সিরিয়ায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে পার্লামেন্ট নির্বাচন

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ৪৪
প্রার্থী নির্বাচনের জন্য ভোট দিচ্ছেন একজন ইলেক্টোরাল কলেজ সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে পার্লামেন্ট নির্বাচন। তবে আইনপ্রণেতারা সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন না। এর পরিবর্তে, সারাদেশের ‘ইলেক্টরাল কলেজ’ ২১০ আসনের দুই-তৃতীয়াংশের জন্য প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা বাকিদের নিয়োগ করবেন। খবর আল জাজিরার।

দীর্ঘ ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের পর ১০ মাস আগে ক্ষমতাচ্যুত হন বাশার আল আসাদ। এরপর ক্ষমতা নেন আহমেদ আল-শারা।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং দামেস্কের কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে উত্তেজনার কারণে দ্রুজ-সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশ সুওয়াইদা এবং কুর্দি-নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলে নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

সমালোচকরা বলছেন, এই ব্যবস্থায় প্রকৃত গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করার পরিবর্তে সিরিয়ার নতুন শাসকদের হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গত মাসে এক যৌথ বিবৃতিতে, ১২টির বেশি বেসরকারি সংস্থা বলেছে, এই প্রক্রিয়ার অর্থ হল আল-শারা ‘কার্যকরভাবে এমন একটি সংসদ গঠন করতে পারেন, যা তার প্রতি অনুগত। এটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য অপরিহার্য বহুত্ববাদের নীতিকে ক্ষুন্ন করার ঝুঁকি তৈরি করে।’

ফ্রান্স-ভিত্তিক সিরিয়ানস ফর ট্রুথ অ্যান্ড জাস্টিসের নির্বাহী পরিচালক বাসাম আলাহমাদ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘আপনি যা পছন্দ করেন তাকে প্রক্রিয়া বলতে পারেন, কিন্তু তা নির্বাচন নয়।’

তবে আল জাজিরার সাংবাদিক ওসামা বিন জাভেদ বলেন, এই নির্বাচনের গণতান্ত্রিক ত্রুটি যাই হোক না কেন, সিরিয়ার জনগণের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এরফলে দেশটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা শুরু করতে পারবে।

তিনি বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক প্রচারণা নেই, কোনো রাজনৈতিক দল নেই। কিন্তু রাস্তায় থাকা মানুষ মনে করেন যে আসাদ পরিবারের প্রায় ছয় দশকের শাসনের পর এটিই প্রথম সুযোগ যে তারা কোনো নির্বাচনের আসল স্বাদ পাচ্ছেন।’

আরএ

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত