর্থ উন্মুক্ত সীমান্ত নীতির পর ট্রাম্প প্রশাসন ব্যাপক অভিবাসনের যুগের অবসান ঘটিয়েছে।”
এখন পর্যন্ত অভিবাসন প্রক্রিয়ায় যক্ষ্মা পরীক্ষা, টিকা নেওয়া, মাদক বা অ্যালকোহল ব্যবহার সংক্রান্ত প্রশ্ন— এসব সবসময়ই ছিল। কিন্তু নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ভিসা কর্মকর্তারা নিজেরাই নির্ধারণ করতে পারবেন কোনো আবেদনকারীর অসুস্থতা ভবিষ্যতে আর্থিক চাপ তৈরি করতে পারে কি না।
ক্যাথলিক লিগ্যাল ইমিগ্রেশন নেটওয়ার্ক-এর চার্লস হুইলার বলেন, “এই নির্দেশনা পররাষ্ট্র দপ্তরের ফরেন অ্যাফেয়ার্স ম্যানুয়ালের বিরোধী বলে মনে হচ্ছে, যেখানে কর্মকর্তাদের ভবিষ্যতের কাল্পনিক স্বাস্থ্যঝুঁকির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত না নিতে বলা হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, “ভিসা কর্মকর্তারা তো চিকিৎসক নন। এমন ‘হয়তো’ পরিস্থিতির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া উদ্বেগজনক।”
নতুন নীতিতে বলা হয়েছে, আবেদনকারীর সঙ্গে ভ্রমণকারী পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত চাহিদাও কর্মকর্তারা বিবেচনা করবেন। যদি মনে হয় পরিবারের কোনো সদস্যের চিকিৎসা ব্যয় আবেদনকারীর কর্মসংস্থান ধরে রাখার ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করবে, তাহলে সেটিও ভিসা প্রত্যাখ্যানের কারণ হতে পারে।
এছাড়া আবেদনকারীদের প্রমাণ দিতে হবে যে তারা নিজস্ব অর্থে চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে সক্ষম, এবং কোনো সরকারি স্বাস্থ্য সুবিধার ওপর নির্ভর করবেন না— জানিয়েছে সিবিএস নিউজ ।
ভিসা প্রক্রিয়ায় আবেদনকারীরা আগেও রাষ্ট্রদপ্তর অনুমোদিত চিকিৎসকদের কাছে মেডিক্যাল পরীক্ষা দিতেন। কিন্তু এখন থেকে ডাক্তার ও কর্মকর্তাদের বলা হচ্ছে আবেদনকারীর আজীবন চিকিৎসা ব্যয়ের সম্ভাবনা অনুমান করতে।
জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিবাসন আইনজীবী সোফিয়া জেনোভেস বলেন, “এই নির্দেশনা কনস্যুলার সাক্ষাৎকারে অংশ নেওয়া আবেদনকারীদের জন্য অনেক নতুন জটিলতা তৈরি করবে।”
তথ্যসূত্র: সিবিএস নিউজ
এসআর/

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে ভিসা আবেদনকারীদের দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি আরও গভীরভাবে যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। কেএফএফ হেলথ নিউজ-এর প্রতিবেদন এ সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রকাশ করেছে।
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে— আবেদনকারীর যদি এমন কোনো শারীরিক অবস্থা থাকে যার কারণে ভবিষ্যতে খরচসাপেক্ষ চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে তাহলে ভিসা প্রত্যাখ্যান করা যেতে পারে।
এই নির্দেশনা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের পুরনো “পাবলিক চার্জ” নীতির সম্প্রসারণ। পূর্বে এই নীতি কেবল সেইসব আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল যারা সরকারি সহায়তার ওপর নির্ভর করতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হতো।
কিন্তু নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী এখন অসংক্রামক রোগ যেমন—ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, স্থূলতা, মেটাবলিক বা বিপাকজনিত সমস্যা, নির্দিষ্ট ক্যানসার, স্নায়বিক ব্যাধি, মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা— এসবকেও ভিসা প্রত্যাখ্যানের কারণ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে, এসব অবস্থা “ব্যয়বহুল ও দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার প্রয়োজন” তৈরি করতে পারে এবং তাই তা ভিসা না দেওয়ার যৌক্তিকতা হিসেবে গণ্য করা হবে।
ফক্স নিউজ-এর সঙ্গে আলাপকালে এক পররাষ্ট্র দপ্তর কর্মকর্তা বলেন, “বাইডেন প্রশাসনের ব্যর্থ উন্মুক্ত সীমান্ত নীতির পর ট্রাম্প প্রশাসন ব্যাপক অভিবাসনের যুগের অবসান ঘটিয়েছে।”
এখন পর্যন্ত অভিবাসন প্রক্রিয়ায় যক্ষ্মা পরীক্ষা, টিকা নেওয়া, মাদক বা অ্যালকোহল ব্যবহার সংক্রান্ত প্রশ্ন— এসব সবসময়ই ছিল। কিন্তু নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ভিসা কর্মকর্তারা নিজেরাই নির্ধারণ করতে পারবেন কোনো আবেদনকারীর অসুস্থতা ভবিষ্যতে আর্থিক চাপ তৈরি করতে পারে কি না।
ক্যাথলিক লিগ্যাল ইমিগ্রেশন নেটওয়ার্ক-এর চার্লস হুইলার বলেন, “এই নির্দেশনা পররাষ্ট্র দপ্তরের ফরেন অ্যাফেয়ার্স ম্যানুয়ালের বিরোধী বলে মনে হচ্ছে, যেখানে কর্মকর্তাদের ভবিষ্যতের কাল্পনিক স্বাস্থ্যঝুঁকির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত না নিতে বলা হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, “ভিসা কর্মকর্তারা তো চিকিৎসক নন। এমন ‘হয়তো’ পরিস্থিতির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া উদ্বেগজনক।”
নতুন নীতিতে বলা হয়েছে, আবেদনকারীর সঙ্গে ভ্রমণকারী পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত চাহিদাও কর্মকর্তারা বিবেচনা করবেন। যদি মনে হয় পরিবারের কোনো সদস্যের চিকিৎসা ব্যয় আবেদনকারীর কর্মসংস্থান ধরে রাখার ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করবে, তাহলে সেটিও ভিসা প্রত্যাখ্যানের কারণ হতে পারে।
এছাড়া আবেদনকারীদের প্রমাণ দিতে হবে যে তারা নিজস্ব অর্থে চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে সক্ষম, এবং কোনো সরকারি স্বাস্থ্য সুবিধার ওপর নির্ভর করবেন না— জানিয়েছে সিবিএস নিউজ ।
ভিসা প্রক্রিয়ায় আবেদনকারীরা আগেও রাষ্ট্রদপ্তর অনুমোদিত চিকিৎসকদের কাছে মেডিক্যাল পরীক্ষা দিতেন। কিন্তু এখন থেকে ডাক্তার ও কর্মকর্তাদের বলা হচ্ছে আবেদনকারীর আজীবন চিকিৎসা ব্যয়ের সম্ভাবনা অনুমান করতে।
জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিবাসন আইনজীবী সোফিয়া জেনোভেস বলেন, “এই নির্দেশনা কনস্যুলার সাক্ষাৎকারে অংশ নেওয়া আবেদনকারীদের জন্য অনেক নতুন জটিলতা তৈরি করবে।”
তথ্যসূত্র: সিবিএস নিউজ
এসআর/

আফগানিস্তানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হলেও সংলাপ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পাকিস্তান। তবে দেশটি বলেছে, তাদের মূল নিরাপত্তা উদ্বেগ— আফগান ভূখণ্ড থেকে সন্ত্রাসবাদ— আগে সমাধান করতে হবে।
১ ঘণ্টা আগে
দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঝড়টি রোববার সন্ধ্যার দিকে ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে স্থলভাগে আঘাত হানবে। বর্তমানে এটি ঘণ্টায় প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার (১১৫ মাইল) বেগে প্রবাহিত হচ্ছে, এবং দমকা বাতাসের বেগ পৌঁছাতে পারে ২৩০ কিলোমিটার (১৪৩ মাইল) পর্যন্ত।
২ ঘণ্টা আগে
সুদানের চলমান সংঘাত প্রসঙ্গে এরদোয়ান বলেন, “আমরা দর্শক নই। সুদানে শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে তুরস্ক তার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।” তিনি বলেন, “তুরস্ক কেবল দর্শক হয়ে থাকতে পারে না; শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা সবসময় এগিয়ে আসি।”
৩ ঘণ্টা আগে
কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার এক খামারের ৪০০ উটপাখি হত্যার অনুমতি দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার আদালত কানাডিয়ান ফুড ইন্সপেকশন এজেন্সি (CFIA)-এর পক্ষে রায় দিলে খামারটির ‘সম্পূর্ণ জনসংখ্যা হ্রাস’ বা গণহারে নিধন কার্যক্রম চালানোর পথ খুলে যায়। আদালত রায়ে জানায়, বার্ড ফ্লু কারণে এই উটপাখির
৩ ঘণ্টা আগে